দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

Edited byসৌমেন রায়চৌধুরী | Produced byমহর্ষি বসু | EiSamay.Com 28 Jul 2023, 1:32 pm
  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    ভারতের কোণায় কোণায় এমন কিছু স্থাপত্য ছড়িয়ে রয়েছে, যা আমাদের অগোচরেই থেকে যায়। বিদেশ-ভ্রমণ অবশ্যই রোমাঞ্চকর, তবে দেশের মাটিকে হৃদয় দিয়ে চেনা, সেটা আরও বেশি তৃপ্তির। আপনি যদি ভাবেন, বেশ কিছুদিনের ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাবে, পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে, তাহলে অবশ্যই এই
    অজানা-অদেখা ভারতে দেখতে পেড়িয়ে পড়তে পারেন।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    চিনের গ্রেট ওয়ালের পরই বিশ্বের ২য় বৃহত্তম প্রাচীর বলতে উদয়পুরের কুম্বালগড় ফোর্টের প্রাচীরের কথাই আসে। প্রায় ১৫ কিমি লম্বা এই প্রাচীরে রয়েছে সাতটি

    বিশালাকৃতি প্রবেশদ্বার।

    কীভাবে যাবেন: উদয়পুর বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৬৭ কিমি দূরত্ব। একটি ছোট গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে দূর্গটি দেখে আসতে পারেন।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো ইতিহাস বহন করছে এই রয়্যাল প্যালেস। অসমের সংস্কৃতি বহনকারী কারেং ঘর এখনও নিজের অস্তিত্ব বজায় রেখে আসছে লোকচক্ষুর আড়ালে।গোটাটাই কাঠের তৈরি চার তলার এই স্থাপত্যের ভিতর রয়েছে একটি বিশাল গোপন সুরঙ্গ পথ। শত্রুপক্ষের হামলা থেকে রক্ষা পেতেই এই সুরঙ্গ ব্যবহার করা হত।
    কীভাবে যাবেন: জোরহাট বিমানবন্দর থেকে গারগাঁও, সেখান থেকে ৭৪ কিমি দূরেই রয়েছে কারেং ঘর।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    নয়ের দশকে স্থাপন করা হয়েছিল অনন্থপুরা লেক মন্দির। সেই মন্দিরের লেকের জলে রয়েছে এক শাকাহারী কুমির। যে কিনা মন্দিরটি পাহারা দেয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মন্দিরই আসলে অনন্থপদ্মানভার বাড়ি।

    কীভাবে যাবেন: সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর হল ম্যাঙ্গালর এয়ারপোর্ট। সেখান থেকে ৬০ কিমি গাড়িতে চড়ে মন্দিরে পৌঁছে যাবেন। ট্রেনেও ট্রাভেল করতে পারেন।কাসারাগড় রেল স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে পারেন। খুব কম সময়ে পৌঁছে যাবেন গন্তব্যস্থলে।

  • এমন আরও ফটো দেখুনঅ্যাপ ডাউনলোড করুন
  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    তামিলনাড়ুর আইরাভাতেসভারা মন্দির। শোনা যায়, মন্দিরটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল ২৫ বছর। চিত্র, স্থাপত্য, ভাস্কর্যের মাধ্যমে শিবের বিভিন্ন কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।

    কীভাবে যাবেন: তিরুচিরাপল্লী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৯০ কিমি দূরত্বে এই ঐতিহ্যশালী মন্দিরটি।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    কর্নাটকের রাষ্ট্রকূটা রাজবংশের গুরত্বপূর্ণ পাট্টাডাকাল মন্দির। ৯টি মন্দিরের মধ্যে এই মন্দিরটিই রাজবংশের সম্মান ও মাহাত্ম্য বহন করে চলেছে আজও।

    কীভাবে যাবেন: গোয়া বিমানবন্দর থেকে ২২১ কিমি দূরে এই মন্দির।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    ভীমবেটকা। মধ্যপ্রদেশের এই এলাকাটি প্রত্নতাত্তবিকদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। কারণ, গোটা এলাকাটিই আদিম যুগের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। ১৯৫৭ সালে, প্রায় ১০ হাজার বছরের পুরনো পাথরের উপর ছবি আঁকার নিদর্শন আবিষ্কার করা হয়। এরপর প্রায় ৭০০টি চিত্র ও নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়।

    কীভাবে যাবেন: ভোপালের রাজা ভোজ বিমানবন্দর থেকে ৭২ কিমি দূরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক স্থানটি।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    গুজরাতের পাটানে ঐতিহ্যবাহী রাণী-কি-ভাব। এই আশ্চর্য স্থাপত্যের মধ্যে রয়েছে সাতটি স্তরের সিঁড়ি, গভীর কুয়ো।

    কীভাবে যাবেন: সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর বলতে সর্দার বন্নভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট। সেখান থেকে ১২৪ কিমি দূরে অবস্থিত রাণী-কি-ভাব।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    দিল্লির সাকেতে তুঘলক বংশের তৈরি সাতপুলা ব্রিজ।মূলত সেচ ব্যবস্থায় জল সংগ্রহের জন্য এই অত্যাধুনিক ব্রিজ স্থাপন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, একাধারে শত্রুপক্ষ থেকে শহরকে রক্ষা করার জন্যও এই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল।

    কীভাবে যাবেন: দিল্লি বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৯ কিমি দূরে অবস্থিত। একটি ক্যাব বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যস্থলে।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    ১৮৬০ সালে ফরাসি আমলে তৈরি হয় রোসারি চার্চ। কর্নাটকের হেমবন্থ নদীর পাশে এই চার্চটি অবস্থিত। বৃষ্টির জলে নদীর জলের তলায় চলে যায় এটি। আবার জল

    শুকিয়ে গেলে ফের দেখা যায় এই রহস্যেভরা চার্চটি। দেশের মধ্যে এমন হেরিটেজ নির্দশন থাকতে, একবার অন্তত দেখে আসতেই পারেন।

    কীভাবে যাবেন: বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে। তবে হাসান থেকে বাস পেয়ে যাবেন। কম সময়ে পৌঁছে যাবেন শেত্তিহাল্লির রোসারি চার্চে।

  • দেশের এই না-জানা ১০ ঠিকানায় একবার অন্তত যান

    জীবনে একবার সুযোগ পেলে লে-লাদাখ অবশ্যেই ঘুরে আসবেন। এমন সুযোগ বারবার আসেনা। লাদাখের জানস্কার ভ্যালির একদম তীরে, ১২ শতাব্দী পুরনো ফুগতাল মনাস্ট্রি। এখনও সেই মঠে ৭০-র বেশি বৌদ্ধ সন্ন্যাসী থাকেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, এই স্থান পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র স্থান। এখান থেকেই আত্মিক শক্তি সৃষ্টি হয়।

    কীভাবে যাবেন: মঠটি অত্যন্ত রুক্ষ ও প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। পাহাড় বেয়ে মঠে পৌঁছাতেই ২ দিন ট্রেকিং করতে সময় লেগে যাবে। পেডাম থেকে গাড়ি বা মোটরগাড়িতে কিছু ঘন্টার রাস্তা।