অ্যাপশহর

‘ধর্ষণ রুখতে কী করেছিলেন’? অভিযুক্তকে জামিন দিয়ে নির্যাতিতাকে প্রশ্ন আদালতের!

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই শুরু হয়।

EiSamay.Com 24 Mar 2017, 5:26 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৫ মার্চ ধর্ষণে অভিযুক্ত সমীর যাদবের জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট। জামিনের মঞ্জুরের আগে ধর্ষণের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অনন্ত বাদার। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই শুরু হয়। বিচারপতির যুক্তি ও নির্যাতিতার অভিযোগ, দুই নিয়েই আলোচনা শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন মহলে।
EiSamay.Com why didnt she resist bombay hc doubts on rape case
‘ধর্ষণ রুখতে কী করেছিলেন’? অভিযুক্তকে জামিন দিয়ে নির্যাতিতাকে প্রশ্ন আদালতের!


কী ঘটেছিল?
নিগৃহীতার অভিযোগ, ২০১৪ সালের জুনে অভিযুক্ত সমীর তাঁকে শিরোদা এলাকা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সে সময় ছিল সকাল ৮টা। সুমো গাড়িতে তুলে রুমাল দিয়ে ওই যুবতীর মুখ বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে কাছের এক লজে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দাবি করেন, যুবতীর সম্মতি নিয়ে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছিল।

ঘটনার ১১ মাস পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন অভিযোগকারিণী। স্থানীয় আদালত সমীর যাদবকে দোষীসাব্যস্ত ৭ বছরের হাজতবাসের নির্দেশ দেয়। যেই রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আপিল করে সমীর। পুরো ঘটনা শোনার স্থানীয় আদালতের নির্দেশ সাসপেন্ড করেন বিচারপতি বাদার। এবং সমীরের জামিন মঞ্জুর করা হয়।

হাইকোর্টের প্রশ্ন,
দু’পক্ষের আর্জি শোনার পর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ওই যুবতীর মুখ বাঁধা থাকলেও হাত তো খোলা ছিল। এবং সমীর যদি গাড়ি চালাচ্ছিল, তো যুবতী মুখের বাঁধন খুললেন না কেন? পাশাপাশি গোটা ঘটনায় যুবতী একবারও উল্লেখ করেননি যে ধর্ষণ রুখতে তিনি কোনও প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন। এই প্রশ্নেই যুবতীর অভিযোগ ‘দুর্বল’ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। এছাড়াও ওই ঘটনার পর দৈনিক জীবনে ফিরে গেলেও, ১১ মাস পর কেন অভিযোগ দায়ের করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি বাদার।

এই প্রশ্নগুলির সন্তোষজনক উত্তর না পেয়েই সমীরের জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল