এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অদ্ভুত সিদ্ধান্ত বললেও কম বলা হয়। তব, এমনই এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গালে দাড়ি রাখার 'অপরাধে' উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর (এসআই)-কে বরখাস্ত করা হল। অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলায়। জানা গিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ওই পুলিশকর্মীর নাম ইন্তসার আলি। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, দাড়ি রাখা কি অপরাধ এদেশে? যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, পুলিশের ড্রেস কোডের নিয়ম ভাঙায় বাগপত জেলার রামলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর আলিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও বরখাস্ত হওয়ার পর ওই পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, দাড়ি রাখতে চেয়ে অনুমতির জন্যে তিনি গত বছরের নভেম্বর মাসেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও সেই আবেদনের কোনও প্রত্যুত্তর পাননি তিনি। এমনকী সাব-ইন্সপেক্টর আলি এমনও দাবি করেছেন, গত ২৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি আগেও দাড়ি রেখেছেন। কিন্তু কখনই তা তাঁর কাজের জন্যে সমস্যা হয়নি।
যদিও পুলিশের উপর মহলের দাবি, রাজ্য পুলিশের ড্রেস কোড ম্যানুয়ালে উল্লেখ রয়েছে, শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা ছাড়া অন্যান্য পুলিশকর্মীরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই দাড়ি রাখতে পারবেন না। ওই নিয়মকে সামনে রেখেই আলিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছেন বাগপত জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক সিং।
তিনি জানান, 'অনুমতি ছাড়াই দাড়ি রাখার কারণে আলিকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বারংবার নির্দেশ দেওয়া সত্বেও তিনি ড্রেস কোডের নিয়ম পালন করেননি। তাই এবার সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' থানার তরফেও বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ড্রেস প্রোটোকল না মানা এবং দাড়ি রাখার জন্য ইন্তসার আলিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই ড্রেস কোড লঙ্ঘন করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।'
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের দাম সাধ্যের বাইরে, চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন অসহায় মহিলা!
যদিও আলির দাবি, 'আমি ২০১৯ সালের নভেম্বরে অনুমতি চেয়ে চিঠিটি লিখেছিলাম। আমি ২৫ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে সততার সঙ্গে কাজ করছি। এখনও পর্যন্ত কেউ আমাকে দাড়ি রাখতে বাধা দেয়নি। এই বারই প্রথম এমন হল।'
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
যদিও পুলিশের উপর মহলের দাবি, রাজ্য পুলিশের ড্রেস কোড ম্যানুয়ালে উল্লেখ রয়েছে, শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা ছাড়া অন্যান্য পুলিশকর্মীরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই দাড়ি রাখতে পারবেন না। ওই নিয়মকে সামনে রেখেই আলিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছেন বাগপত জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক সিং।
তিনি জানান, 'অনুমতি ছাড়াই দাড়ি রাখার কারণে আলিকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বারংবার নির্দেশ দেওয়া সত্বেও তিনি ড্রেস কোডের নিয়ম পালন করেননি। তাই এবার সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' থানার তরফেও বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ড্রেস প্রোটোকল না মানা এবং দাড়ি রাখার জন্য ইন্তসার আলিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই ড্রেস কোড লঙ্ঘন করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।'
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের দাম সাধ্যের বাইরে, চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন অসহায় মহিলা!
যদিও আলির দাবি, 'আমি ২০১৯ সালের নভেম্বরে অনুমতি চেয়ে চিঠিটি লিখেছিলাম। আমি ২৫ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে সততার সঙ্গে কাজ করছি। এখনও পর্যন্ত কেউ আমাকে দাড়ি রাখতে বাধা দেয়নি। এই বারই প্রথম এমন হল।'
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।