এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত চারদিন ধরে লাগাতার তুষারপাতের জেরে বিধ্বস্ত অবস্থা জম্মু ও কাশ্মীর। সরকারি মতে, ব্যাপক তুষারপাতের জেরে কাশ্মীর উপত্যকা এখন তুষারাজ্যে পরিণত হয়েছে। যার জেরে পাঁচদিন পরও শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। রবিবার থেকে ব্যাপক তুষারপাত ও ভূমিধসের কারণে দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্তকারী ২৬০ কিমি দীর্ঘ হাইওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সড়কপথটি একমাত্র সব ঋতুতেই খোলা থাকে, সেই হাইওয়েটিও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। যার ফলে হাইওয়েতে ট্রাফিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে গিয়েছে। সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে পাঁচদিন ধরে। রাস্তা পরিস্কার না করা পর্যন্ত কোনও গাড়িই ছাড়া সম্ভব নয়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা সম্ভব বলে জানা গিয়েছে। সামরোলি, নাশরী, ক্যাফেটেরিয়া মোর, সেরি. মারোগ ও জওহর টানেল বন্ধ রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, জম্ম ডিভিশনের সোপিয়ান-রাজৌরি যাওয়ার অন্যতম রাস্তা মোঘল রোডও ব্যাপক তুষারপাতের জেরে বন্ধ রয়েছে। শুধু সড়কপথই নয়, তুষারাতের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে বিমান পরিষেবাও। গত চারদিন ধরে শ্রীনগর বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ফের স্বাভাবিক উড়ান চালানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, লাগাতার তুষারপাতের কারণে শ্রীনগর-সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির রাস্তায় পুরু বরফ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত মূল রাস্তাগুলি পরিস্কার করা গিয়েছে। অন্যান্য রাস্তাগুলি থেকে বরফ সরানোর কাজ এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। তুষারপাতের জেরে উপত্যকার বহু এলাকা বিদ্যুত্ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। গত চারদিন ধরে উপত্যকা প্রায় অন্ধকারেই ছিল। তবে এদিন থেকে আবার বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারির পর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি ঘটবে আগামীকাল থেকে। আগামীদিনগুলিতে কোনও তুষারপাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছে। বুধবার শ্রীনগরে রেকর্ড তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া পহেলগাঁওতে মাইনাস ২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গুলমার্গে মাইনাস ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুপওয়ারায় মাইনাস ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোকেরনাগে মাইনাস ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
অন্যদিকে, কাশ্মীরে ব্যাপক তুষারপাতের জেরে ২জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, লাগাতার তুষারপাতের কারণে কুপওয়ারা, রাজৌরি, পহেলগাঁও-সহ বহু এলাকায় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। রাস্তায় পুরু বরফের চাদর পড়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বের হন, তার নির্দেশিকা জারি করেছে। শ্রীনগরে একটি বাড়িতে বরফের স্তূপ জমে ছাদ ভেঙে পড়লে এক আধাসামরিক বাহিনীর কর্তা মারা যান। এছাড়া কুপওয়ারায় বরফচাপা পড়ে মারা গিয়েছেন এক বৃদ্ধা। এখনও পর্ন্তন্ত বরফের স্তূপ চাপা পড়ে ৭০টিরও বেশি ঘরের চাল ভেঙে গিয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-
অন্যদিকে, জম্ম ডিভিশনের সোপিয়ান-রাজৌরি যাওয়ার অন্যতম রাস্তা মোঘল রোডও ব্যাপক তুষারপাতের জেরে বন্ধ রয়েছে। শুধু সড়কপথই নয়, তুষারাতের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে বিমান পরিষেবাও। গত চারদিন ধরে শ্রীনগর বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ফের স্বাভাবিক উড়ান চালানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, লাগাতার তুষারপাতের কারণে শ্রীনগর-সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির রাস্তায় পুরু বরফ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত মূল রাস্তাগুলি পরিস্কার করা গিয়েছে। অন্যান্য রাস্তাগুলি থেকে বরফ সরানোর কাজ এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। তুষারপাতের জেরে উপত্যকার বহু এলাকা বিদ্যুত্ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। গত চারদিন ধরে উপত্যকা প্রায় অন্ধকারেই ছিল। তবে এদিন থেকে আবার বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারির পর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি ঘটবে আগামীকাল থেকে। আগামীদিনগুলিতে কোনও তুষারপাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছে। বুধবার শ্রীনগরে রেকর্ড তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া পহেলগাঁওতে মাইনাস ২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গুলমার্গে মাইনাস ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুপওয়ারায় মাইনাস ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোকেরনাগে মাইনাস ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
অন্যদিকে, কাশ্মীরে ব্যাপক তুষারপাতের জেরে ২জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, লাগাতার তুষারপাতের কারণে কুপওয়ারা, রাজৌরি, পহেলগাঁও-সহ বহু এলাকায় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। রাস্তায় পুরু বরফের চাদর পড়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বের হন, তার নির্দেশিকা জারি করেছে। শ্রীনগরে একটি বাড়িতে বরফের স্তূপ জমে ছাদ ভেঙে পড়লে এক আধাসামরিক বাহিনীর কর্তা মারা যান। এছাড়া কুপওয়ারায় বরফচাপা পড়ে মারা গিয়েছেন এক বৃদ্ধা। এখনও পর্ন্তন্ত বরফের স্তূপ চাপা পড়ে ৭০টিরও বেশি ঘরের চাল ভেঙে গিয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-