অ্যাপশহর

রাজনৈতিক বন্ডে গ্রাহ্য করা হল না সংশোধনী

রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে ডোনেশন দেওয়া নিয়ে সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে , তার ফলে রাজনীতিতে কালো টাকার প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হবে বলে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷

EiSamay.Com 31 Mar 2017, 4:27 pm
গৌতম হোড় ■ নয়াদিল্লি
EiSamay.Com the government has taken steps to fund donations to political parties the politics of black money saied arun jaitley
রাজনৈতিক বন্ডে গ্রাহ্য করা হল না সংশোধনী

রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে ডোনেশন দেওয়া নিয়ে সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে , তার ফলে রাজনীতিতে কালো টাকার প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হবে বলে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ তিনি জানিয়েছেন , বন্ডের মাধ্যমে ডোনেশন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অস্বচ্ছতা আছে তা ঠিক , কিন্ত্ত এর থেকে ভালো কোনও প্রস্তাব তাঁর কাছে নেই৷ অর্থমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ , ভাষণ দেওয়া এবং সম্পাদকীয় লেখার কাজটা সহজ৷ কিন্ত্ত বিকল্প ভালো প্রস্তাব দেওয়াটা খুবই কঠিন৷

কেউ সেটা দিতে পারলে তিনি অবশ্যই তা গ্রহণ করার কথা ভাববেন৷ আসলে এই প্রশ্নটা এসেছিল , অর্থ বিলের ওপর রাজ্যসভার করা পাঁচটি সংশোধনী নিয়ে৷ এ দিন লোকসভায় সব সংশোধনী খারিজ হয়ে গিয়েছে৷ অর্থবিলে এ বার জনপ্রতিনিধি আইনের সংশোধনও করেছে মোদী সরকার৷ তাতে বলা হয়েছে , আগে কোনও কর্পোরেট তাদের লাভের মাত্র সাড়ে সাত শতাংশ অর্থ রাজনৈতিক দলকে দিতে পারত৷ এখন আর কোনও উর্ধ্বসীমা থাকবে না৷ তা ছাড়া বাজেটে প্রস্তাবিত বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও কোম্পানি অর্থ সাহায্য করলে তাদের জানাতে হবে না যে , কোন দলকে তারা অর্থ দিয়েছে৷ এর ওপর রাজ্যসভার সংশোধনী ছিল , আগের ব্যবস্থা বহাল থাক৷ সাড়ে সাত শতাংশর বেশি লাভের টাকা রাজনৈতিক দলে দেওয়া যাবে না৷ আর কোন রাজনৈতিক দলকে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে তা জানাতে হবে৷

এ দিন লোকসভায় কংগ্রেস , বাম , তৃণমূল , বিজেডি ছাড়াও শিবসেনাও এই সংশোধনকে সমর্থন করে৷ কিন্ত্ত শেষ পর্যন্ত সরকার তা মানেনি৷ এই সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে জেটলির যুক্তি হল ,নাম প্রকাশ করার বিষয়টি থাকলে কর্পোরেটগুলি পিছিয়ে যাচ্ছে৷ কারণ , তাদের একটা আশঙ্কা থাকে সরকার বদল হলে তাদের হেনস্থার মুখে পড়তে হতে পারে৷ এই আশঙ্কার জন্যই আগের ব্যবস্থা সফল হয়নি৷ সে জন্যই এ বার নাম জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি৷ এতে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে কালো টাকা আসবে না৷ তবে এতেও পুরো স্বচ্ছতা আসবে না৷ জেটলি বলেন , কংগ্রেসের যদি এতে আপত্তি থাকে তো তারা কর্পোরেটের কাছ থেকে শুধু চেক -এ টাকা নিন৷ কংগ্রেসের দীপিন্দর হুডা , বিজেডি -র ভর্তৃহরি মহাতব , তৃণমূলের সৌগত রায় , শিবসেনার আনন্দরাও আদসুল অবশ্য মনে করেন , এতে রাজনৈতিক ডোনেশনে অস্বচ্ছতা বহাল থাকবে৷

দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় জেটলি বলেন , আয়কর হানা নিয়ে বিরোধীদের আশঙ্কা ঠিক নয়৷ বিরোধীরা বলেছিলেন , সরকার এখন নিয়ম বদল করে এমন ব্যবস্থা করেছে যাতে আয়কর অফিসাররা ইচ্ছে করলেই যে কোনও লোকের বাড়িতে হানা দিতে পারে এবং সার্চ করতে পারে৷ জেটলি জানান , এটা একেবারেই ভুল ধারণা৷ আগের ব্যবস্থাই বহাল থাকছে৷ কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বাপারে কোনও সন্দেহ হলে বা খবর আসলে , প্রথমে রিপোর্ট তৈরি হয়৷ তারপর উঁচু পদে থাকা অফিসারের অনুমতিক্রমে হানা হয়৷ আগেও এই ব্যবস্থা ছিল৷ এখনও তাই থাকবে৷ আদালতের একটা রায়ের পর বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল , সেটা কাটাতেই নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল