অ্যাপশহর

আগাম জামিন পেতে গুরংদের আর্জি জানাতে হবে হাইকোর্টে

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, তাঁরা গোর্খা নেতাদের আর্জি অনুযায়ী ভোটে প্রচারের জন্য কোনও 'রক্ষাকবচ' দিচ্ছেন না৷ এর পরেও গোর্খা নেতারা প্রচার চালালে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে৷ তবে বিমলরা চাইলে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন বলেও নির্দেশে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷

EiSamay.Com 4 Apr 2019, 9:45 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে সুরাহা পেলেন না বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। লোকসভার ভোট-পর্বে দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সম্ভবত প্রচারও করতে পারবেন না অগুনতি ফৌজদারি মামলায় ফেরার বিমলরা৷ বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, তাঁরা গোর্খা নেতাদের আর্জি অনুযায়ী ভোটে প্রচারের জন্য কোনও 'রক্ষাকবচ' দিচ্ছেন না৷ এর পরেও গোর্খা নেতারা প্রচার চালালে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে৷ তবে বিমলরা চাইলে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন বলেও নির্দেশে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ হাইকোর্টে আবেদন জানাতে হবে এ দিনের রায়ের চার দিনের মধ্যে৷ হাইকোর্টকে দ্রুত শুনানি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতিরা৷
EiSamay.Com the supreme court disposed of the petitions against two gorkha janmukti morcha (gjm) leaders roshan giri and bimal gurung, seeking protection to participate in campaigning for the lok sabha election 2019
আগাম জামিন পেতে গুরংদের আর্জি জানাতে হবে হাইকোর্টে


শীর্ষ আদালতে এই মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। মঙ্গলবারই তিনি তথ্যপ্রমাণ পেশ করে প্রশ্ন তুলেছিলেন, দেশদ্রোহ-সহ সাড়ে তিনশো মামলায় ফেরার অভিযুক্ত বিমল গুরুঙের ছবি কী ভাবে স্থান পায় বিজেপির পোস্টারে একেবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে! তিনি জানান, অসংখ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, পেশ হয়েছে ১১১টি চার্জশিট৷ তার পরেও কেউ কী ভাবে ভোটে প্রচারের জন্য রক্ষাকবচ পেতে পারেন? সুপ্রিম কোর্টের বুধবারের রায় সিবালের সওয়ালেই কার্যত শিলমোহর দিয়েছে।

এর পরেও বিমল-রোশনদের গ্রেপ্তারির সম্ভাব্যতা জটিলতা তৈরি হয়েছে। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি, সেহেতু গুরুংদের গ্রেপ্তারিতে বাধা রইল না বলে দাবি রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের৷ অন্য দিকে গোর্খা নেতাদের আইনজীবীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, গত ডিসেম্বরের রায় অনুযায়ী গোর্খা নেতাদের গ্রেপ্তার করতে পারে না রাজ্য পুলিশ৷ পাল্টা রাজ্যের আইনজীবীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ে গ্রেপ্তারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল গুরুংদের বিরুদ্ধে দায়ের ১৪টি মামলায়, যেগুলির তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ৷ এর বাইরে রাজ্য পুলিশের তদন্তাধীন ৩৫০ মামলা রয়েছে, যেগুলির ক্ষেত্রে অগুনতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। এই পরোয়ানার দৌলতেই রাজ্য পুলিশ গুরুংদের গ্রেফতার করতে পারে৷

ঘটনা হল, নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের নামে দার্জিলিং-সহ পাহাড়ের বিস্তীর্ণ অংশে ভোটে প্রচার চালানোর যে পরিকল্পনা করেছিলেন বিমলরা, তাতে কর্ণপাত করেননি শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। মঙ্গলবার দীর্ঘ দু'ঘণ্টার শুনানিতেই বিচারপতিরা গুরুংদের আইনজীবী মুকুল রোহাতগিকে বলেছিলেন, 'যদি অন্তর্বর্তী সুরক্ষা দেওয়া হয় তা হলে আইন মানতে হবে৷ কাউকে ওয়ান ওয়ে ট্র্যাফিক হতে দেওয়া যাবে না৷ আগাম জামিনের আবেদন করতে পারা যেতে পারে, তবে তা খারিজ হলে আত্মসমর্পণই করতে হবে সঙ্গে সঙ্গে৷'

বুধবারের রায়ের পর বিমলদের নিয়ে অবশ্য গুজব ছড়িয়েছে দার্জিলিং-কালিম্পঙে। একটি অডিয়ো-বার্তায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার বাগডোগরায় নামবেন বিমল গুরুং। ওই অডিয়ো-বার্তা ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। জিএনএলএফের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রীর দাবি, 'সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দিয়েছে তাতে বিমলদের পাহাড়ে ফিরতে কোনও অসুবিধা রয়েছে বলে আমি মনে করি না। তবে ওই অডিয়ো-বার্তা আমি পাইনি।'

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল