অ্যাপশহর

আশ্চর্য বালক! ২৩০টি দেশের জাতীয় পতাকা চিনিয়ে রেকর্ড গড়ল ৩ বছরের খুদে

এই খুদের মধ্যে রয়েছে আশ্চর্য এক ক্ষমতা। ২০১৭ সালে ১৭ এপ্রিল জন্ম ছোট্ট আরুষের। এক বছর বয়সেই ফল, সবজি, গাড়ির ছবি দেখে চিনিয়ে দিয়েছিল সে। এমন আশ্চর্য বালকের কীর্তি দেখে অবাক হয়েছিলেন খোদ বাবামা-ই। জুনের শেষ সপ্তাহেই আরুষের হাতে এসেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসের মেডেল ও সার্টিফিকেট।

EiSamay.Com 17 Aug 2020, 4:57 pm
EiSamay.Com Aarush Kalburgi
তিন বছরের আরুষ কুলবার্গি
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মাত্র তিন বছর! এই বয়সেই গড়গড় করে বলে দিতে পারে ২৩৫টি দেশের রাজধানীর নাম। চিনিয়ে দিতে পারে ওই দেশের জাতীয় পতাকাও। একরত্তির ট্যালেন্ট দেখে আপনি ভাবছেন গল্পকথা! না , মোটেই না। নার্সারির ওই খুদের দুরন্ত ট্যালেন্টের জোরে এই বয়সেই পকেটে পুরে ফেলেছে দেশ-বিদেশের মেডেল আর সার্টিফিকেট। দ্য এশিয়া বুক অফ রেকর্ড, আর দ্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের খাতায় নাম তুলেছে এই খুদে।

অহমদাবাদের মামিনগরের মা-বাবার সঙ্গে থাকে আরুষ কুলবার্গি। বিভিন্ন দেশের রাজধানী ও জাতীয় পতাকা চিনিয়ে দিয়েই তাঁর ট্যালেন্ট শেষ, একথাও বলা যাবে না। এই বয়সেই সুর-ছন্দ মিলিয়ে গুরু ব্রহ্ম, সরস্বতী বন্দনা, শ্রী রাম স্তুতি, শুভম কারোতি ও শান্তাকরম- সব বলে দিতে পারে এক নিমেষে!

২০১৭ সালে ১৭ এপ্রিল জন্ম ছোট্ট আরুষের। এক বছর বয়সেই ফল, সবজি, গাড়ির ছবি দেখে চিনিয়ে দিয়েছিল সে। এমন আশ্চর্য বালকের কীর্তি দেখে অবাক হয়েছিলেন খোদ বাবামা-ই। সেই বয়সে মুখে কথাই ফোটেনি ছেলের। কিন্তু কোনটা আম, কোনটা বেগুন, কোনটা জাহাজ- সবই খাতার মধ্যে রঙিন ছবি দেখিয়ে বলে দিতে পারত ছোট্ট আরুষ!

এই খুদের মধ্যে রয়েছে আশ্চর্য এক ক্ষমতা। আরুষের বাবা ভাগ্যেশ কুবার্গি আরবের একটি মাল্টি-ন্যাশানাল সংস্থায় কাজ করেন। তিনিই জানিয়েছেন, 'খুব ছোট্ট বয়সেই লক্ষ্য করি নানা বিষয়ে চটপট উত্তর দেয় আরুষ। ছোট্ট ছেলের জন্য নানা ধরণের ফ্ল্যাশ কার্ড এনে দিতেন তিনি। সেই কার্ডগুলো দেখার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তারপর যখন নাম ও পতাকা মনে রেখে বলতে শুরু করল, তখন ওর ট্যালেন্ট সামনে আসতে শুরু করে। এমন ভাবেই বিভিন্ন দেশের নাম, সেই দেশের রাজধানী ও জাতীয় পতাকাও চিনে ফেলে সে।'

'লকডাউনে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি বাড়ি থেকে। তবে আমরা ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটগুলি চেক করেছিলাম। তখন জানতে পারি, ২১৫টি দেশের নাম ও সেই দেশের জাতীয় পতাকা চিহ্ণিত করে বলার রেকর্ড রয়েছে। আমরা তখন একটু বেশি পরিশ্রম করি। আরুষ খুব সহজেই ২৩৫টি জেশের নাম ও ২৩০টি দেশের জাতীয় পতাকা চিহ্ণিত করার রেকর্ড করে ফেলে।' ছেলের আশ্চর্য কীর্তি ও এমন রেকর্ড গড়ায় খুব খুশি মা খেয়াতি কুলবার্গি।

আরুষের এই গোটা ঘটনাটিই ভিডিয়ো রেকর্ড করে পাঠাতে হয়েছিল। সেখানে ভিডিয়ো যাচাই করে তবেই সে নির্বাচিত হয়েছে। জুনের শেষ সপ্তাহেই আরুষের হাতে এসেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসের মেডেল ও সার্টিফিকেট।

আরুষের ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবছেন বাবা-মা?এই প্রশ্নের উত্তরে গর্বিত বাবা ভাগ্যেশ জানিয়েছেন, 'এই মুহূর্তে ছেলের ভবিষ্যত নির্ণয় করা কঠিন। তবে এখনই কিছু ভেবে রাখিনি। আরুষ এখন অনেক ছোট। আমরা ওর উপর কোনও কিছুই জোর করে চাপিয়ে দেব না। তবে ওর কাছে যে ট্যালেন্ট আছে, সেটাকে কাজে লাগিয়েই ওকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করব।'

খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন এখানে...

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর