অ্যাপশহর

জোটেনি অ্যাম্বুল্যান্স, অসুস্থ স্ত্রীকে সাইকেলে তুলে ১৩০ কিমি পথ পেরিয়ে হাসপাতালে বৃদ্ধ

স্ত্রীকে কেমো দিতেই হবে। গত কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছে তাঁর স্ত্রী। অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় স্ত্রীকে সাইকেলে চাপিয়ে ১৩০ কিমি পথ পেরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ।

EiSamay.Com 11 Apr 2020, 12:32 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের জেরে একটানা লকডাউনে কাটাচ্ছে গোটা বিশ্ব। গোটা দেশের অপরাধ রিপোর্ট বলেছে, লকডাউনে চুরি-ছিনতাই, খুন-জখম-রাহাজানি কমলেও, গার্হস্থ্য বা পারিবারিক হিংসার রেখাচিত্র করোনায় আক্রান্তের মতোই ঊর্ধ্বমুখী। কোথাও বউমার উপর শাশুড়ি বা শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন। কখনও স্বামীর হাতে স্ত্রীর নিগ্রহ। আবার বউমার হাতে শাশুড়ি নিগ্রহের ঘটনাও আকছার ঘটছে। যতই গার্হস্থ হিংসা বাড়ুক, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যে কতটা মধুর হতে পারে তার নজির গড়ল তামিলনাডুর এই বৃদ্ধ দম্পতি।
EiSamay.Com এই সেই বৃদ্ধ দম্পতি
এই সেই বৃদ্ধ দম্পতি


দেশজুড়ে চলা লকডাউনে বন্ধ হয়েছে পরিবহন। একটা অ্যাম্বুল্যান্সও জোগাড় করা যায়নি। অথচ স্ত্রীকে কেমো দিতে হবে। তাই স্ত্রীকে সাইকেলে চাপিয়ে ১৩০ কিমি পথ পেরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন আরিভাজাগান নামে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। কুম্ভাকোনাম থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে এলেন চিকিৎসা করাতে। বৃদ্ধের স্ত্রী ও মঞ্জুলা বয়স ৬০ বছর। পয়সার অভাবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। আগের দুটো কেমো নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই দিন তাঁর তৃতীয় কেমো নেওয়ায় কথা ছিল। তাই স্ত্রীর চিকিৎসায় যাতে কোনও ত্রূটি না থাকে সে জন্য নিজেই তাঁকে নিয়ে এলেন হাসপাতালে।

হাসপাতালে পৌঁছনোর পর তাঁদের সাধুবাদ জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের জন্য খাবার এবং জলের বন্দোবস্তো করেছেন হাসাপাতালের সকলে। অবশ্য, সেই দিন তাঁরা ফিরতে পারেন নি। গোটা রাত হাসপাতালে কাটিয়ে পরের দিন অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন: বাংলায় করোনার থাবা LIVE: উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যে, তীক্ষ্ণ নজর 'হটস্পট' এলাকায়

খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল