রাকিব ইকবাল
উলুবেড়িয়া
কাগজের থালায় মুঠোখানেক ভেজা ছোলা। আর শশা ও কলার কয়েকটা টুকরো। এটাই এখন দশ জনের খোরাক। বারোটা রোজা পার। এ ভাবে যৎসামান্য খাবার দিয়ে রোজার উপবাস ভঙ্গ করছেন হাসেম আলিরা। কোনও দিন তা-ও জুটছে না। রাতের খাবার বলতে চিনি-ভাত, নুন-ভাত, কখনও সখনও একটা পেঁয়াজ বা লঙ্কা। তাই কামড়েই কোনও মতো বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমেছেন বাংলার একদল জরি ও মেশিন এমব্রয়ডারি শিল্পী। নবাবের শহর হায়দরাবাদে রয়েছেন উলুবেড়িয়া মহকুমার প্রায় দুশো থেকে আড়াইশো জরিশিল্পী।
লকডাউনের কোপ সরাসরি ওঁদের পেটে পড়েছে। পরিবারের সদস্যদের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দিতে সবাই পাড়ি দিয়েছিলেন হায়দরাবাদে। লকডাউন কাজ নেই, খাবারও নেই।
হায়দরবাদের বনজারা হিলসের একটা চার মনজিলের ছোট্ট ছোট্ট ঘরে বন্দি সবাই। সন্ধ্যা হলে মনজিলের নীচে আসে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারাই ক’দিন পরিবেশন করছিল খিচুড়ি। গত দু’দিন তারাও আসছে না। বিল্ডিং থেকে নেমে নীচে খিচুড়ি পাওয়ার আসায় প্রতিদিন লাইনে দাঁড়ান হাসেম, ওয়াসিম, আমির, ইমরান, সাহাবুল, আনসারুল, শেখ মহরমরা। মাঝে মধ্যে পিঠে পড়ছে পুলিশের লাঠি।
উলুবেড়িয়া
কাগজের থালায় মুঠোখানেক ভেজা ছোলা। আর শশা ও কলার কয়েকটা টুকরো। এটাই এখন দশ জনের খোরাক। বারোটা রোজা পার। এ ভাবে যৎসামান্য খাবার দিয়ে রোজার উপবাস ভঙ্গ করছেন হাসেম আলিরা। কোনও দিন তা-ও জুটছে না।
লকডাউনের কোপ সরাসরি ওঁদের পেটে পড়েছে। পরিবারের সদস্যদের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দিতে সবাই পাড়ি দিয়েছিলেন হায়দরাবাদে। লকডাউন কাজ নেই, খাবারও নেই।
হায়দরবাদের বনজারা হিলসের একটা চার মনজিলের ছোট্ট ছোট্ট ঘরে বন্দি সবাই। সন্ধ্যা হলে মনজিলের নীচে আসে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারাই ক’দিন পরিবেশন করছিল খিচুড়ি। গত দু’দিন তারাও আসছে না। বিল্ডিং থেকে নেমে নীচে খিচুড়ি পাওয়ার আসায় প্রতিদিন লাইনে দাঁড়ান হাসেম, ওয়াসিম, আমির, ইমরান, সাহাবুল, আনসারুল, শেখ মহরমরা। মাঝে মধ্যে পিঠে পড়ছে পুলিশের লাঠি।