অ্যাপশহর

ভোটে 'সন্ত্রাস' কুমির-পাইথনের!

দুর্গম জায়গায় ভোটের ডিউটি করার অভিজ্ঞতা বহু সরকারি কর্মচারীরই আছে। রাস্তা নেই, বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই - এমন নানা পরিস্থিতির মুখে অনেককেই পড়তে হয়েছে। কিন্তু, ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে কুমিরের সঙ্গে লড়াই! কিংবা পাইথনের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যাওয়া! এ সব বোধহয় খুব বেশি ভোটকর্মীকে করতে হয়নি।

EiSamay.Com 6 Apr 2019, 9:44 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অবিশ্বাস্য মনে হলেও, সত্যি। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভোট করাতে যাওয়া সরকারি কর্মী এবং আধিকারিকদের এই পরিস্থিতির মুখেই পড়তে হয়। এ বছরও যার অন্যথা হচ্ছে না।
EiSamay.Com the condition in andaman and nicobar before general election
ভোটে 'সন্ত্রাস' কুমির-পাইথনের!


এই দ্বীপপুঞ্জের একটি মাত্র লোকসভা আসনে ভোট প্রথম দফায়। তার আগে বিধি মেনে চলছে বুথ এবং ভোটকেন্দ্র খতিয়ে দেখার কাজ। আর তার জন্য ভোটকর্মীদের ভরসা নৌকো। তাতে চড়েই সমুদ্র, খাড়ি পার করছেন তাঁরা। কোনও কোনও জায়গায় জলপথ তো এতটাই সঙ্কীর্ণ যে নৌকো ছেড়ে ডিঙিতে সওয়ার হতে হচ্ছে। ভোটকর্মীদের পাহাড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী তো দেশের অন্য অংশে দেখাই যায়। এই এলাকায় ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে বনকর্মীদের হাতে! নৌকো বা ডিঙিতে চড়ে ভোটকর্মীদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান তাঁরাও। কারণ, আতঙ্ক এখানে অন্য রূপে আসে! জলে কুমির আর ডাঙায় পাইথন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে গিয়ে যে কেউ এদের সামনে পড়ে যেতেই পারেন। এমনটা যাতে না হয়, তার জন্যই সঙ্গে থাকেন বনকর্মীরা।

২০১৪ সালে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হয়ে আন্দামান গিয়েছিলেন রিনা রায়। সে অভিজ্ঞতা আজও ভুলতে পারেননি তিনি। সমুদ্র-পথে কয়েকঘণ্টা যাওয়ার পর তাঁদের বলা হয়েছিল, 'এখানে কোমর সমান জল রয়েছে। নৌকা এই পর্যন্তই যাবে। বাকিটা পথ জল পেরিয়ে চলে যান।' রিনার কথায়, 'জলে নামার পর বলা হয়েছিল, সাবধানে যান কুমির আছে।' কিছু ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে আবার গভীর জঙ্গল ভেদ করে যেতে হয়! সেখানে বুনো হাতির উপদ্রব নির্বাচন কমিশনের মাথাব্যাথার কারণ।

কমিশনের আধিকারিক মুকেশ রাজোরার বক্তব্য, 'মোবাইল এবং ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের অভাবও এখানে বড় সমস্যা। রিপোর্ট পাঠানোই চ্যালেঞ্জ।' প্রশাসনের হিসেব বলছে, তিরিশ শতাংশ এলাকাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। থাকার ব্যবস্থাও নৈব নৈব চ। এই সব প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গে নিয়েই চলছে গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসবের আয়োজন।

এই আসনটিতে এ বার মূল লড়াই কংগ্রেসের কুলদীপ সিং শর্মার সঙ্গে বিজেপির বিশাল জলির। গতবারের বিজয়ী সাংসদ বিষ্ণুপদ রায়কে এ বার টিকিট দেয়নি বিজেপি। বেকারত্ব, চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি এ বার এখানে ভোটের লড়াইয়ে উঠে আসছে চিনি-ও। বাসিন্দাদের নিখরচায় চিনি বিলির ব্যবস্থা ছিল। বছর তিনেক হল তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, কয়েকমাস আগে সেন্টিনেল দ্বীপে গিয়ে প্রাণ যায় এক মার্কিন পর্যটকের। ভোটের বাজারে ঘোরাফেরা করছে সেটিও।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল