ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ! বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) মুখ্যমন্ত্রীর হিসেবে শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার আয়কর দফতরের নজরে এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। ধরানো হল নোটিশ। এনসিপি প্রধানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামায় গরমিলের অভিযোগ এনেই তাঁকে নোটিশ পাঠায় আয়কর দফতর (Income Tax Department)। মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার গঠনের কয়েক ঘণ্টা পরেই আয়কর দফতরের এই নোটিশ পাঠানো ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। কোনও কোনও মহল থেকে উঠেছে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ।
মারাঠীতে করা টুইটে শরদ পাওয়ার আয়কর দফতরকে কটাক্ষ করেন। তাঁর অভিযোগ, মাত্র কয়েকজনের কথার ভিত্তিতেই এই নোটিশ পাঠিয়েছে Income Tax Department, এত বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কটাক্ষের সুরে দফতরের দক্ষতার প্রশংসাও করেছেন তিনি। শিবসেনায় বিদ্রোহের পর বিদ্রোহী নেতা তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বারবার শরদ পাওয়ার ও কংগ্রেস নেতাদের নিশানা করে গেছেন। এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার জন্যই হিন্দুত্ব থেকে শিবসেনা লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে বলে দাবি করেন শিন্ডে। যদিও শিন্ডের দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় শিন্ডে বিরোধীরা। আসলে জনগণকে বিভ্রান্ত্র করতেই শিন্ডে শিবির এই অভিযোগ করছে বলে এনসিপি ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে সহ ১৬ বিদ্রোহী শিবেসনা বিধায়কের বিধায়ক পদ খারজি নিয়ে ডেপুটি স্পিকার যে নোটিশ জারি করেছিলেন, তার পিছনে শরদ পাওয়ারের হাত ছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী ১১ জুলাই সু্প্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি। মামলার রায় শিন্ডে শিবিরের বিরুদ্ধে গেলে, ফের মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে সংকট তৈরি হবে বলেই আশঙ্কা। ফলে পাওয়ারকে চাপে রাখতেই আয়কর দফতরের নোটিশ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে, শুধু পাওয়ার নন। জমি সংক্রান্ত মামলার ইডি নোটিশ ধরিয়েছে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে। এতে হাওয়ালা টাকার যোগ রয়েছে বলে দাবি। সঞ্জয় উদ্ধব শিবিরের লোক বলে পরিচিত। আর তার জন্যই কী ইডির এই তৎপরতা, উঠছে প্রশ্ন।