এই সময়: কড়া রোদে চাঁদি ফাটা অবস্থা। এর মাঝে সূর্য মাথার উপর আসতেই মজার ঘটনা ভুবনেশ্বরে। প্রতিবেশী ওডিশার রাজধানীতে শুক্রবার কয়েক মুহূর্তের জন্য একেবারে উধাও হয়ে যায় ছায়া। রাস্তায় দাঁড়ানো গাড়ি হোক বা পথচারী, বড় বাড়ি হোক বা লিঙ্গরাজ, রাজারানি কিংবা মুক্তেশ্বর মন্দির - ছায়া পড়ছে না কারও। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবশ্য ফিরে আসে ছায়া। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় এই 'জিরো শ্যাডো ডে' বা জেডএসডি-রই সাক্ষী থাকল শুক্রবারের ভুবনেশ্বর। সাড়ে ২৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ বা কর্কটক্রান্তি রেখা এবং সাড়ে ২৩ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ বা মকরক্রান্তি রেখার মাঝে যে কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় এমন ঘটনা বছরে দু'বার হতে পারে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতির্বিদরা। শুক্রবার সেটাই ঘটেছে ভুবনেশ্বরে।
প্রতিবেশী রাজ্যের রাজধানীতে এমন ছায়াবিহীন দিনের কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমির গবেষক সঞ্জীব সেন বলেন, 'কর্কটক্রান্তি রেখা ও মকরক্রান্তি রেখার মধ্যে অবস্থিত কোনও জায়গার অক্ষাংশের সঙ্গে সূর্যের ডেক্লিনেশন মিলে গেলেই কিছুক্ষণের জন্য ওই জায়গায় কোনও ছায়া পড়বে না।' জ্যোতির্বিদ্যার এই গবেষক বলছেন, 'ভুবনেশ্বরের অক্ষাংশ প্রায় ২০ ডিগ্রি ২৯ মিনিট। শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সূর্যের ডেক্লিনেশন ২০ ডিগ্রি ২৫ মিনিট থেকে ২০ ডিগ্রি ৩৫ মিনিটের দিকে যায়। এই পথে পড়ছে ভুবনেশ্বর। তাই যতক্ষণ সূর্যের ডেক্লিনেশন ভুবনেশ্বরের অক্ষাংশের সঙ্গে খাপ খাবে, ততক্ষণ সেখানে কোনও ছায়া পড়বে না।'
সূর্যের ওই গতিপথে ভুবনেশ্বর ছাড়া আরও যত শহর বা গ্রাম পড়েছে সব জায়গাতেই শুক্রবার কিছুক্ষণের জন্য সূর্য একেবারে মাথার উপর চলে আসার ফলে ছায়া একেবারে ভ্যানিশ হয়ে যায় বলে জানাচ্ছেন জ্যোতির্বিদরা। তাঁরা বলছেন, দুই সংক্রান্তি রেখার মাঝে প্রতিদিনই কোনও না কোনও জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে। শনিবার কটক শহরে একই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন সেখানকার বাসিন্দারা।
প্রতিবেশী রাজ্যের রাজধানীতে এমন ছায়াবিহীন দিনের কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমির গবেষক সঞ্জীব সেন বলেন, 'কর্কটক্রান্তি রেখা ও মকরক্রান্তি রেখার মধ্যে অবস্থিত কোনও জায়গার অক্ষাংশের সঙ্গে সূর্যের ডেক্লিনেশন মিলে গেলেই কিছুক্ষণের জন্য ওই জায়গায় কোনও ছায়া পড়বে না।' জ্যোতির্বিদ্যার এই গবেষক বলছেন, 'ভুবনেশ্বরের অক্ষাংশ প্রায় ২০ ডিগ্রি ২৯ মিনিট। শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে সূর্যের ডেক্লিনেশন ২০ ডিগ্রি ২৫ মিনিট থেকে ২০ ডিগ্রি ৩৫ মিনিটের দিকে যায়। এই পথে পড়ছে ভুবনেশ্বর। তাই যতক্ষণ সূর্যের ডেক্লিনেশন ভুবনেশ্বরের অক্ষাংশের সঙ্গে খাপ খাবে, ততক্ষণ সেখানে কোনও ছায়া পড়বে না।'
সূর্যের ওই গতিপথে ভুবনেশ্বর ছাড়া আরও যত শহর বা গ্রাম পড়েছে সব জায়গাতেই শুক্রবার কিছুক্ষণের জন্য সূর্য একেবারে মাথার উপর চলে আসার ফলে ছায়া একেবারে ভ্যানিশ হয়ে যায় বলে জানাচ্ছেন জ্যোতির্বিদরা। তাঁরা বলছেন, দুই সংক্রান্তি রেখার মাঝে প্রতিদিনই কোনও না কোনও জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে। শনিবার কটক শহরে একই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন সেখানকার বাসিন্দারা।