এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুকে একটি মন্তব্য লিখে গ্রেফতার হওয়া মণিপুরের আরেক সমাজ কর্মী জেল থেকে ছাড়া পেলেন। এই রাজ্যের হাইকোর্টের নির্দেশে, শুক্রবার , মুক্তি পেলেন Kishorechandra Wangkhem নামের ওই সমাজকর্মী। মণিপুরের BJP সভাপতি এস টিকেন্দ্র সিং-য়ের মৃত্যুর পরে তিনি ফেসবুকে যে মন্তব্য লেখেন তার জন্য তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (National Security Act) গ্রেফতার করা হয়েছিলেন। সমাজকর্মী এরেন্দ্র লিচোংবাম-এর মুক্তির পাঁচদিন পরেই মুক্তি পেলেন একই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক কিশোরচন্দ্র ওয়াংখেম।
মে মাসের ১৩ তারিখে, মণিপুরের আরেক সমাজকর্মী , Erendro Leichombam –এর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় কিশোরচন্দ্রকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, সোমবার, জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন এরেন্ড্রো। আর, শুক্রবার, মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পি ভি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কে এইচ নবিন সিংয়ের দুই সদস্যের বেঞ্চের রায়ে মুক্তি পেলেন Kishorechandra Wangkhem । তাঁকে মণিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। বিকাল ৫ টার আগেই জেল থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তিনি মণিপুরের একটি সংবাদপত্রের সাংবাদিক।
তাঁর স্ত্রী, এলাংবাম রঞ্জিতার দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানিতে কিশোরচন্দ্রকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। High Court বলে, এই একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন Erendro। তার এবং কিশোরচন্দ্রের ক্ষেত্রে কোনও ফারাক নেই। তাদের যে কারণে আটকে রাখা হয় তা সংবিধান বিরোধী। একজনকে ছাড়া হয়েছে। অন্যজনকে একই কারণে জেলে রাখা যায় না। Covid 19 আক্রান্ত হয়ে এস টিকেন্দ্র সিং-য়ের মৃত্যুর পরে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন ‘গোবর এবং গোমূত্র কোনও কাজ করে না। ভিত্তিহীন যুক্তি। আমি কাল মাছ খাব।’ (Cow dung and cow urine doesn’t work. Baseless argument. I will eat fish tomorrow)।
ওই BJP নেতার মৃত্যুর পরে, গোবর এবং গোমূত্র খেলে করোনা সেরে যায় বলে BJP নেতারা যে মন্তব্য করেছিলেন, তার সমালোচনা করে ফেসবুকে মন্তব্য করেন Erendro। তিনি এবং Kishorechandra , এই রাজ্যের এক BJP নেতার দায়ের করা অভিযোগে, একই দিনে গ্রেফতার হন। এই ভাবে তাঁদের গেফতার করার পরে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
মে মাসের ১৩ তারিখে, মণিপুরের আরেক সমাজকর্মী , Erendro Leichombam –এর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় কিশোরচন্দ্রকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, সোমবার, জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন এরেন্ড্রো। আর, শুক্রবার, মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পি ভি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কে এইচ নবিন সিংয়ের দুই সদস্যের বেঞ্চের রায়ে মুক্তি পেলেন Kishorechandra Wangkhem । তাঁকে মণিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। বিকাল ৫ টার আগেই জেল থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তিনি মণিপুরের একটি সংবাদপত্রের সাংবাদিক।
তাঁর স্ত্রী, এলাংবাম রঞ্জিতার দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানিতে কিশোরচন্দ্রকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। High Court বলে, এই একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন Erendro। তার এবং কিশোরচন্দ্রের ক্ষেত্রে কোনও ফারাক নেই। তাদের যে কারণে আটকে রাখা হয় তা সংবিধান বিরোধী। একজনকে ছাড়া হয়েছে। অন্যজনকে একই কারণে জেলে রাখা যায় না। Covid 19 আক্রান্ত হয়ে এস টিকেন্দ্র সিং-য়ের মৃত্যুর পরে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন ‘গোবর এবং গোমূত্র কোনও কাজ করে না। ভিত্তিহীন যুক্তি। আমি কাল মাছ খাব।’ (Cow dung and cow urine doesn’t work. Baseless argument. I will eat fish tomorrow)।
ওই BJP নেতার মৃত্যুর পরে, গোবর এবং গোমূত্র খেলে করোনা সেরে যায় বলে BJP নেতারা যে মন্তব্য করেছিলেন, তার সমালোচনা করে ফেসবুকে মন্তব্য করেন Erendro। তিনি এবং Kishorechandra , এই রাজ্যের এক BJP নেতার দায়ের করা অভিযোগে, একই দিনে গ্রেফতার হন। এই ভাবে তাঁদের গেফতার করার পরে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।