অ্যাপশহর

CAA-র সমর্থনে বিবৃতি হাজারের বেশি বুদ্ধিজীবীর!

রাজ্যে রাজ্যে যখন এই পরিস্থিতি তখন দেশজুড়ে মোট ১ হাজার ১০০ জন গবেষক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর পক্ষে দাঁড়িয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।

EiSamay.Com 21 Dec 2019, 3:35 pm

হাইলাইটস

  • নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)- দীর্ঘ দিনের দাবি, যে সব সংখ্যালঘু শরণার্থী তথা উদ্বাস্তুরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন তাঁদের কথা বিবেচনা করে এই সংশোধনী।
  • বিবৃতিতে CAA-এর পক্ষে থাকা বুদ্ধিজীবীরা, ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চ্যুক্তির বিফল হওয়ার প্রসঙ্গ টানা হয়েছে।
  • বলা হয়েছে সেই সময়ে কংগ্রেস, সিপিএম সহ দেশের একাধিক দল ও রাজনৈতিক নেতারা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সরব হয়েছিলেন।
EiSamay.Com Support CAA
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ও দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(NRC) বলবৎ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত। তাতে প্রাণ গিয়েছে একাধিকের। রাজ্যে রাজ্যে যখন এই পরিস্থিতি তখন দেশজুড়ে মোট ১ হাজার ১০০ জন গবেষক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর পক্ষে দাঁড়িয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে তাঁরা স্পষ্ট বলেছেন, নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)- দীর্ঘ দিনের দাবি, যে সব সংখ্যালঘু শরণার্থী তথা উদ্বাস্তুরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন তাঁদের কথা বিবেচনা করে এই সংশোধনী। বিবৃতিতে CAA-এর পক্ষে থাকা বুদ্ধিজীবীরা, ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চ্যুক্তির বিফল হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়ছে, সেই সময়ে কংগ্রেস, সিপিএম সহ দেশের একাধিক দল ও রাজনৈতিক নেতারা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সরব হয়েছিলেন। সেই সংখ্যালঘুদের মধ্যে সিংহ ভাগই ছিল পিছিয়ে পড়া শ্রেণির।

এরপরই সিএএ-এর পক্ষে দেওয়া ওই বিবৃতিতে এই আইন সংশোধনের জন্য সংসদ ও কেন্দ্রীয় সরকারকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। কারণ এর দ্বারা তাঁদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবং এর দ্বারা ভারতীয় সভ্যতার নীতিগত উন্নয়ন ঘটেছে। একইসঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রসঙ্গও চানা হয়েছে এই বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, নতুন এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য সঠিক। এর দ্বারা ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার সঠিক দিক সামনে এসেছে। এর দ্বারা কোনও নাগরিককে তাঁর ধর্ম ও জাতি দিয়ে দেখা হয়নি। নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনেও তা অক্ষরে অক্ষরে মানা হয়েছে। নতুন আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের সেই আইন মেনেই নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।

এরপরই বিবৃতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের জেরে দেশজুড়ে চলা হিংসার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের সব নাগরিকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, তার জেন কোনও ভাবেই ভ্রান্ত হয়ে ভুল পথে না হাঁটেন।
প্রতিবেদনটি ইংরিজিতে পড়তে ক্লিক করুন।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল