Nikhat Zareen: "ওকে কে বিয়ে করবে?" কমনওয়েলথে সোনা জিতে যোগ্য জবাব নিখাত জারিনের
দেশের ২৫ বছর বয়সি এই মহিলা বক্সার চলতি বছর মে মাসে মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জয় করেছিলেন। এবারও কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের স্বপ্ন চোখে নিয়েই বার্মিংহামে এসেছিলেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় তিনি সম্পূর্ণ একটা নতুন ক্যাটেগরিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্যারিস অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখেই তিনি এই নয়া ক্যাটেগরিতে নাম লিখিয়েছেন।
চলতি কমনওয়েলথ গেমসে দেশের মুখ আরও উজ্জ্বল করলেন ভারতের মহিলা বক্সার নিখাত জারিন। গেমসের দশম দিনে অমিত ফাঙ্গাল এবং নীতু ঘাঙ্ঘসের পর বক্সিংয়ে সোনা জয় করলেন নিখাত জারিন। এই নিয়ে বক্সিং থেকে ভারত এখনও পর্যন্ত তিনটে সোনার পদক জয় করতে পেরেছে। ফাইনাল ম্যাচে তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের কার্লি এমসি নাউলকে পরাস্ত করেছেন। ম্যাচের ফলাফল ৫-০। এই নিয়ে ভারত মোট ১৭টি সোনার পদক জয় করল।
দেশের ২৫ বছর বয়সি এই মহিলা বক্সার চলতি বছর মে মাসে মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জয় করেছিলেন। এবারও কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের স্বপ্ন চোখে নিয়েই বার্মিংহামে এসেছিলেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় তিনি সম্পূর্ণ একটা নতুন ক্যাটেগরিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্যারিস অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখেই তিনি এই নয়া ক্যাটেগরিতে নাম লিখিয়েছেন।
নিখাত যখন একেবারে ছোটো ছিলেন তখন মহিলাদের মধ্যে বক্সিং লড়াইয়ের খুব একটা চল ছিল না। বাবার হাত ধরে তিনি স্টেডিয়ামে বক্সিং খেলা দেখতে যেতেন। সেইসঙ্গে তিনি বাবাকে প্রশ্ন করতেন, কেন কোনও মহিলা এই খেলায় অংশগ্রহণ করে না। এটা কি শুধুমাত্র পুরুষদেরই খেলা? তাঁর বাবা তাঁকে বলতেন, মেয়েরা চোটের কারণেই এই খেলায় নাম লেখাতে চান না।
এরপর মাঝখানে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা বছর। একদিন পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে মারামারি করে বাড়ি ফিরেছিলেন নিখাত। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মেয়ের এমন অবস্থা দেখে নিখাতের মা রীতিমতো রেগে যান। এমনকী, তাঁর বিয়ে নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন।
এই জোড়া ঘটনাই নিখাতকে বক্সিংয়ের দিকে টেনে এনেছিল।
তবে নিখাতের পাশে সবসময় দাঁড়িয়েছেন তাঁর বাবা। তিনি সৌদি আরবের চাকরি ছেড়ে ভারতে চলে আসেন এবং মেয়ের প্রশিক্ষণের উপরে জোর দেন। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, তেলঙ্গানার নিজামাবাদ জেলার প্রথম মহিলা নিখাত যিনি বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। আর সেকারণেই পরিবার এবং বন্ধুমহলে চিন্তার শেষ ছিল না।
নিখাত নিজেই জানিয়েছেন, "আমাকে বলা হয়েছিল একজন মুসলিম মহিলা সবসময় পর্দার আড়ালেই থাকেন। পাশাপাশি আমার ছোটো পোশাক পরা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে আমি বাবাকে ধন্যবাদ জানাব যে তিনি এই মন্তব্যে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। আমাকে সবসময় কঠিন পরিশ্রম করতে বলেছেন এবং বক্সিংয়ের উপরেই মনোযোগ দিতে বলেছেন। যখন আমি পদক জয় করি, আজ সেইসব লোকগুলোই আমার সঙ্গে ছবি এবং সেলফি তোলার জন্য ঘুরেফিরে আসেন।"
তারপর থেকে নিখাতকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১০ সালে জুনিয়র ন্যাশনালসে তিনি সোনার পদক জয় করেছিলেন। এরপর ২০১১ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য তিনি নির্বাচিতও হন।
জুনিয়র প্রতিযোগিতায় একাধিক পদক জয় করার পর যখন সিনিয়র ক্যাটেগরির দরজা তাঁর সামনে খুলে যায়, তখনই ২০১৭ সালে কাঁধের একটি চোট তাঁর কেরিয়ার প্রায় শেষ করে দিচ্ছিল। প্রায় একবছর তিনি অনুশীলন করতে পারেননি। এমনকী, টোকিয়ো অলিম্পিকেও তিনি সুযোগ পাননি।
নিখাত জানালেন, কমনওয়েলথ গেমসের পর এবার তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য হল ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক। তিনি এই সাফল্যের জন্য পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
দেশের ২৫ বছর বয়সি এই মহিলা বক্সার চলতি বছর মে মাসে মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জয় করেছিলেন। এবারও কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের স্বপ্ন চোখে নিয়েই বার্মিংহামে এসেছিলেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় তিনি সম্পূর্ণ একটা নতুন ক্যাটেগরিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্যারিস অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখেই তিনি এই নয়া ক্যাটেগরিতে নাম লিখিয়েছেন।
নিখাত যখন একেবারে ছোটো ছিলেন তখন মহিলাদের মধ্যে বক্সিং লড়াইয়ের খুব একটা চল ছিল না। বাবার হাত ধরে তিনি স্টেডিয়ামে বক্সিং খেলা দেখতে যেতেন। সেইসঙ্গে তিনি বাবাকে প্রশ্ন করতেন, কেন কোনও মহিলা এই খেলায় অংশগ্রহণ করে না। এটা কি শুধুমাত্র পুরুষদেরই খেলা? তাঁর বাবা তাঁকে বলতেন, মেয়েরা চোটের কারণেই এই খেলায় নাম লেখাতে চান না।
এরপর মাঝখানে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা বছর। একদিন পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে মারামারি করে বাড়ি ফিরেছিলেন নিখাত। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মেয়ের এমন অবস্থা দেখে নিখাতের মা রীতিমতো রেগে যান। এমনকী, তাঁর বিয়ে নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন।
এই জোড়া ঘটনাই নিখাতকে বক্সিংয়ের দিকে টেনে এনেছিল।
তবে নিখাতের পাশে সবসময় দাঁড়িয়েছেন তাঁর বাবা। তিনি সৌদি আরবের চাকরি ছেড়ে ভারতে চলে আসেন এবং মেয়ের প্রশিক্ষণের উপরে জোর দেন। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, তেলঙ্গানার নিজামাবাদ জেলার প্রথম মহিলা নিখাত যিনি বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। আর সেকারণেই পরিবার এবং বন্ধুমহলে চিন্তার শেষ ছিল না।
নিখাত নিজেই জানিয়েছেন, "আমাকে বলা হয়েছিল একজন মুসলিম মহিলা সবসময় পর্দার আড়ালেই থাকেন। পাশাপাশি আমার ছোটো পোশাক পরা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে আমি বাবাকে ধন্যবাদ জানাব যে তিনি এই মন্তব্যে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। আমাকে সবসময় কঠিন পরিশ্রম করতে বলেছেন এবং বক্সিংয়ের উপরেই মনোযোগ দিতে বলেছেন। যখন আমি পদক জয় করি, আজ সেইসব লোকগুলোই আমার সঙ্গে ছবি এবং সেলফি তোলার জন্য ঘুরেফিরে আসেন।"
তারপর থেকে নিখাতকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১০ সালে জুনিয়র ন্যাশনালসে তিনি সোনার পদক জয় করেছিলেন। এরপর ২০১১ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য তিনি নির্বাচিতও হন।
জুনিয়র প্রতিযোগিতায় একাধিক পদক জয় করার পর যখন সিনিয়র ক্যাটেগরির দরজা তাঁর সামনে খুলে যায়, তখনই ২০১৭ সালে কাঁধের একটি চোট তাঁর কেরিয়ার প্রায় শেষ করে দিচ্ছিল। প্রায় একবছর তিনি অনুশীলন করতে পারেননি। এমনকী, টোকিয়ো অলিম্পিকেও তিনি সুযোগ পাননি।
নিখাত জানালেন, কমনওয়েলথ গেমসের পর এবার তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য হল ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক। তিনি এই সাফল্যের জন্য পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।