অ্যাপশহর

রাস্তা না-হলে বিয়েই করব না! তরুণীর মেলে তৎপর প্রশাসন

গ্রামের রাস্তা পাকা না হলে বিয়েই করবেন না। এমনই জেদ ধরে বসলেন তরুণী। বছর ছাব্বিশের শিক্ষিকা ওই তরুণীর মেল পেয়ে গ্রামের রাস্তা সারাইয়ের তৎপর হয়েছে Karnataka প্রশাসন।

Ei Samay 18 Sep 2021, 1:49 pm

হাইলাইটস

  • পাকা একটা রাস্তা নেই বলে ভালো ঘরে বিয়েও হয় না মেয়েদের।
  • স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবি, খেপে-খেপে ১-২ লাখ টাকা খরচ করে মাঝে মাঝেই রাস্তা সারাইয়ের কাজ হয়।
  • যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
EiSamay.Com Village
প্রতীকী ছবি
এই সময়: এখন না-হয় স্কুল বন্ধ। কিন্তু খোলা থাকলে জল-কাদা মাড়িয়ে রোজ অন্তত ১৪ কিলোমিটার হাঁটতে হয় বাচ্চাদের। কারণ শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে হলেও এ রাস্তায় বাস চলে না। অধরা অ্যাম্বুল্যান্সও। এ দিকে মাঠের ফসল কেটে ফাঁপরে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। পাকা একটা রাস্তা নেই বলে ভালো ঘরে বিয়েও হয় না মেয়েদের। তাই পাকা রাস্তার দাবিতে এ বার ধনুকভাঙা পণ করে বসলেন গ্রামের মেয়ে। যত দিন না রাস্তা তৈরি হচ্ছে, বিয়েই করব না- এই মর্মে খোদ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকেই ইমেল করে বসলেন দেবনাগরী জেলার এইচ রামপুরা গ্রামের বছর ছাব্বিশের শিক্ষিকা বিন্দু আর ডি। আর তাতেই টনক নড়ল প্রশাসনের।
৯ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে মেল করেছিলেন বিন্দু। সপ্তাহখানেকের মাথায় বৃহস্পতিবারই তাঁর গ্রাম ঘুরে গিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবি, খেপে-খেপে ১-২ লাখ টাকা খরচ করে মাঝে মাঝেই রাস্তা সারাইয়ের কাজ হয়। কিন্তু বাস চলাচলের মতো পাকা রাস্তা তৈরি করতে প্রয়োজন প্রায় এক কোটি টাকা। ওই টাকা অনুমোদনের জন্য সরকার এবং স্থানীয় বিধায়ককে অনুরোধ করেছে রামপুরা পঞ্চায়েত অফিস৷ সূত্রের খবর, যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু এই অভিনব প্রতিবাদের কথা মাথায় এল কী করে? বিন্দুর সাফ জবাব, 'এ ছাড়া আর কোনও উপায়ের কথা ভাবতে পারিনি। আমার নিজেরই একাধিক বার বিয়ে ভেঙেছে শুধু গ্রামে রাস্তা নেই বলে। কেউ আসতে চান না আমাদের গ্রামে। গ্রামে থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উপায় ছিল না বলে দীর্ঘদিন হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতে হয়েছে আমায়। সবাই কিন্তু তা পারে না। স্কুল-কলেজে যাতায়াতের এই অবস্থার জন্য ড্রপ আউটের সংখ্যাও বাড়ছে।'

নিশানায় মুসলিম জনপদ! ফের নাম বদলের হিড়িক
সব মিলিয়ে বড়জোর ৫০টি ঘর গ্রামে। জনসংখ্যা তিনশোর বেশি নয়। কিন্তু ন্যূনতম নাগরিক সুবিধাটুকুও তাঁরা পান না বলে অভিযোগ বিন্দুর। তাঁর কথায়, 'ছোট থেকেই শুনছি, গ্রামে পাকা রাস্তার দাবিতে বিস্তর বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যাতায়াতের সমস্যার জন্য চাষিরা ফসল সময়মতো শহরে নিয়ে যেতে পারেন না। বয়স্ক, রোগীদেরও সমস্যার শেষে নেই। এ বার তাই আমরা এর শেষ দেখেই ছাড়ব।'

'পঞ্জাবের রাখি সাওয়ান্ত!' সিধুকে আক্রমণে বিতর্কিত মন্তব্য AAP নেতার
গ্রামে বিন্দুই একমাত্র স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। বর্তমানে শিক্ষকও। সেই কারণেই নিজের এগিয়ে আসাটা আরও জরুরি বলে মনে করছেন তিনি। চাইলেই তিনি বিয়ে করে শহরে গিয়ে এই নিত্য ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে পারতেন। কিন্ত তাহলে এই গ্রাম থেকে প্রতিবাদে সরব হতো কে? তাই এবার গ্রামের রাস্তা দেখার পরেই 'নিজের রাস্তা' দেখবেন বলে জানিয়েছেন বিন্দু।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল