এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের চোট লাগার কারণ জানতে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করল সু্প্রিম কোর্ট। ঘটনার দিন নন্দীগ্রামে আসলে কী হয়েছিল জানতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন আইনজীবী। শনিবার বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দেন।
তৃণমূল নেত্রীর চোট নিয়ে ঘটনার একমাস পরেও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। দুর্ঘটনা নয় চক্রান্ত, আঘাত লাগার সময় থেকে বারবার দাবি করে আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ মার্চ ভোট প্রচারে বেরিয়ে পায়ে চোট পান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নমিনেশন জমা দিয়ে ফেরার পথে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে ঘটে এই ঘটনা। প্রথম থেকেই নেত্রী সহ জোড়াফুল শিবির এৎ পিছনে চক্রান্তের অভিযোগ করে আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁর কথা বলার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছে করে তাঁর পায়ের উপর গাড়ির দরজা চেপে বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনার পিছনে তিনি সরাসরি খোলা সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেন।
সম্প্রতি নন্দীগ্রামে বয়াল পঞ্চায়েতের সভা থেকে শুভেন্দুর দিকে মমতা অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, 'ইলেকশনের সময় তুই আমার পা জখম করিয়েছিস। আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। আজও আমায় পা ভাঙা নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে মিটিং করতে হচ্ছে। এটা যে কত কষ্টের!' এখানেই শেষ নয়, সেদিনের বক্তব্যে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন কোনও নন্দীগ্রামের মানুষ নয়, বহিরাগত গুণ্ডাদের দিয়ে একাজ করানো হয়েছে। মমতার অভিযোগ, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর নির্দেশেই একাজ হয়েছে। তিনি বলেন, 'তোমার নির্দেশ ছাড়া এ সব হতে পারে না। কোনও নন্দীগ্রামের লোক এ সব করতে পারে না। বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে এ সব করিয়েছ তুমি।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পর তাঁর উপর উপর হামলা হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। রাজ্য সরকারের তরফে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনে গিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজিপি নীরজনয়ন। কিন্তু সে রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিল না কমিশন। বাংলার নিযুক্ত পর্যবেক্ষক ও মুখ্যসচিবের ভিডিয়ো ফুটেজ, স্থানীয় পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্টে কমিশন ষড়যন্ত্রের তথ্য খারিজ করে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া গ্রামে মমতার পায়ে আঘাত একটি দুর্ঘটনা বলে জানায়।
সেই ঘটনার পর আঘাতের জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা প্লাস্টার বাঁধা। আপাতত পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় হুইল চেয়ারই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভরসা। কমিশনের রিপোর্টার পরও এই ইস্যুর সমাধান না হওয়ায় এবার তা গেল সুপ্রিম কোর্টে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
তৃণমূল নেত্রীর চোট নিয়ে ঘটনার একমাস পরেও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। দুর্ঘটনা নয় চক্রান্ত, আঘাত লাগার সময় থেকে বারবার দাবি করে আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ মার্চ ভোট প্রচারে বেরিয়ে পায়ে চোট পান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নমিনেশন জমা দিয়ে ফেরার পথে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে ঘটে এই ঘটনা। প্রথম থেকেই নেত্রী সহ জোড়াফুল শিবির এৎ পিছনে চক্রান্তের অভিযোগ করে আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁর কথা বলার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছে করে তাঁর পায়ের উপর গাড়ির দরজা চেপে বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনার পিছনে তিনি সরাসরি খোলা সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেন।
সম্প্রতি নন্দীগ্রামে বয়াল পঞ্চায়েতের সভা থেকে শুভেন্দুর দিকে মমতা অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, 'ইলেকশনের সময় তুই আমার পা জখম করিয়েছিস। আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। আজও আমায় পা ভাঙা নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে মিটিং করতে হচ্ছে। এটা যে কত কষ্টের!' এখানেই শেষ নয়, সেদিনের বক্তব্যে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন কোনও নন্দীগ্রামের মানুষ নয়, বহিরাগত গুণ্ডাদের দিয়ে একাজ করানো হয়েছে। মমতার অভিযোগ, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর নির্দেশেই একাজ হয়েছে। তিনি বলেন, 'তোমার নির্দেশ ছাড়া এ সব হতে পারে না। কোনও নন্দীগ্রামের লোক এ সব করতে পারে না। বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে এ সব করিয়েছ তুমি।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পর তাঁর উপর উপর হামলা হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। রাজ্য সরকারের তরফে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনে গিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজিপি নীরজনয়ন। কিন্তু সে রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিল না কমিশন। বাংলার নিযুক্ত পর্যবেক্ষক ও মুখ্যসচিবের ভিডিয়ো ফুটেজ, স্থানীয় পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্টে কমিশন ষড়যন্ত্রের তথ্য খারিজ করে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া গ্রামে মমতার পায়ে আঘাত একটি দুর্ঘটনা বলে জানায়।
সেই ঘটনার পর আঘাতের জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা প্লাস্টার বাঁধা। আপাতত পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় হুইল চেয়ারই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভরসা। কমিশনের রিপোর্টার পরও এই ইস্যুর সমাধান না হওয়ায় এবার তা গেল সুপ্রিম কোর্টে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।