অ্যাপশহর

আধার কার্ডই মানসিক 'প্রতিবন্ধী' বালককে ফেরাল ঘরে

হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যই একদিন পরিবার থেকে গৌরবকে আলাদা করে দিয়েছিল। সে যে আবার ফিরে আসবে, সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছিল ছেলেটির মানসিক প্রতিবন্ধকতা।

Ei Samay 2 Aug 2017, 8:51 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একভাবে অভ্যস্ত সমাজে নতুন কিছু সংযোজন করতে গেলে বিতর্ক তো বাধবেই। আধার নিয়েও তর্কবিতর্ক কম নেই। মোদী সরকার যে ভাবে সবকিছুর সঙ্গে আধার জুড়ে দিচ্ছে, তাতে ব্যক্তি গোপনীয়তার সুরক্ষা নিয়ে সন্দিহান হয়ে লোকে সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছে গিয়েছে। তা হোক, কিন্তু, এটা তো ঘটনা, কোনও কিছুর সবকিছুই খারাপ হতে পারে না। মন্দ থাকলে, ভালোও থাকবে। কয়েনের বিপরীত দুই পিঠের মতো। যেমন হয়েছে পানিপথের এক বালকের ক্ষেত্রে। যে আধার কার্ড নিয়ে চতুর্দিকে এত বিতর্ক, সেই আধারের সৌজন্যেই আবার নিজের পরিবার খুঁজে পায় ছেলেটি।
EiSamay.Com separated by fate united by aadhaar how this mentally challenged teenager found his way back home
আধার কার্ডই মানসিক 'প্রতিবন্ধী' বালককে ফেরাল ঘরে


হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যই একদিন পরিবার থেকে গৌরবকে আলাদা করে দিয়েছিল। সে যে আবার ফিরে আসবে, সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছিল ছেলেটির মানসিক প্রতিবন্ধকতা। আদ্যোপান্ত অসংলগ্ন কথাবর্তায় খেই হারানো বছর নয়েকের সেই ছেলেটি নিজের ঠিকানাটুকুও সেদিন বলতে পারেনি। স্বভাবতই পরিবার-বিচ্ছিন্ন আর পাঁচটা বাচ্চার মতো তারও ঠিকানা হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার হোম। সেখানেই চলছিল আধার নথিভুক্তিকরণের কাজ। ধরে ধরে সবারই বায়োমেট্রিক ডিটেলস রেকর্ড করা হতে থাকে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা হোঁচট খান এই ছেলেটিতে এসে। বায়োমেট্রিক ডিটেল সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন ইউনিক আইডি আগেই নথিভুক্ত হয়ে রয়েছে।

এর মধ্যেই গৌরব নয় পেরোনোয় শিশু হোমে না-রেখে, পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লি কমিশন ফর উওমেন পরিচালিত বয়েজ হোমে। সেই সলাম বালক ট্রাস্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার হোমের কো-অর্ডিনেটর সঞ্জয় দুবে জানান, বয়স নয় হয়ে যাওয়ায় গৌরবকে আমাদের হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানে রুটিন পরীক্ষায় ধরা পড়ে ও অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত।

বায়োমেট্রিক তথ্যের সূত্র ধরে, এরপরই হোম কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের খোঁজ শুরু করে দেয়। পৌঁছে যায় পানিপথে, তার বাবা-মায়ের কাছে। ফিরিয়ে দেয় হারানো ছেলেকে।

প্রায় দু-বছর পর হারানো ছেলেকে এভাবে খুঁজে পেয়ে আপ্লুত গৌরবের বাবা বিকাশ। মুহূর্তে ফিরে যান পিছুছুট সেই দিনটিতে। '২০১৫ সালের ওই দিনটি ছিল রবিবার। আমাদের বাড়ির বাইরেই খেলছিল গৌরব। সেখান থেকেই হারিয়ে যায়।' এরপর থানায় গিয়েছেন। পেপারে নিরুদ্দেশ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই ছেলের কাছ অবধি পৌঁছতে পারেননি। সেখানে বায়োমেট্রিকের হাত ধরে এমন অসাধ্যসাধন তাঁর কাছে কল্পনাতীত। তাই ফিরে ফিরে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ দিয়েছেন আধারকে।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল