অ্যাপশহর

ফাইনালটা হবে বক্সিং ম্যাচের মতো

দুই টিমের বেশ কিছু বড় ক্রিকেটারের দিকে সবার নজর থাকবেই। বড় প্লেয়াররাও তো বড় মঞ্চেই সেরাটা দিতে চায়। কিন্তু এক জন এমনও থাকবে, যে তরুণ নিজেই ছাপিয়ে গিয়েছে নিজের প্রত্যাশা।

EiSamay.Com 13 Jul 2019, 8:58 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্ত ফেভারিট টিমই বিশ্বকাপের শুরুতে একটাই ভাবনা নিয়ে এগিয়েছিল, আগে সেমিফাইনালে উঠি, তার পর দেখা যাবে। কারণ, বিশ্বকাপের শেষ চারে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ভারতের দুর্ভাগ্য যে ওদের ক্ষেত্রেই খারাপ ব্যাপারটা ঘটল। তবু বলব, নিজেদের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্ব বোধ করতে পারে ভারতীয়রা। বেশ কিছু স্মরণীয় ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও আছে। টিমের গভীরতা অনুযায়ী নিউ জিল্যান্ডের থেকে ভারত অনেক ভালো টিম। কিন্তু কোনও টিমের বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছনো দুর্ঘটনা হতে পারে না। ৩০ রান কম করেও সেই রানেই কিন্তু ওরা সফল ভাবে আটকে দিয়েছে ভারতকে। এর মানে এই নয় যে, বিরাট কোহলিদের থেকে ভালো টিম কেন উইলিয়ামসের। তবু বলব, যোগ্য টিম হিসেবেই ওরা ফাইনালে উঠেছে।
EiSamay.Com the finals of wc 2019 will be like a boxing match
ফাইনালটা হবে বক্সিং ম্যাচের মতো


রান তাড়া করতে নেমে ৫-৩ হয়ে যাওয়ার পর খুব কম টিমই এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। একই রকম ঘটনা আমরা দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও দেখতে পেয়েছি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪-৩-এ ভেঙে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এই বিশ্বকাপে শুরুর দিকের উইকেটগুলোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বড় ওপেনিং পার্টনারশিপ হলে তো কথাই নেই।

গত তিন ম্যাচে ইংল্যান্ডের অকল্পনীয় পারফরম্যান্সই ওদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিল। যেটার জন্য ওরা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলেছে। আমি তো বলব, ওরা পর পর তিনটে সেমিফাইনাল খেলে ফাইনালে উঠেছে। প্রতিটা ম্যাচে দারুণ ভাবে মেলে ধরেছে নিজেদের। স্বাভাবিক ভাবেই ফাইনালের ফেভারিট টিম বাছতে বসে বলতে হচ্ছে, ইংল্যান্ডই সব দিক থেকে এগিয়ে। তবে, ব্ল্যাক ক্যাপরা কিন্তু আবার অঘটন ঘটাতে পারে।

আমার মনে হচ্ছে, নিউ জিল্যান্ড আরও একবার একই রকম ছকে বাঁধা ও ট্যাকটিকাল ম্যাচই খেলবে। যাতে ঝুঁকি কম থাকবে। ওদের টিমেও বেশ কিছু বিস্ফোরক ক্রিকেটার আছে। যারা ব্যাট ও বল হাতে মাতিয়ে দিতে পারে। কিন্তু তারা বিস্ফোরণের বদলে অনেক বেশি স্মার্ট ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছে। আর ফাইনালটা ওরা একটা বক্সিং ম্যাচের মতোই খেলবে। বিপক্ষকে নকআউট করার বদলে টুকরো টুকরো পয়েন্ট তোলার চেষ্টা করবে।

ইংল্যান্ড যদি আগে ব্যাট করার সুযোগ পায়, জনি বেয়ারস্টোর আর জেসন রয়ের শুরুটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। পুরো বিশ্বকাপটা জুড়ে ওরা চমৎকার খেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও রোমাঞ্চকর ক্রিকেটই খেলেছে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, সেমিফাইনালে ২২৪ তাড়া করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই যে, ইংল্যান্ড গত ২-৩ বছরের সেরা টিম। তার পরও বলব, ফাইনালে কিন্তু ইংলিশ টিমের ওপেনিং জুটি বড় পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছেন।

দুই টিমের বেশ কিছু বড় ক্রিকেটারের দিকে সবার নজর থাকবেই। বড় প্লেয়াররাও তো বড় মঞ্চেই সেরাটা দিতে চায়। কিন্তু এক জন এমনও থাকবে, যে তরুণ নিজেই ছাপিয়ে গিয়েছে নিজের প্রত্যাশা। ইতিমধ্যেই সে কিন্তু দেখিয়েছে, হঠাৎ করে ভেসে ওঠা নয়, সে আসল তারকা হতেই এসেছে। আর সে হল জোফ্রা আর্চার। আগামী বেশ কিছু বছরের জন্য ও ইংল্যান্ডের সম্পদ।

সুতরাং, বিশ্বকাপ ফাইনালটা ক্রিকেট প্রেমীরা উপভোগ করুক। দুটো টিমই এর আগে কখনও ফাইনাল জেতেনি। ইতিহাস তো হতেই চলেছ!

পরের খবর

Sportsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল