ওজন কমানোর জন্য মনপ্রাণ দিয়ে সকলেই চেষ্টা করে চলেছেন। শুধুমাত্র দেখতে খারাপ লাগার জন্য নয়, মোটা হলে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। বর্তমানে সব বয়সের মানুষেরই জীবনযাত্রায় এসেছে পরিবর্তন। সারাদিন বসে কাজ, ওয়ার্কআউট নেই আর সেইসঙ্গে অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া- এই সব কিছু মিলেই বাড়ছে ওজন। ডায়েট যখন শুরু হয়ে যায় তখন সেই তালিকা থেকে মিষ্টি, তেলেভাজা, ফার্স্টফুড একেবারেই বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ভালোভালো খাবারের লোভ তো থেকেই যায়। ছোলে বাটোরা, প্যানকেক, চকোলেট, বিরিয়ানি, রোল দেখলে সকলেরই একটু মন কেমন করে। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে রাখেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন কড়া ডায়েটের ফাঁকে কখনও একটু মনকেও ছাড় দিতে হয়। যে কারণে চিট মিলও খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওজন কমানোর জন্য চিট মিলেরও প্রয়োজন আছে। আর সপ্তাহে একদিন চিট মিল খেলে তবেই কিন্তু বাকি মোটিভেশনও পাবেন। এছাড়া চিট মিল মেটাবলিজম ভালো রাখে। চিট মিলে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি বেশি থাকে। আর তাই সপ্তাহে একদিন খাওয়াই যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দুপুর ২ টোর পর কিন্তু চিটমিল খাওয়া ঠিক নয়। চিপস, বার্গার, কোক যাই খাওয়া হোক না কেন তা যেন দুপুর ২টোর মধ্যে হয়।
বিজ্ঞান বলছে দিনের বেলায় আমাদের মেটাবলিজম সব থেকে ভালো থাকে। দিনের বেলায় ফ্যাট খুব তাড়াতাড়ি বার্ন হয়। কিন্তু দুপুর ২ টোর পর যে কোনও খাবারই হজম করতে একটু বেশি সময় লাগে। এছাড়াও দুপুরের পর আমাদের শরীরে শর্করা তেমন হজম হয় না। ফলে রক্তে অতিরিক্ত চিনি মেশে। যে কারণে রাতের খাবার একেবারেই হালকা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সপ্তাহে একদিন চিটমিল খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। সব সময় চিপস, বার্গার মানেই যে খারাপ এরকম মনে রাখা উচিত নয়। কারণ সব সময় অতিরিক্ত ডায়েটের ফলে অ্যাসিডিটি, পেটের সমস্যা এসব এসেই যায়। অতিরিক্ত ডায়েট করলে তখন টেনশনে ঘুমও কম হয়। এর জন্যেই চিট মিল খাওয়ার কথা বলা হয়।
একদিন নিয়ম ভাঙছেন বলেই যে যা খুশি তাই খেয়ে ফেলবেন এরকমটা করবেন না। এমন কিছু খাবেন না যাতে হুড়মুড়িয়ে ওজন বেড়ে যাবে। যদি খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ কোনও খাবার খান তাহলে প্রোটিন কম রাখুন। খুব বেশি প্রসেসড বা কেমিক্যাল দেওয়া খাবারও একদম নয়। মনে রাখবেন এই যা খাবার খাচ্ছেন তা কিন্তু পরদিন এক্সসারসাইজ করে ঝরাতে হবে।