অ্যাপশহর

উত্তরাখণ্ডের হ্রদে নরকঙ্কাল কি তবে ভূমধ্যসাগরীয়দের!

গবেষকরা জানিয়েছেন, যে সব নরকঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল, তা পূর্ব মেডিটেরেনিয়া থেকে আসা একদল পর্যটকের। ১৭ শতকে এখানে বেড়াতে এসে সম্ভব এই অঞ্চলেই বসবাস শুরু করেছিলেন তাঁরা।

EiSamay.Com 22 Aug 2019, 3:14 pm

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ৪০-এর দশক। বর্তমান উত্তরাখণ্ডের একটি হিমবাহ হ্রদের ভিতরে প্রায় ১০০ মানুষের কঙ্কালের হদিশ পেয়েছিলেন এক বনরক্ষী। সেই থেকেই এই হ্রদ ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা রহস্য।

EiSamay.Com skeletons retrieved from uttarakhand’s roopkund lake point to eastern mediterranean link that dates back to 17th century
উত্তরাখণ্ডের হ্রদে নরকঙ্কাল

সমুদ্রতট থেকে ৫ হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত রূপকুন্ড হ্রদকে মিস্ট্রি লেকও বলা হয়ে থাকে। যেদিন এখান থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধার হয়েছিল, সেদিন থেকেই নানা গবেষণা চলে আসছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, আটের শতকে এখানে মারা গিয়েছিলেন বেশ কিছু ভারতীয়। এই সব কঙ্কাল তাঁদেরই। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অন্য তথ্য তুলে ধরেছে। আর এতেই আরও বেড়ে গিয়েছে রহস্য।

গবেষকরা জানিয়েছেন, যে সব নরকঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল, তা পূর্ব মেডিটেরেনিয়া থেকে আসা একদল পর্যটকের। ১৭ শতকে এখানে বেড়াতে এসে সম্ভব এই অঞ্চলেই বসবাস শুরু করেছিলেন তাঁরা। এ বিষয়ে অবশ্য আরও একটি মতও উঠে এসেছে। কারও মতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে মৃত জাপানি সৈন্যদের কঙ্কালই পাওয়া গিয়েছিল।

গত পাঁচ বছর ধরে এখানে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া বিরবল সাহানি ইনস্টিটিউট অফ প্যালিওসায়েন্সেস-এর বিজ্ঞানী নীরজ রাই জানিয়েছেন, কঙ্কালদের থেকে নেওয়া ডিএনএ-এর নমুনা প্রমাণ দেয় এখানে ৮-এর শতকে ভারতীয় উপজাতীর বাস ছিল, যাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছিলেন। প্রমাণ মিলেছে ১৭ শতকে এখানে বসবাসকারী মেডিটেরেনিয়ান নাগরিকদের উপস্থিতির।

রূপকুন্ড প্রজেক্টে বিরবল সাহানি ইনস্টিটিউট অফ প্যালিওসায়েন্সেস-এর বিজ্ঞানীরা ছাড়াও কাজ করছেন আমেরিকা এবং জার্মানির গবেষকরাও।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল