১২ বছরের সম্পর্কে আকাশের থেকে বিচ্ছেদটা থেকে মেনে নিতে পারেনি প্রীতিকা। আকাশের সঙ্গে ওর আলাপ স্কুল থেকেই। স্কুল, কলেজ সব মোটামুটি এক সঙ্গেই পেরিয়ে এসেছে ওরা। কিন্তু কর্মসূত্রে আকাশ যখন রাজ্যের বাইরে চলে গেল তখন থেকেই শুরু হল সমস্যা। সেই সমস্যা পরবর্তীতে এতটাই জটিল হয় যে প্রীতিকা সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। বলা ভাল একরকম স্বেচ্ছায় সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছে ও। বাড়ি থেকে বন্ধু সকলেই ওদের সম্পর্কের কথা জানত। এমনকী বিয়ের কথাও হয়েছিল। তবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রীতিকার বন্ধুরা কিন্তু ওকে বেশ সাহায্য করেছিল। এত বছরের সম্পর্ক কি আর একদিনেই শেষ হয়ে যায়! নিজের উপর অদ্ভুত একটা রাগ, হতাশা ঘিরে ধরে প্রীতিকাকে। বন্ধুদের থেকে ক্রমে নিজেকে সরিয়ে নিতে থাকে। কোনও রকম অনুষ্ঠানেও দেখা মিলত না তার। কোনও রকমে অফিস করে বাড়ি আসত। পড়শি এবং বন্ধুদের অবাঞ্ছিত প্রশ্নেই ওর সমস্যা আরও বেশি জটিল আকার ধারন করে। এরপর প্রীতিকার এক দিদিই ওকে এই সমস্যা থেকে বের করে আনে। ব্রেকআপের পর নিজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। আর সেই সময়টা সকলেরই সকলে দেওয়া উচিত। তাই যে বিষয়গুলি অবশ্যই করবেন
ধ্যান আমাদের মনকে শান্ত করে। প্রতিদিন কিছুটা সময় মেডিটেশন করুন। এতে কিন্তু মন শান্ত হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে একাগ্রতা। মন শান্ত হলেই ডিপ্রেশন কমবে এবং তখন ঠান্ডা মাথায় সব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। প্রয়োজনে রিলাক্সিং মিউজিকও চালিয়ে নিতে পারেন।
নিজেকে মন থেকে বলুন যে আপনি ভালো আছেন। ভাল আপনাকে থাকতেই হবে। তবেই নিজে মন থেকে শক্ত হয়ে যাবতীয় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন। নিজেই নিজেকে উৎসাহ দিলে ভেতর থেকে একটা পজিটিভিটি কাজ করে। যার জেরেই আপনি নিজের জন্য ভালো থাকতে পারবেন।
সব কিছু নিজে আগলে রাখার চেষ্টা করবেন না। কোনও মানুষ পারফেক্ট হয় না। সেই সঙ্গে সবার মন জুগিয়ে চলাটাও সম্ভব নয়। আর তাই কে কী ভাববে এই সবে কান দেবেন না। কিছু জিনিস এড়িয়ে যেতে শিখুন। এতে নিজেই ভালো থাকবেন।
এতদিন নিজের যে শখগুলো অপূর্ণ ছিল সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করুন। নিজের মতো করে সময় কাটান। নিজের প্যাশন আর শখকে প্রাধান্য দিলে দেখবেন নিজেই ভালো থাকছেন।