জীবনে প্রতিটি সম্পর্কই আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা সে মাছওয়ালাই হোক কিংবা পুরনো প্রেমিক। তবুও জীবনে নানারকম মানুষ আসেন। তাঁদের সকলের সঙ্গেই যে সম্পর্কটা একরকম থেকে যায় তা নয়। কারণ এঁদের মধ্যে প্রচুর অসত মানুষও থাকেন। যাঁরা স্রেফ নিজর কার্যসিদ্ধির জন্য বন্ধুত্ব করেন। কাজ মিটলে ধোঁকা দিয়ে চলে যান। এছাড়াও কিছু মানুষ থাকেন নিন্দা করার জন্য, খুঁত ধরার জন্য। আপনাকে লক্ষ্যচ্যুত করাই তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য। মানুষের প্রতি অবিশ্বাস প্রথম থেকে কখনও তৈরি হয় না। বরং মানুষের কিছু ব্যবহারেই তাঁর প্রতি এমন মনোভাব তৈরি হয়। তবে জীবনে এমন কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা আমাদের সত্যিই ভালোবাসেন। ভালো চান। বরং জীবনের সব বাধা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন। যাঁদের সঙ্গে কথা বলে প্রাণের আরাম হয়। এমন সম্পর্কই হল হেলদি সম্পর্ক। সঙ্গীর সঙ্গে কিংবা প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কতটা Healthy? বুঝবেন যেভাবে...
কিছু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগটা থাকে একেবারে মন থেকে। এমন নয় যে প্রতিদিন কথা বলতেই হবে। কিন্তু যখন তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয় তখনই মন ভালো হয়ে যায়। সেই সঙ্গে এঁরা আপনাকে খুব ভালো ভাবে বোঝেন। আপনি কিছু বলার আগেই তা আঁচ করতে পারেন। বরং এঁদের সামনে আপনি কোনও কথা বলতে দ্বিধা করেন না। এঁরাই কিন্তু আসল মনের মানুষ।
সব মানুষ সব সময় যে একই রকম হবেন তা নয়। বরং যে যার মতো করে তৈরি। সবার মানসিকতা এক হবে তাও নয়। তবুও যখন দুজন মানুষের বেশির ভাগ মানসিকতায় মিল থাকে তখন তা হল Equality। সম্পর্ক ভালো রাখতে এই সাম্য খুবই প্রয়োজন।
অকারণে কাউকে অসম্মান নয়। যে কোনও মানুষকে মন থেকে শ্রদ্ধা করা উচিত। সঙ্গী যা বলছেন তা যেমন মনযোগ সহকারে শোনা উচিত তেমনই তাঁর কথাকেও শ্রদ্ধা করা উচিত। তাঁর সিদ্ধান্তে সম্মান থাকা দরকার। তবেই একটা সম্পর্ক সবরকম ভাবে সুন্দর হয়।
একে অপরের প্রতি বিশ্বাস সম্পর্কে দৃঢ় করে তোলে। আর সেই বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে খুবই মুশকিল। আর সম্পর্কে যখন এই বিশ্বাস তৈরি হয় তখনই তা সফলতা পায়। তাই এমন কোনও আচরণ করবেন না যাতে একজন অন্যজনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। সম্পর্ক নষ্ট হয়। হাতের উপর হাত থাকুক সব সময়।
সম্পর্কে অবশ্যই একে অপরের প্রতি অনেক দায়িত্ব থাকে। একে অন্যের ভালোমন্দ দেখা। খেয়াল রাখা। সেই সঙ্গে অবশ্যই সমর্থন। সঙ্গীকে কেউ অপমান করলে যেমন মুখ বুজে মেনে নেবেন না তেমনই তাঁর যে কোনও কাজে অবশ্যই পাশে থাকুন। তাঁকে ভরসা দিন। এতে তাঁর মনোবল বাড়বে।