১৯ জুলাই রাতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন শিল্পা শেট্টির স্বামী ব্যবসায়ী-প্রযোজক রাজ কুন্দ্রা। তাঁর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগ। রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ৩৪ ধারা, ২৯২ এবং ২৯৩ ধারা (অশ্লীল বিজ্ঞাপন এবং প্রদর্শনী)। এছাড়াও রয়েছে আইটি অ্যাক্ট ও Indecent Representation of Women (Prohibition) Act-এর বিভিন্ন ধারা। আপাতত তাঁর ঠিকানা বাইকুলা জেল।
২০২০ সালের জুন মাস থেকে শুরু করে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যে খবর থেকে শিরোনামে, তা বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত। অভিনেতার মৃত্যুর জট খুলতে একাধারে তদন্তে নামে সিবিআই, এনসিবি এবং ইডি। মাদক চক্রের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় Sushant Singh Rajput-এর গার্লফ্রেন্ড Rhea Chakraborty—কে। ২৮ দিন পর ১ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় নায়িকাকে।
কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগে জেলের হাওয়া খেতে হয়েছিল ভাইজান সলমান খানকেও। ১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন ভাইজান। সেই অভিযোগে প্রায় ১৮ দিন জেলে কাটিয়েছেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পান।
বলিউডের সবচেয়ে চর্চিত জেল খাটার ঘটনা সঞ্জু বাবার। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের ঠিক আগে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল একে ৫৬ রাইফেল। বেআইনি অস্ত্র রাখার অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। সুপ্রিম কোর্ট Arms Act-এর অধীনে তাঁকে সাজা শোনায়। ২০১৩ সালে ফের তাঁর জায়গা হয় পুনের Yerwada Jail-এ। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অবশেষে সব সাজা কাটিয়ে ছাড়া পান তিনি।
২০০৯ সালে যখন কেরিয়ার সবে উড়ান দিয়েছে, তখনই পতন ঘটল শাইনি আহুজার। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন বাড়ির পরিচারিকা। জামিনের আবেদনও খারিজ হয়। টানা সাড়ে তিন মাস জেলে কাটাতে হয়েছিল শাইনিকে। ২০১১ সালে অবশেষে শাইনি আহুজার জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট।