গত এক বছর ধরে সকলেই বাড়িতে বসে কাজ করছেন। অফিস উঠে এসেছে বেডরুমে। একদিকে কর্তা, অন্যদিকে গিন্নি দুজনেই ব্যস্ত ল্যাপটপে। সেইসঙ্গে বাড়িতে ওয়ার্ক স্টেশন একটাই। ফলে টেবিল নিয়ে টানাটানি তো আছেই। আর সারাদিন বাড়িতে থাকার কারণে খুচখাচ সমস্যা তো লেগেই রয়েছে। যেমন কে ব্রেকফাস্ট বানাবে কিংবা কে আগে ঘুম থেকে উঠবে। সেই সঙ্গে খাটের কোন কোণায় কে বসবে এ নিয়েও চুলোচুলি চলছে। দীর্ঘ লকডাউনের পর নিউ নর্মালে ফিরলেও এখন কিন্তু সকলেই যে সাহস নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন এমনটা নয়। আর এই সবকিছু কিন্তু প্রভাব ফেলছে সম্পর্কে। অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই কিন্তু অবনতি হয়েছে। আর তাই রইল কিছু টিপস। দেখে নিন।
ঠিক কাজে বসার ৩০ মিনিট আগে নয়, অন্তত ২ ঘন্টা আগে বিছানা ছাড়ুন। কারণ সুস্থ থাকতে শরীরচর্চাও জরুরি। সেই সঙ্গে মনও ঠিক রাখতে হবে। দুজনে একই সঙ্গে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। এতে সব কাজই কিন্তু রুটিন মাফিক হবে। সেই সঙ্গে ব্রেকফাস্ট, কফি একসঙ্গে খেলে কিন্তু দুজনেরই ভালো লাগবে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম যখন করছেন তখন অবশ্যই ফিটনেস যোগ করুন আপনাদের দৈনিক রুটিনে। নিদেনপক্ষে একঘন্টা বাড়িতেই ওয়ার্ক আউট করুন। যে কোনও উপায়ে ঘাম ঝরানো আপনার টার্গেট তা মাথায় রাখুন। ওয়ার্ক আউটের সময় অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার নয়।
অফিস এবং কাজ অনুসারে কে আগে স্নান সারবেন তা নিজেরা কথা বলে ঠিক করে রাখুন। কাজে বসার ঠিক আগে এসব নিয়ে কোনও রকম ঝামেলা না করাই ভালো। এতে কাজে বসার আগে মন বিক্ষিপ্ত থাকতে পারে।
কাজের কোনও ছোট বড় নয়। মনে রাখবেন, বাড়ি থেকে দুজনেই কাজ করছেন। আর তাই প্রত্যেকের কাজকে অবশ্যই সমান গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সঙ্গীর যদি অন্য দেশের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয় তাহলে সেদিকেও অবশ্যই নজর রাখুন।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম মানেই যেমন তেমন পোশাকে কাজ কপতে বসবেন এমন নয়। সেই সঙ্গে সঙ্গীও যাতে ঠিকমতো পোশাক পরেন সেদিকে নজর রাখুন। যে রকম পোশাকে আপনি স্বচ্ছন্দ্য তাই পরুন। তাই বলে রাত পোশাকে কখনই কাজ করতে বসবেন না।