এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাসছুট হওয়ার বালাই নেই। করোনার কোপে ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ। বদলে নেটদুনিয়া খুলে দিয়েছে অনলাইন ক্লাসরুমের দরজা। কিন্তু, সেই ক্লাসরুমেও হাজার প্রলোভনের হাতছানি। অনলাইন ক্লাস মিউট করে, ক্যামেরা বন্ধ করে খুদে মজে YouTube-এ! আর তার মতিগতি দেখে মাথায় হাত বাবা-মায়ের। বকুনি, শাসানি, মার মোটের উপর শিশুদের 'সোজা' করার সনাতন সব উপায় ফেল করেছে। নিরুপায় বাবা বাধ্য হয়ে সাহায্য চাইছেন নেটপাড়ায়। ক্লাস ফাইভের পড়ুয়ার পড়াশোনায় মতি ফেরাতে YouTube ব্লকের পথ খুঁজছেন বাবা। জনৈক ব্যক্তির প্রশ্নে নানা মুনির নানা মত। সম্প্রতি অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় নামক এক ব্যক্তি ফেসবুকে 'বেঙ্গলিজ ইন হায়দরাবাদ' গ্রুপে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, 'একটি অদ্ভূত সমস্যায় পড়ে সবার সাহায্য চাইছি। আমার ছেলে ক্লাস ফাইভে পড়ে। তার এত YouTube-এর নেশা যে অনলাইন ক্লাস চলাকালীন দিব্যি ক্লাস মিউট করে ক্যামেরা বন্ধ করে ইউ টিউব দেখে। বলে-কয়ে, আদর করে, মেরেও কিছু হচ্ছে না। ক্লাসের জন্য কেনা ল্যাপটপে কীভাবে উইন্ডোস ফায়ার ওয়াল দিয়ে YouTube ব্লক করা যায়?'
অনির্বাণবাবু বর্তমানে থাকেন হায়দরাবাদে। এই সমস্যার কথা জানিয়ে সাহায্য চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তিনি। এরপরেই অনেকে তাঁকে এই সমস্যার সমাধানের উপায় বলেন নিজের মতো করে। তবে কমেন্টে এটা স্পষ্ট শুধু অনির্বাণবাবু নয়, বিচ্চুদের নিয়ে এই সমস্যায় পড়েছেন আরও অনেকেই। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'আমার ছেলেও ক্লাস ফাইভে পড়ে। একই সমস্যায় আমাকেও পড়তে হয়েছিল। এরপর আমি সারাদিন YouTube খুলে ওকে বসিয়ে রেখেছিলাম। দেখ কত দেখবি। তারপর সব সমস্যা মিটে গেল। আর YouTube-এ হাতও দেয় না। রাত্রিবেলা আমার অনুমতি নিয়ে এক ঘণ্টা দেখে। আপনিও Try করতে পারেন।'
আরেক নেটিজেন লিখেছেন, 'আমার মনে হয়, কোনও কিছু ব্লক করা ঠিক হবে না। এতে ওর শিশু মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। শিশুটির মানসিক দিকের খামতি অন্যদিকে পরিচালিত হবে। তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো।'
অনেকে আবার এই কমেন্টগুলির স্ক্রিনশট নিয়ে একই সমস্যায় ভুক্তভোগীদের পাঠানোর কথা বলছেন। কারও আক্ষেপ, 'আমরাও একই সমস্যায় পড়েছি।'
মনোবিদদের একাংশের কথায়, ফাঁকিবাজি বিষয়টা কিন্তু আজকের নয়। টোল সংস্কৃতিতে পণ্ডিতমশাইয়ের চোখ লাগলেই পড়ুয়ারা ছুট লাগাত। ক্লাসরুমে যখন তাদের বেধে দেওয়া হল, তখন ক্লাস কামাইয়ের প্রবণতা দেখা যেত অনেকের মধ্যেই।
কিন্তু, সেই সময় এক ছাত্র অপরজনকে দেখতে পেত, খেলতে পারত, বন্ধু পেত। বন্ধুত্বের টানেও কিন্তু পড়ুয়ারা স্কুলে যেত। এখন পুরোটাই অনলাইনে। ফলে সেই টানও অমিল। ক্লাস ফাঁকির জন্য অনলাইনেই ইতি-উতিতে মন দিচ্ছে খুদেরা। এক্ষেত্রে পরিবারকে অত্যন্ত ধৈর্য্য নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে, মত বিশেষজ্ঞদের।
অনির্বাণবাবু বর্তমানে থাকেন হায়দরাবাদে। এই সমস্যার কথা জানিয়ে সাহায্য চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তিনি। এরপরেই অনেকে তাঁকে এই সমস্যার সমাধানের উপায় বলেন নিজের মতো করে। তবে কমেন্টে এটা স্পষ্ট শুধু অনির্বাণবাবু নয়, বিচ্চুদের নিয়ে এই সমস্যায় পড়েছেন আরও অনেকেই। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'আমার ছেলেও ক্লাস ফাইভে পড়ে। একই সমস্যায় আমাকেও পড়তে হয়েছিল। এরপর আমি সারাদিন YouTube খুলে ওকে বসিয়ে রেখেছিলাম। দেখ কত দেখবি। তারপর সব সমস্যা মিটে গেল। আর YouTube-এ হাতও দেয় না। রাত্রিবেলা আমার অনুমতি নিয়ে এক ঘণ্টা দেখে। আপনিও Try করতে পারেন।'
আরেক নেটিজেন লিখেছেন, 'আমার মনে হয়, কোনও কিছু ব্লক করা ঠিক হবে না। এতে ওর শিশু মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। শিশুটির মানসিক দিকের খামতি অন্যদিকে পরিচালিত হবে। তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো।'
অনেকে আবার এই কমেন্টগুলির স্ক্রিনশট নিয়ে একই সমস্যায় ভুক্তভোগীদের পাঠানোর কথা বলছেন। কারও আক্ষেপ, 'আমরাও একই সমস্যায় পড়েছি।'
মনোবিদদের একাংশের কথায়, ফাঁকিবাজি বিষয়টা কিন্তু আজকের নয়। টোল সংস্কৃতিতে পণ্ডিতমশাইয়ের চোখ লাগলেই পড়ুয়ারা ছুট লাগাত। ক্লাসরুমে যখন তাদের বেধে দেওয়া হল, তখন ক্লাস কামাইয়ের প্রবণতা দেখা যেত অনেকের মধ্যেই।
কিন্তু, সেই সময় এক ছাত্র অপরজনকে দেখতে পেত, খেলতে পারত, বন্ধু পেত। বন্ধুত্বের টানেও কিন্তু পড়ুয়ারা স্কুলে যেত। এখন পুরোটাই অনলাইনে। ফলে সেই টানও অমিল। ক্লাস ফাঁকির জন্য অনলাইনেই ইতি-উতিতে মন দিচ্ছে খুদেরা। এক্ষেত্রে পরিবারকে অত্যন্ত ধৈর্য্য নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে, মত বিশেষজ্ঞদের।