এই সময়: দেশরক্ষার জন্য সেনার উর্দি গায়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাদ সেধেছিল কম উচ্চতা। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দু'বার যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেও উচ্চতার মাপকাঠিতে আটকে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সৈনিকেশ রবিচন্দ্রন। মনের ইচ্ছে মনে রেখেই ইউক্রেনে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাওয়া। পাঁচ বছরের কোর্স শেষ হওয়ার ঠিক আগেই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, আর সেটাই সৈনিকেশের স্বপ্নপূরণের রাস্তা খুলে দিল।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দাসূত্রে খবর, তামিলনাড়ুর ২১ বছরের তরুণ এখন জর্জিয়ান ন্যাশনাল লিজিয়ঁ আধা-সেনা ইউনিটের সদস্য। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে স্বেচ্ছায় লড়ছেন এই ভারতীয়। সৈনিকেশের বাবা-মা অবশ্য ছেলেকে ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন, লাভ হয়নি। এখন তামিলনাড়ু ও কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ তাঁরা৷ সূত্রের খবর, সৈনিকেশকে আধাসেনা ইউনিট থেকে বের করে দেশে ফেরানোর জন্য কী করণীয়, তা নিয়ে অন্ধকারে বিদেশ মন্ত্রক-ও।
গোয়েন্দাদের একটি দল ক'দিন আগে কোয়েম্বাটোরের সুব্রহ্মণ্যমপাল্লামে রবিচন্দ্রনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করেছেন গোয়েন্দারা, আর তাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গোয়েন্দা দলে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সৈনিকেশের ঘরের একটা দেওয়ালে শুধু সেনাদের পোট্রেট প্লাস্টার করা, যা থেকে বোঝা যায় সেনার উর্দি গায়ে চাপিয়ে লড়াইয়ের স্বপ্ন তাঁর বহুদিনের।
২০১৮ সালে বিদ্যা বিকাশিনি ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন সৈনিকেশ। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু উচ্চতাজনিত কারণে আটকে যান। সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের মার্কিন দূতাবাসেও যোগাযোগ করেছিলেন সৈনিকেশ, যদি কোনও ভাবে মার্কিন সেনায় যোগ দেওয়ার সুযোগ মেলে! কিন্তু সেখানেও আশাপূরণ হয়নি। এর পরই খারকিভের 'ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি'তে পড়তে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন পাড়ি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন সৈনিকেশ।
পরিবারের দাবি, এত বছর মন দিয়েই পড়াশোনা করেছে ছেলে, সেনাবাহিনী যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেনি। আগামী বছর জুলাইয়ে তাঁর পাঁচ বছরের কোর্স শেষ হওয়ার কথা। ২০২১-এর জুলাইয়ে শেষ বাড়ি এসেছিলেন সৈনিকেশ, প্রায় দেড় মাস ছিলেন তামিলনাড়ুতে। ইউক্রেন ফিরে যাওয়ার পরও বাবা-মায়ের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হতো তাঁর। মাস খানেক আগে সৈনিকেশ বাবা-মাকে বলেন, ভিডিয়ো গেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে একটা পার্ট-টাইম চাকরি পেয়েছেন। এক পারিবারিক বন্ধুর কথায়, 'ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমরা প্রায় চারদিন ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তার পরই একটি মিডিয়া রিপোর্ট দেখি, তামিলনাড়ুর একজন ছেলে নাকি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন! দেখে আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।'
মিডিয়া রিপোর্ট পড়ে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসে ই-মেল করেন সৈনিকেশের পরিবার। প্রথমে কোনও জবাব আসেনি। দু'দিন পর দূতাবাসের তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সৈনিকেশের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। এর পর সৈনিকেশ নিজেই বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তিনি নিরাপদে আছেন। তবে, আধাসামরিক বাহিনী ছেড়ে ফিরতে চান না। কান্নাকাটি করেও ছেলেকে দেশে ফেরাতে পারেননি বাবা-মা।
সৈনিকেশের বাবা, বছর বাহান্নর রবিচন্দ্রনের কথায়, 'ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আমার ছেলের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।' একই অবস্থা সৈনিকেশের মা, বছর আটচল্লিশের ঝাঁসি লক্ষ্মীর এবং সৈনিকেশের ছোট ভাই, ১৭ বছরের সৈরোহিতেরও। বাড়ির বড় ছেলেকে ফেরাতে আপাতত সরকারের মুখাপেক্ষী পরিবার।
এদিকে, সৈনিকেশের পদক্ষেপ চিন্তায় ফেলেছে গোয়েন্দাদেরও৷ এর আগে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল৷ এবার সৈনিকেশের পদক্ষেপ নতুন চিন্তা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর এক সদস্যের কথায়, 'ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই রাশিয়ার ভূমিকা মানতে পারছেন না৷ সে ক্ষেত্রে সৈনিকেশের মতো বাকিরাও যুদ্ধে যোগ দিতে চাইলে চাপ বাড়বে ভারত সরকারের।'
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য গোয়েন্দাসূত্রে খবর, তামিলনাড়ুর ২১ বছরের তরুণ এখন জর্জিয়ান ন্যাশনাল লিজিয়ঁ আধা-সেনা ইউনিটের সদস্য। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে স্বেচ্ছায় লড়ছেন এই ভারতীয়। সৈনিকেশের বাবা-মা অবশ্য ছেলেকে ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন, লাভ হয়নি। এখন তামিলনাড়ু ও কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ তাঁরা৷ সূত্রের খবর, সৈনিকেশকে আধাসেনা ইউনিট থেকে বের করে দেশে ফেরানোর জন্য কী করণীয়, তা নিয়ে অন্ধকারে বিদেশ মন্ত্রক-ও।
গোয়েন্দাদের একটি দল ক'দিন আগে কোয়েম্বাটোরের সুব্রহ্মণ্যমপাল্লামে রবিচন্দ্রনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করেছেন গোয়েন্দারা, আর তাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গোয়েন্দা দলে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সৈনিকেশের ঘরের একটা দেওয়ালে শুধু সেনাদের পোট্রেট প্লাস্টার করা, যা থেকে বোঝা যায় সেনার উর্দি গায়ে চাপিয়ে লড়াইয়ের স্বপ্ন তাঁর বহুদিনের।
২০১৮ সালে বিদ্যা বিকাশিনি ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন সৈনিকেশ। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু উচ্চতাজনিত কারণে আটকে যান। সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের মার্কিন দূতাবাসেও যোগাযোগ করেছিলেন সৈনিকেশ, যদি কোনও ভাবে মার্কিন সেনায় যোগ দেওয়ার সুযোগ মেলে! কিন্তু সেখানেও আশাপূরণ হয়নি। এর পরই খারকিভের 'ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি'তে পড়তে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন পাড়ি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন সৈনিকেশ।
পরিবারের দাবি, এত বছর মন দিয়েই পড়াশোনা করেছে ছেলে, সেনাবাহিনী যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেনি। আগামী বছর জুলাইয়ে তাঁর পাঁচ বছরের কোর্স শেষ হওয়ার কথা। ২০২১-এর জুলাইয়ে শেষ বাড়ি এসেছিলেন সৈনিকেশ, প্রায় দেড় মাস ছিলেন তামিলনাড়ুতে। ইউক্রেন ফিরে যাওয়ার পরও বাবা-মায়ের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হতো তাঁর। মাস খানেক আগে সৈনিকেশ বাবা-মাকে বলেন, ভিডিয়ো গেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে একটা পার্ট-টাইম চাকরি পেয়েছেন। এক পারিবারিক বন্ধুর কথায়, 'ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমরা প্রায় চারদিন ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তার পরই একটি মিডিয়া রিপোর্ট দেখি, তামিলনাড়ুর একজন ছেলে নাকি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন! দেখে আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।'
মিডিয়া রিপোর্ট পড়ে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসে ই-মেল করেন সৈনিকেশের পরিবার। প্রথমে কোনও জবাব আসেনি। দু'দিন পর দূতাবাসের তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সৈনিকেশের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। এর পর সৈনিকেশ নিজেই বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তিনি নিরাপদে আছেন। তবে, আধাসামরিক বাহিনী ছেড়ে ফিরতে চান না। কান্নাকাটি করেও ছেলেকে দেশে ফেরাতে পারেননি বাবা-মা।
সৈনিকেশের বাবা, বছর বাহান্নর রবিচন্দ্রনের কথায়, 'ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আমার ছেলের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।' একই অবস্থা সৈনিকেশের মা, বছর আটচল্লিশের ঝাঁসি লক্ষ্মীর এবং সৈনিকেশের ছোট ভাই, ১৭ বছরের সৈরোহিতেরও। বাড়ির বড় ছেলেকে ফেরাতে আপাতত সরকারের মুখাপেক্ষী পরিবার।
এদিকে, সৈনিকেশের পদক্ষেপ চিন্তায় ফেলেছে গোয়েন্দাদেরও৷ এর আগে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল৷ এবার সৈনিকেশের পদক্ষেপ নতুন চিন্তা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর এক সদস্যের কথায়, 'ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই রাশিয়ার ভূমিকা মানতে পারছেন না৷ সে ক্ষেত্রে সৈনিকেশের মতো বাকিরাও যুদ্ধে যোগ দিতে চাইলে চাপ বাড়বে ভারত সরকারের।'