বাংলাতেও ধুমধাম সহকারে পালিত হল ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। অনুষ্ঠানে পাশাপাশি দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার বিধানসভা চত্বরে হওয়া ঘটনার রেশ ছেড়ে যায় রেড রোডের অনুষ্ঠানে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নিজে এগিয়ে না আসা অবধি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নয়াদিল্লির রাজপথ থেকে বাদ পড়ার পর রেড রোডে প্রদর্শিত হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর অবদান সম্পর্কিত ট্যাবলো।
যদিও সরকারের দাবি, কোভিড আবহে রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রীকেও ডাকা হয়নি। এ প্রসঙ্গে পাল্টা শুভেন্দু বলেন, ''গতবার কোভিডের মধ্যেও আব্দুল মান্নান ডাক পেয়েছিলেন। সরকারের তরফে পুরস্কার পেয়েছিলেন। ফোনও পেয়েছিলেন।'' তাঁকে আমন্ত্রণ না করা হিংসার প্রতিফলন বলেই মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্য বছরের মতো এবারেও কলকাতার রেড রোডে রাজ্য সরকারের তরফে পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ সহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়।
রেড রোডের সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রীরা থাকলেও আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছাবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ''চলুন সকলে দেশের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো রক্ষার অঙ্গীকার গড়ি। বিশেষত এর যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রক্ষার দায়িত্ব নিই সকলে। রক্ষা করি দেশের ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং সৌভ্রাতৃত্ব। যে সংবিধান আমাদের মৌলিক অধিকার দিয়েছে, তাকে রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করি সকলে। দেশের সমস্ত বীরযোদ্ধা জওয়ানদের আমি স্যালুট জানাচ্ছি। যাদের আত্মবলিদান এবং কর্তব্যবোধ দেশকে সুরক্ষিত রেখেছে তাঁদের প্রণাম জানাই। সর্বশেষে দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর পিলার হিসেবে দেশের সমস্ত মানুষকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।''