ফিরল নির্ভয়া আতঙ্ক, নয়ডার পথে চলন্ত বাসে ধর্ষিতা তরুণী

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার টালবাহানার পর ফাঁসি হয়েছিল নির্ভয়ার অপরাধীদের। কিন্তু তাতে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে যে কোনও রাশ পড়েনি তার ফের প্রমাণিত হল নয়ডায়। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় থেকে নয়ডার পথে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ করল বাসের চালকই।

সেই সময় বাসে আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তবে গভীর রাতে ওই স্লিপার বাসে এই ঘটনা ঘটায় অন্য যাত্রীরা টের পাননি বলে দাবি করা হয়েছে। ২৫ বছরের তরুণী তাঁর একটি সাত ও একটি পাঁচ বছরের সন্তান নিয়ে ডাবল ডেকার স্লিপার বাসে প্রতাপগড় থেকে নয়ডা যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামীর কাছে। নয়ডাতেই কর্মরত তাঁর স্বামী। রাত তিনটে নাগাদ লখনউ থেকে মথুরার মাঝামাঝি কোনও জায়গায় চলন্ত বাসে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বাসের চালক। সেই সময় দ্বিতীয় চালক বাস চালাচ্ছিল।

বিকেল ৪.৩০ নাগাদ দুই সন্তানকে নিয়ে বাসে ওঠেন তরুণী। রাত আটটা নাগাদ বাসের এক কর্মচারী তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারলে বাসের একদম পেছনের আসনে চলে যেতে বলেন। নয়ডায় পৌঁছে টাকা দেবেন বলে তরুণী জানালেও রাজি হননি বাসের কর্মচারী। বাধ্য হয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বাসের একদম পেছনে চলে যান তিনি।

ঘুম ভেঙে একসময় টের পান যে তাঁক পাশেই শুয়ে বাসর চালক। ওই তরুণীর গলার ওড়না দিয়েই তাঁর হাত-মুখ বেঁধে ফেলে তাঁকে ধর্ষণ করে সে। পাশে শুয়ে থাকা সন্তানেরাও কিছু টের পায়নি। টের পায়নি বাসের অন্য যাত্রীরাও। পরে ফোন করে স্বামীকে সবকিছু জানান ওই তরুণী। এক বন্ধুর সঙ্গে মিসে বাস তাড়া করে পরের দিন সকালে নয়ডার সেক্টর ৬২-তে বাসটিকে আটকান তাঁর স্বামী। মূল অভিযুক্ত পালিয়ে দেলেও বাসের অন্য কর্মচারীদের আটক করেছে পুলিশ।

খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন।

(The victim's identity has not been revealed to protect her privacy as per Supreme Court directives on cases related to sexual assault)


(নিগৃহীতার পরিচয় গোপন রাখা হল মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী)