বাংলাদেশের ঘটনায় মোদী নিষ্ক্রিয় কেন, প্রশ্ন তৃণমূলের
Durga Puja-এর সময়ে Bangladesh-এর অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের নীরবতায় প্রশ্ন তুলল TMC। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi-র চুপ থাকা নিয়ে তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানাল তৃণমূল।
Ei Samay 20 Oct 2021, 1:41 pm
হাইলাইটস
- বাংলাদেশের ঘটনাবলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।
- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের দাবি, 'কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এই সময়: বাংলাদেশের ঘটনাবলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। মঙ্গলবার তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয় নিবন্ধের মূল নির্যাস হল- পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মন্দিরে পুজোও দিয়েছিলেন। অথচ শারদ উৎসবকে ঘিরে বাংলাদেশে টানা অশান্তি ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চললেও মোদী কেন নীরব? ওই সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছে, 'আমরা বিস্মিত, ভোটের আগে যে প্রধানমন্ত্রী ভোট টানার অঙ্কে বাংলাদেশে পুজো দিতে গিয়ে প্রচার সারলেন তিনি প্রথম থেকেই নিষ্ক্রিয় কেন? নাকি বাংলাদেশে হিন্দু নিগ্রহ দেখাতে পারলে সেই সুড়সুড়ি দিয়ে এই বাংলায় হিন্দু আবেগ উস্কে ভোট করার চেষ্টা? বিভিন্ন দেশের মৌলবাদী শক্তির ধর্ম আলাদা হতে পারে, কিন্তু ধর্মের নামে ভোট ব্যবসার স্বার্থে এরা পরস্পরের পরিপূরক।' এদিন এই একই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও।
কিছু দিন আগে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের ঘটনার পর এই রাজ্যে বিজেপির ভোট বাড়বে। তাই তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, এই ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখেই নরেন্দ্র মোদী নীরব রয়েছেন। যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী কোনও মন্তব্য না-করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের দাবি, 'কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভারতীয় হাইকমিশন শীঘ্রই এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবে।'
তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, 'তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে। সেখানে বিজেপি ভারতের মুসলমান এবং বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই কথা বলে। বাংলাদেশের ঘটনাবলিকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে দেখতে হবে। আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থানে উপমহাদেশের মৌলবাদী শক্তি উৎসাহিত হয়েছে। এই বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এই বিষয়কে দেখতে হবে। সমস্যা হলো, তৃণমূল সঙ্কীর্ণ ভোট রাজনীতির বাইরে কিছু জানে না।'
এদিন দিল্লিতে আবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, 'যে তৃণমূল নেতৃত্ব বাঙালিদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছে, ত্রিপুরা ও অসমে লোক পাঠাচ্ছে, তাদের তো বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তারা কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করছে না?'
যদিও তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'বাংলাদেশের এই বিষয়টি দুই দেশের বিদেশনীতির বিষয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মোটেই ধর্মের ভিত্তিতে নয়। যেহেতু বিদেশনীতির বিষয়, তাই সে ভাবেই আমরা দেখছি।' বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, কেন্দ্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রোটোকল মেনে যে ভূমিকা গ্রহণ করার, সেই কাজই করছে।
বিজেপি বাংলাদেশের ঘটনা থেকে আসন্ন উপনির্বাচনে ফায়দা তুলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে বামেরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেছেন, 'রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনায় তাঁদের ভোট বাড়বে। বাংলাদেশের ঘটনাবলির সঙ্গে এই রাজ্যের ভোট জুড়ে দিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসকদল। জঘন্য মনোভাব। কিন্তু এটাও ঠিক যে, এই রাজ্যের সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে।'
রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলছেন, 'শেখ হাসিনা এদিনও অশান্তি নিয়ে কড়া মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু কেন্দ্র চাইলে কূটনৈতিক পথে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারে। যেহেতু আমাদের পাশের দেশেই এই ঘটনা ঘটছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কিন্তু কাউকেই এখনও সেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখছি না।'
কিছু দিন আগে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের ঘটনার পর এই রাজ্যে বিজেপির ভোট বাড়বে। তাই তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, এই ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখেই নরেন্দ্র মোদী নীরব রয়েছেন। যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী কোনও মন্তব্য না-করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের দাবি, 'কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভারতীয় হাইকমিশন শীঘ্রই এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবে।'
তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, 'তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে। সেখানে বিজেপি ভারতের মুসলমান এবং বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই কথা বলে। বাংলাদেশের ঘটনাবলিকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে দেখতে হবে। আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থানে উপমহাদেশের মৌলবাদী শক্তি উৎসাহিত হয়েছে। এই বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এই বিষয়কে দেখতে হবে। সমস্যা হলো, তৃণমূল সঙ্কীর্ণ ভোট রাজনীতির বাইরে কিছু জানে না।'
এদিন দিল্লিতে আবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, 'যে তৃণমূল নেতৃত্ব বাঙালিদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছে, ত্রিপুরা ও অসমে লোক পাঠাচ্ছে, তাদের তো বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তারা কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করছে না?'
যদিও তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'বাংলাদেশের এই বিষয়টি দুই দেশের বিদেশনীতির বিষয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মোটেই ধর্মের ভিত্তিতে নয়। যেহেতু বিদেশনীতির বিষয়, তাই সে ভাবেই আমরা দেখছি।' বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, কেন্দ্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রোটোকল মেনে যে ভূমিকা গ্রহণ করার, সেই কাজই করছে।
বিজেপি বাংলাদেশের ঘটনা থেকে আসন্ন উপনির্বাচনে ফায়দা তুলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে বামেরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেছেন, 'রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, বাংলাদেশের ঘটনায় তাঁদের ভোট বাড়বে। বাংলাদেশের ঘটনাবলির সঙ্গে এই রাজ্যের ভোট জুড়ে দিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসকদল। জঘন্য মনোভাব। কিন্তু এটাও ঠিক যে, এই রাজ্যের সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে।'
রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলছেন, 'শেখ হাসিনা এদিনও অশান্তি নিয়ে কড়া মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু কেন্দ্র চাইলে কূটনৈতিক পথে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারে। যেহেতু আমাদের পাশের দেশেই এই ঘটনা ঘটছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কিন্তু কাউকেই এখনও সেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখছি না।'