অ্যাপশহর

ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে, এ বার শোপিয়ানে খতম জঙ্গি, জখম ২ সেনা জওয়ানও

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কাশ্মীরে ফের এনকাউন্টারে এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। সেনার দুই জওয়ানও গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন। যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযানের সময় শোপিয়ানে এই সংঘর্ষ হয়।

EiSamay.Com 26 Dec 2020, 1:01 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে শুক্রবার এক এনকাউন্টারে ভারতীয় সেনার দুই জওয়ান জখম হয়েছেন। সংঘর্ষে এক জঙ্গিও মারা পড়েছে। নিহত জঙ্গির পরিচয় এদিন রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। সংঘর্ষের এই ঘটনাটি ঘটেছে জেলার কনিগম গ্রামে।
EiSamay.Com terrorist killed
কাশ্মীরে এনকাউন্টার। -- ফাইল ছবি


কাশ্মীর পুলিশের কাছে বিশেষ একটি সূত্রে খবর আসে, শোপিয়ানের একটি বাড়িতে তিন-চার জন জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছে। তার ভিত্তিতেই যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযানে যায়। নিরাপত্তা বাহিনী বাড়িটি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেললে জঙ্গিরা ওই বাড়ির ভিতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতেই পালটা জবাব দেয় বাহিনী। দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি চলে।

সরকারি সূত্রে খবর, শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানে, ইমামসাহিব বেল্টের কনিগম গ্রামে এই এনকাউন্টার হয়। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ছাড়াও সেনার ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও সিআরপিএফ যৌথ ভাবে এই অভিযান চালায়। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়েছিল রাষ্ট্রীয় রাইফেল। কিন্তু, জঙ্গিরা সেই আর্জিতে সাড়া না দিয়ে পালটা গুলি চালায়। তাতে দুই সেনা জওয়ান ঘায়েল হলে, পালটা আক্রমণে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। নিহত হয় এক জঙ্গি।

বৃহস্পতিবার সকালেই কাশ্মীরে এক এনকাউন্টারে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বাহিনী। Jammu and Kashmir: বারামুলায় নিহত ২ জইশ জঙ্গির একজন পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। সুরক্ষা বাহিনীর তল্লাশির সময় জইশ জঙ্গিরা গুলি চালালে, এনকাউন্টার বেধে যায়। ঘটনাস্থলে নিহত হয় দুই জঙ্গি।

কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা (Baramulla)-র জেলার বনিগম পেইনের ক্রেরি অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চলছিল। বিশেষ সূত্রে জঙ্গি উপস্থিতির কথা জানতে পেরে এই অভিযান চালায় সুরক্ষা বাহিনী। জঙ্গিদের পালানোর পথ বন্ধ করতে তল্লাশির আগে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছিল। পুলিশের মুখপাত্রের দাবি, জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তারা সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে, সুরক্ষা বাহিনীকে নিশানা করে গুলি চালাতে থাকে।

দু-পক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর দুই জঙ্গির দেহ হয়। নিহতদের একজনের নাম আবরার ওরফে লাঙ্গু। বিশ্বস্ত সূত্রের উল্লেখ করে পুলিশের দাবি, আবরার পাকিস্তানের নাগরিক। নিহত অপর জঙ্গির নাম আমির সিরাজ। বাড়ি সোপরে। নিহত দু'জনেই জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad)-এর সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপত্যকার এক পুলিশ কর্তার দাবি, নিহতদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা সহ একাধিক অভিযোগ ছিল।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর