Snowfall In Sikkim : টানা তুষারপাতে আটকে পর্যটকরা, বন্ধ লাচুং-ইয়ামথাং-ছাঙ্গু! ভণ্ডুল হতে পারে সিকিম বেড়ানোর প্ল্যান
সিকিমে চলছে টানা তুষারপাত। সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি। আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। এমন অবস্থায় বেস্তে যেতে পারে আপনার বেড়ানোর পরিকল্পনা
হাইলাইটস
- সিকিমে টানা তুষারপাত
- বন্ধ রাস্তা, আটকে পর্যটকরা
- ১৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে
নাগাড়ে তুষারপাত সিকিমজুড়ে (Snowfall In Sikkim)। গত পাঁচদিন ধরে চলছে টানা বৃষ্টি। এর জেরে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন ১৭৫ জন পর্যটক। যাদের মধ্যে অধিকাংশই বাঙালি। জানা গিয়েছে, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের কর্মীদের সাহায্যে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে সিকিম ট্যুর পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে অনেকের। এর জেরে পর্যটন সেক্টরে জোর ধাক্কা।
এদিকে, প্রায় ১৭৫ জন পর্যটক তুষারাত সিকিমের নানা অংশে আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নামানো হয় BRO কর্মীদের। তুষারপাত এবং বৃষ্টি মাথায় করেই উদ্ধারকাজ চালান এই কর্মীরা। ঘুরতে গিয়ে আটকে থাকা এই পর্যটকদের ট্যাক্সি করে ফের হোটেলে ফেরানো হয়। দীর্ঘ কয়েকঘণ্টা না খেয়ে আটকা পড়ে গিয়েছিলেন এই পর্যটকরা। ফলে তাদের খাবার এবং জলের ব্যবস্থাও করা হয়। এই পর্যটকদের তালিকায় বহু মহিলা এবং শিশুও ছিল।
সিকিম বরাবরই বাঙালি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে। ফলে এই মুহূর্তে যারা সিকিমের লাচুং, লাচেন, ইয়ামথাং, ছাঙ্গু লেক, গুরুদংমারের মতো অঞ্চলে বেড়ানোর প্ল্যান করেছিলেন, তাঁরা নিরাশ হয়ে পড়েছেন। অনেকেরই টিকিট কাটা রয়েছে, হোটেল বুকিংও রয়েছে। কিন্তু, আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতির জেরে আদৌ বেড়ানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অনেকে আবার নিউ জলপাইগুড়িতে ট্রেন থেকে নেমে সিকিমের বদলে উত্তরবঙ্গের অন্যত্র যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ট্যুর অপারেটররাও এই মুহূর্তে পর্যটকদের সিকিমে পাঠানো নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। হোটেল মালিকরা যদিও আশাবাদী। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই পরিস্থিতি কেটে ঝলমলে আকাশ দেখা যাবে বলে আশায় রয়েছেন তারা।
সিকিমে ব্যাপক তুষারপাত
গত ১৫ থেকে ১৭ মার্চ সিকিমে টানা তুষারপাত হয়েছে। ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টিতে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। কোনও কোনও জায়গায় শিলাবৃষ্টিও চলছে। সিকিমের একাধিক পর্যটন স্থলে এই ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের জেরে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। নাথুলা, হরভজন বাবা মন্দির, জুলুক, গুরুদংমার লেক, ছাঙ্গু লেকের মতো পর্যটন স্থলগুলি বরফে ঢেকে গিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে সিকিমে বেড়াতে গিয়েও কার্যত হোটেলেই আটকে থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের। রাস্তায় জমে থাকা বরফের জেরে গাড়ি মাঝপথেই আটকে যাচ্ছে। ফলে গাড়ি চালকরা পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে নারাজ।
আটকে বাঙালি পর্যটক
এদিকে, প্রায় ১৭৫ জন পর্যটক তুষারাত সিকিমের নানা অংশে আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নামানো হয় BRO কর্মীদের। তুষারপাত এবং বৃষ্টি মাথায় করেই উদ্ধারকাজ চালান এই কর্মীরা। ঘুরতে গিয়ে আটকে থাকা এই পর্যটকদের ট্যাক্সি করে ফের হোটেলে ফেরানো হয়। দীর্ঘ কয়েকঘণ্টা না খেয়ে আটকা পড়ে গিয়েছিলেন এই পর্যটকরা। ফলে তাদের খাবার এবং জলের ব্যবস্থাও করা হয়। এই পর্যটকদের তালিকায় বহু মহিলা এবং শিশুও ছিল। বন্ধ রাস্তা, গাড়ি চলাচল
নাগাড়ে চলা তুষারপাতের জেরে সিকিমের একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শেরাথাংয়ের কাছে রাস্তা বল্ক হয়ে রয়েছে। থার্ড মাইল থেকে ১৫ মাইল পর্যন্ত রাস্তা ধীরে ধীরে পরিষ্কার করা হচ্ছে বলে খবর। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, বর্তমানে ১৫ মাইল থেকে সংমো পর্যন্ত গাড়ি চলাচল করছে। কিন্তু, গাড়ি পার্ক করার কোনও জায়গা নেই। সংমোর পর থেকে রাস্তায় জমা রয়েছে বরফের পুরু আস্তরণ। ১৫ মাইলের বেশি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের পারমিট ইস্যু করা হচ্ছে না বলেও খবর। লাচুং থেকে ইয়ামথাং যাওয়ার রাস্তাও সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।সিকিম বরাবরই বাঙালি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে। ফলে এই মুহূর্তে যারা সিকিমের লাচুং, লাচেন, ইয়ামথাং, ছাঙ্গু লেক, গুরুদংমারের মতো অঞ্চলে বেড়ানোর প্ল্যান করেছিলেন, তাঁরা নিরাশ হয়ে পড়েছেন। অনেকেরই টিকিট কাটা রয়েছে, হোটেল বুকিংও রয়েছে। কিন্তু, আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতির জেরে আদৌ বেড়ানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অনেকে আবার নিউ জলপাইগুড়িতে ট্রেন থেকে নেমে সিকিমের বদলে উত্তরবঙ্গের অন্যত্র যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ট্যুর অপারেটররাও এই মুহূর্তে পর্যটকদের সিকিমে পাঠানো নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। হোটেল মালিকরা যদিও আশাবাদী। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই পরিস্থিতি কেটে ঝলমলে আকাশ দেখা যাবে বলে আশায় রয়েছেন তারা।