অ্যাপশহর

RR vs KKR: ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে ব্যর্থ মর্গানরা, টানা ৪ ম্যাচ হেরে সংকটে কলকাতা নাইট রাইডার্স

​কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে এদিন ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই... যাদের ওপর টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা করেছিল, সেই আন্দ্রে রাসেল, দীনেশ কার্তিকরা জ্বলে উঠতে পারলেন না। ফল যা হওয়ার তাই হল

Lipi 25 Apr 2021, 3:15 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলের নিলামে কেন তাঁর দর সবথেকে বেশি উঠেছিল প্রমাণ করে চলেছেন ক্রিস মরিস। একদিন ব্যাট হাতে ঝলসে ওঠেন তো অন্যদিন বল হাতে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ডেথ ওভারে বল হাতে জ্বলে উঠলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার। তাঁর দাপটেই ১৩৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৬ উইকেটে হেরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল ইয়ন মর্গানদের।
EiSamay.Com ipl 2021 update morgans fail to turn around kolkata knight riders in crisis after losing 4 matches in a row
RR vs KKR: ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে ব্যর্থ মর্গানরা, টানা ৪ ম্যাচ হেরে সংকটে কলকাতা নাইট রাইডার্স


কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে এদিন ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। যাদের ওপর টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা করেছিল, সেই আন্দ্রে রাসেল, দীনেশ কার্তিকরা জ্বলে উঠতে পারলেন না। ফল যা হওয়ার তাই হল।টস জিতে এদিন ফিল্ডিংয়ের সিদ্দান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। শুরু থেকেই সতর্ক ছিলেন নাইট রাইডার্সের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও নীতীশ রানা। রাজস্থান রয়্যালস বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে এছাড়া সতর্ক হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না শুভমানদের। সঞ্জু স্যামসনদের দুরন্ত ফিল্ডিংও রান তোলার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। একবার জীবন পেয়ে জস বাটলারের দুরন্ত থ্রো–তে রান আউট হন শুভমান। ১৯ বলে তিনি করেন ১১। পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে নাইট রাইডার্স তোলে ২৫/‌১।

আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে কোনও উইকেট তুলতে পারেননি রাজস্থান রয়্যালস বোলাররা। নাইটদের বিরুদ্ধে অন্য ভুমিকায় চেতন সাকারিয়ারা। তিনিই নাইট শিবিরকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন। নবম ওভারে নীতীশ রানাকে (‌৪৫)‌ তুলে নেন সাকারিয়া। এদিন সুনীল নারাইনকে চার নম্বরে তুলে নিয়ে এসেছিল নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট। পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। ৭ বলে ৬ রান করে জয়দেব উনাদকাটের বলে নারাইন ফিরে যান।

অস্ত্রোপচার ছাড়া হাঁটুর চোট সারবে না, নিজেই জানালেন টি নটরাজন
নাইট রাইডার্সের চাপ আরও বেড়ে যায় অধিনায়ক ইয়ন মর্গানের (‌০)‌ আউট। রাহুল ত্রিপাঠীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কোনও বল না খেলেই তিনি রান আউট হন। এরপর ত্রিপাঠীর সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান দীনেশ কার্তিক। ১৫ ওভারে নাইটরা তোলে ৯৩/‌৪। পরের ওভারেই মুস্তাফিজুর রহমানের বলে রিয়ান পরাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রাহুল ত্রিপাঠী (‌২৬ বলে ৩৬)‌। তবে এদিন ঝড় তুলতে ব্যর্থ হন কার্তিক (‌২৫)‌, আন্দ্রে রাসেল (‌৯)‌ ও প্যাট কামিন্সরা (‌১০)‌। তিন জনই ক্রিস মরিসের শিকার। ২৩ রানে তিনি ৪ উইকেট নেন। ২০ ওভারে নাইটরা তোলে ১৩৩/‌৯।
টি২০ ক্রিকেটে ১৩৪ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন নয়। জিততে গেলে নাইট রাইডার্স বোলারদের নিজেদের দক্ষতাকে ছাপিয়ে যেতে হত। চতুর্থ ওভারে জস বাটলারকে (‌৫)‌ তুলে নিয়ে রাজস্থান শিবিরকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। পরের ওভারেই ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা যশস্বী জয়সোয়ালকে (‌১৭ বলে ২২)‌ তুলে নেন এবছর আইপিএলে প্রথম খেলতে নামা শিবম মাভি। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও শিবম দুবে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শিবম দুবেকে (‌১৮ বলে ২২)‌ তুলে নিয়ে রাজস্থানকে আবার ধাক্কা দেন বরুণ চক্রবর্তী। রাজস্থান রয়্যালসের রান তখন ১০.‌৫ ওভারে ৮৫। রাহুল তেওয়াটিয়াকে (‌৫)‌ হারিয়ে সাময়িকভাবে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। তাঁকে ফেরান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ডেভিড মিলারকে বেশ কয়েকবার অস্বস্তিতে ফেলেন শিবম মাভি। কিন্তু বোর্ডে রান বেশি না থাকায় সঞ্জু স্যামসনদের ওপর সেভাবে চাপ তৈরিই করতে পারেননি সুনীল নারাইন, প্যাট কামিন্সরা। ৭ বল বাকি থাকতেই ১৩৪/‌৪ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ৪১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু স্যামসন। ২৩ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। ‌

পরের খবর