এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের ডম্বিবলি অঞ্চলে বাড়ি ব্রুশালী বামানে-র। পড়াশোনা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতনে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে ৫ কোটির বাংলো, গোটা পাঁচের ফ্ল্যাট, তিনটে গাড়ি কিনে ফেলেছেন। ভোজবাজি না, শুধু বুদ্ধির জোরে। ঠিক বুদ্ধি না বলে তাকে ‘কু-বুদ্ধি’ বলাই বোধ হয় ঠিক হবে। তবে সেই কু-বুদ্ধির জেরেই এখন জেলে রয়েছেন ব্রুশালী।
মুম্বইয়ে মহালক্ষ্মী রোপ ওয়ার্কস-এ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতেন ব্রুশালী। দ্বাদশ শ্রেণির পড়া শেষ করেই কাজে ঢোকেন তিনি। ক্রমে বেতনও বাড়তে থাকে। সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে অ্যাকাউন্টেন্সির কোনও রকম ধারণা না থাকা সত্ত্বেও তিনি অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাজ পেয়েছিলেন। এই কাজ করেই মুম্বইয়ের মতো শহরে ৫ কোটির বাংলো, ৫টি ফ্ল্যাট কেনা চাট্টিখানি কথা নয়। তা ছাড়াও তিনটে দামি গাড়িও কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু কী ভাবে?
সেখানেই যাবতীয় গণ্ডগোল। যে কোনও মানুষের পক্ষে এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, এই বেতনে এ সব স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। আর শুধুমাত্র নিজের জন্যেই নয়, আত্মীয়স্বজনদের জন্যেও দামি গাড়ি, নগদ টাকা উপহার হিসাবে দিতেন ব্রুশালী। তাঁর চালচলনেই সন্দেহের উদ্রেক হয়। শেষ পর্যন্ত অনুসন্ধানে প্রকাশ হয়, সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলেছিলেন ব্রুশালী। বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই কাজ করেন তিনি। আর সেই টাকা দিয়েই এত সম্পত্তি তৈরি করেন। পুলিশ তদন্তে এ সব ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখানেও নগদ টাকা এবং ১৮ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ। আপাতত IPC ৪০৮ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। কোনও ভাবে যাতে ব্রুশালী জামিন না পান তার দাবিও জানিয়েছে পুলিশ।
মুম্বইয়ে মহালক্ষ্মী রোপ ওয়ার্কস-এ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতেন ব্রুশালী। দ্বাদশ শ্রেণির পড়া শেষ করেই কাজে ঢোকেন তিনি। ক্রমে বেতনও বাড়তে থাকে। সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে অ্যাকাউন্টেন্সির কোনও রকম ধারণা না থাকা সত্ত্বেও তিনি অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাজ পেয়েছিলেন। এই কাজ করেই মুম্বইয়ের মতো শহরে ৫ কোটির বাংলো, ৫টি ফ্ল্যাট কেনা চাট্টিখানি কথা নয়। তা ছাড়াও তিনটে দামি গাড়িও কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু কী ভাবে?
সেখানেই যাবতীয় গণ্ডগোল। যে কোনও মানুষের পক্ষে এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, এই বেতনে এ সব স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। আর শুধুমাত্র নিজের জন্যেই নয়, আত্মীয়স্বজনদের জন্যেও দামি গাড়ি, নগদ টাকা উপহার হিসাবে দিতেন ব্রুশালী। তাঁর চালচলনেই সন্দেহের উদ্রেক হয়। শেষ পর্যন্ত অনুসন্ধানে প্রকাশ হয়, সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলেছিলেন ব্রুশালী। বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই কাজ করেন তিনি। আর সেই টাকা দিয়েই এত সম্পত্তি তৈরি করেন। পুলিশ তদন্তে এ সব ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখানেও নগদ টাকা এবং ১৮ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ। আপাতত IPC ৪০৮ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। কোনও ভাবে যাতে ব্রুশালী জামিন না পান তার দাবিও জানিয়েছে পুলিশ।