এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ থামার কোনও লক্ষণই নেই। পরিস্থিতি দিনদিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কূটনৈতিক স্তর ছাড়াও সামরিকভাবে চিনের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা হতে পারে, সেই বিষয়েও দুজনের আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর আগে ভারতের ২০ জওয়ানের শহিদ হওয়ার পরপরও দোভালের মধ্যস্থতাতেই কিছুটা শান্তি ফিরেছিল দুতরফে। কিন্তু আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুদেশের সীমান্ত। ফলে আবার এগিয়ে আসতে হচ্ছে সেই অজিত দোভালকেই। যদিও চিনকে নানা ভাবে চাপে রাখার কৌশল অব্যাহত রাখছে ভারত। পূর্ব লাদাখের উত্তেজক পরিস্থিতির প্রভাব সরাসরি পড়েছে ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপরেও৷ সরকারি সূত্রের খবর, এবার 'কেস টু কেস' ভিত্তিতে ভিসার আবেদন খতিয়ে দেখার পরেই শর্তসাপেক্ষে ভিসা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি চিনের নাগরিকদের জন্য এবার 'সিটি স্পেসিফিক ভিসা' নীতির কথাও ভাবছে ভারত সরকার৷ এই নীতিতে শুধুমাত্র একটি বা দুটি পূর্ব নির্ধারিত শহর ছাড়া ভারতের অন্য কোনও প্রান্তে যাতায়াত করতে পারবেন না এ দেশে আগত চিনা নাগরিকরা৷ সাধারণ ভিসার পাশাপাশি চিনের ব্যবসায়ী বা শিল্পোদ্যোগীদের প্রদেয় 'বিজনেস ভিসা'-র ক্ষেত্রেও কড়া হচ্ছে মোদী সরকার৷
অপরদিকে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালিয়েছে কোন পক্ষ- তা নিয়ে ইন্দো-চিন দোষারোপের পালা জারি। কিন্তু সীমান্তে পরিস্থিতি যে ভালো নয় এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পক্ষে শ্রেয়, এমনই জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের গলাতেও একই সুর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেশের অখণ্ডতার সঙ্গে কোনও সমঝোতা নয়। যে কোনও প্ররোচনা বা আগ্রাসনের জবাব দিতে হবে কঠোর ভাবেই। এর পরপরই অজিত দোভালের সঙ্গে তাঁর বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
গত সপ্তাহেই এসসিও সম্মেলনে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছিলেন রাজনাথ সিং। তাতে দু'দেশ শান্তি আলোচনায় সহমত হলেও সীমান্তে শান্তি ফেরেনি। বরং সোমবার রাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চলার মতো ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পুরো দায় ভারতের উপর চাপালেও চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের বক্তব্য, 'আমাদেরও আশা, সেনাবাহিনী নিজেদের ক্যাম্পে ফিরে আসবে, সীমান্তে আর কোনও সংঘর্ষ হবে না। আশা করি, কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহারে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারব।'
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে দুর্ঘটনাবশত পুড়ল কালীমূর্তি, ভুয়ো খবরে মুসলিমদের দায়ী করলেন অর্জুন সিং!
কিন্তু চিনের এই আশার বার্তায় ভুলতে নারাজ নয়াদিল্লি। আর তাই মঙ্গলবার থেকেই চিন নিয়ে দফায় দফায় চলেছে বৈঠক। দুপুরে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ তাঁকে লাদাখের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছিলেন। আগামী দিনে লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে কী ভাবে সেনা মোতায়েন হবে, কথা হয়েছে তা নিয়েও। আর সেখানে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, কূটনৈতিক আলোচনা চলবে, কিন্তু আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে কড়া ভাবেই। সেই আগ্রাসনের প্রসঙ্গই বেশি করে মোদী-দোভাল বৈঠকে উঠে এসেছে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
অপরদিকে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালিয়েছে কোন পক্ষ- তা নিয়ে ইন্দো-চিন দোষারোপের পালা জারি। কিন্তু সীমান্তে পরিস্থিতি যে ভালো নয় এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পক্ষে শ্রেয়, এমনই জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের গলাতেও একই সুর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেশের অখণ্ডতার সঙ্গে কোনও সমঝোতা নয়। যে কোনও প্ররোচনা বা আগ্রাসনের জবাব দিতে হবে কঠোর ভাবেই। এর পরপরই অজিত দোভালের সঙ্গে তাঁর বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
গত সপ্তাহেই এসসিও সম্মেলনে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছিলেন রাজনাথ সিং। তাতে দু'দেশ শান্তি আলোচনায় সহমত হলেও সীমান্তে শান্তি ফেরেনি। বরং সোমবার রাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চলার মতো ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পুরো দায় ভারতের উপর চাপালেও চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের বক্তব্য, 'আমাদেরও আশা, সেনাবাহিনী নিজেদের ক্যাম্পে ফিরে আসবে, সীমান্তে আর কোনও সংঘর্ষ হবে না। আশা করি, কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহারে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারব।'
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে দুর্ঘটনাবশত পুড়ল কালীমূর্তি, ভুয়ো খবরে মুসলিমদের দায়ী করলেন অর্জুন সিং!
কিন্তু চিনের এই আশার বার্তায় ভুলতে নারাজ নয়াদিল্লি। আর তাই মঙ্গলবার থেকেই চিন নিয়ে দফায় দফায় চলেছে বৈঠক। দুপুরে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ তাঁকে লাদাখের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছিলেন। আগামী দিনে লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে কী ভাবে সেনা মোতায়েন হবে, কথা হয়েছে তা নিয়েও। আর সেখানে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, কূটনৈতিক আলোচনা চলবে, কিন্তু আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে কড়া ভাবেই। সেই আগ্রাসনের প্রসঙ্গই বেশি করে মোদী-দোভাল বৈঠকে উঠে এসেছে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।