এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুদের পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করার অভিযোগে এক ভারতীয় পাইলটকে বিমান থেকে নামিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিল আমেরিকা। পঞ্চাশোর্ধ ওই পাইলট একটি ভারতীয় বিমান সংস্থার ফার্স্ট অফিসার ছিলেন। কয়েক মাস আগে আমেরিকায় থাকার সময় একটি ওয়েবসাইট থেকে শিশুদের পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করেছিলেন তিনি। দু’মাস ধরে তাঁর উপর নজর রাখছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। উড়ানের মাঝে আমেরিকায় যে হোটেলে তিনি থাকতেন, সেখানে ইন্টারনেটে তিনি কোন কোন সাইট দেখতেন, তার উপরও নজরদারি চালানো হয়েছে। সূত্রের দাবি, সাক্ষ্য-প্রমাণ সমেত একটি ডসিয়ার ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে এফবিআই। আমেরিকায় শিশুদের পর্নোগ্রাফি দেখা, তৈরি করা এবং দেশের বাইরে থেকে নিয়ে আসা--- সবকিছুর উপরই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সোমবার এই পাইলটের বিমান স্যান ফ্রান্সিসকোয় নামার আগে থেকেই বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন এফবিআই-এর তদন্তকারীরা। বিমানটি নামার পর যাত্রীদের সামনেই হাতকড়া পরিয়ে বের করে আনা হয় পাইলটকে। মার্কিন প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘তাঁকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, আমেরিকার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। গ্রেপ্তারির কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরতি বিমানে তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আর কখনও আমেরিকায় আসতে পারবেন না।’
ওই বিমান সংস্থার তরফে পাইলটের দেশে ফেরার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। যদিও, তাদের বক্তব্য, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার জন্যই তাঁকে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু, ভারতীয় মিডিয়ার বড় অংশেরই দাবি, এই ‘ডিপোর্টেশন’-এর কারণ শিশুদের পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত অভিযোগ।
শিশুদের পর্নোগ্রাফি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে এফবিআই। ২০১৪ সালে এই তদন্তে এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা। শিশুদের পর্ন রয়েছে এমন একটি সাইটে ম্যালওয়ার ছেড়ে দিয়েছিল এফবিআই। যে সমস্ত লোকজন ওই ওয়েবসাইটে এসে পর্ন দেখেছিলেন, ম্যালওয়ারের মাধ্যমে তাঁদের উপর নজরদারি চালানো হয়েছিল। এ ভাবেই দু’সপ্তাহের মধ্যে কয়েক হাজার দর্শকের কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে পৌঁছে দিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। ফলস্বরূপ, শিশুদের পর্নোগ্রাফি দেখার দায়ে কয়েকশো নাগরিককে নোটিস ধরিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।
ওই বিমান সংস্থার তরফে পাইলটের দেশে ফেরার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। যদিও, তাদের বক্তব্য, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার জন্যই তাঁকে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু, ভারতীয় মিডিয়ার বড় অংশেরই দাবি, এই ‘ডিপোর্টেশন’-এর কারণ শিশুদের পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত অভিযোগ।
শিশুদের পর্নোগ্রাফি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে এফবিআই। ২০১৪ সালে এই তদন্তে এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা। শিশুদের পর্ন রয়েছে এমন একটি সাইটে ম্যালওয়ার ছেড়ে দিয়েছিল এফবিআই। যে সমস্ত লোকজন ওই ওয়েবসাইটে এসে পর্ন দেখেছিলেন, ম্যালওয়ারের মাধ্যমে তাঁদের উপর নজরদারি চালানো হয়েছিল। এ ভাবেই দু’সপ্তাহের মধ্যে কয়েক হাজার দর্শকের কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে পৌঁছে দিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। ফলস্বরূপ, শিশুদের পর্নোগ্রাফি দেখার দায়ে কয়েকশো নাগরিককে নোটিস ধরিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।