দুধ স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী পানীয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই দুধ পানের পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যালশিয়ামের উল্লেখযোগ্য উৎস দুধ। তবে এই দুধই অনেকে হজম করতে পারেন না। ফলে তাঁদের গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় এমনকি পেট খারাপ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আবার কোনও ব্যক্তির পাচনতন্ত্র মজবুত না-হলে তাঁরাও দুধ হজম করতে পারেন না। আয়ুর্বেদে এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে জানানো রয়েছে, যা মেনে চললে দুধ হজম করা সহজ হয়।
দুধে চিনি মেশাবেন না: চিনি ছাড়া দুধ পান করতে ভালোবাসেন না অনেকেই। তবে আয়ুর্বেদ অনুযায়ী রাতে চিনি ছাড়া দুধ পান করলে অধিক উপকার পাওয়া যায়। দুধে চিনির পরিবর্তে এক চামচ গাওয়া ঘি মিশিয়ে পান করা অধিক স্বাস্থ্যসম্মত। আয়ুর্বেদ মতে দেশী গোরুর দুধ বেশি স্বাস্থ্যকর।
টাটকা ও অরগ্যানিক দুধ পান করুন: বর্তমানে শহরাঞ্চলে অধিকাংশ লোকই প্যাকেটজাত দুধ পান করেন। তবে এই দুধ টাটকা বা অরগ্যানিক কোনওটাই হয় না। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী টাটকা, অরগ্যানিক ও হরমোন বিহীন দুধ সবচেয়ে ভালো।
কাঁচা দুধ পান করবেন না: দুধ হজমে সমস্যা হলেও ভুলেও কাঁচা দুধ পান করবেন না। দুধ সবসময় ভালো ভাবে ফুটিয়ে পান করা উচিত।
দুধে মেশান লবঙ্গ ও এলাচ: দুধ হজমে সমস্যা থাকলে তাতে অল্প আদা, লবঙ্গ, এলাচ, জাফরান, দারুচিনি ও জায়ফল মিশিয়ে পান করুন। এর ফলে পেটের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে, যা দুধ হজম করতে সাহায্য করবে।
জাফরান মিশিয়ে দুধ পান করুন: অনেক সময় রাতে খাবার খাওয়ার সুযোগ পাই না আমরা। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে আয়ুর্বেদের পরামর্শ মেনে দুধে সামান্য জায়ফল ও জাফরান মিশিয়ে দিন। এর ফলে ঘুম ভালো আসে এবং শরীরে শক্তি সঞ্চয় হয়।
নোনতা খাবারের সঙ্গে দুধ পান করবেন না: কোনও নোনতার খাবারের সঙ্গে দুধ পান করা উচিত নয়। আবার ক্রিম, সুপ অথবা চিজ দুধের সঙ্গে খাবেন না। দুধের সঙ্গে টকফলও খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই ধরনের খাদ্যবস্তুর সঙ্গে মিশে দুধ প্রতিক্রিয়া করে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এ ছাড়াও দুধের সঙ্গে মাছও খেতে নেই।