অ্যাপশহর

₹১০ কোটি হাতাতে ডাক্তার-পুত্রকে অপহরণ করে খুন, সুপ্রিম রায়ে ২ দোষীর যাবজ্জীবন

রাজহাসের সোনার ডিম পাড়ার গল্পের মতো। যে ডাক্তারের নার্সিংহোমে তারা চাকরি করত, তাঁর ছেলেকেই অপহরণ করে একলপ্তে মোটা টাকা আদায়ের লোভে। একরত্তিকে খুন করতেও হাত কাঁপানি তাদের। সুপ্রিম রায়ে দোষীদের আমৃত্যু কারাদণ্ড সাজা হয়েছে।

EiSamay.Com 25 Apr 2020, 3:23 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ছ-বছর আগের একটি খুনের মামলায় দোষী দু-জনকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালে নাগপুরের এক চিকিত্‍‌সকের আট বছরের ছেলেকে তারা অপহরণ করে, খুন করে। ওই চিকিত্‍সকের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ মোটা অর্থ হাতাতেই ছিল অপহরণ।
EiSamay.Com bigstock-Hands-Tied-Up-With-Rope-Of-A-M-269021617


শুক্রবার বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ অরবিন্দ সিং ও রাজেশ দাওয়ারের মৃত্যুদণ্ডের রায় খারিজ করে, অপরাধীদের যাবজ্জীবন সাজা দেয়। এর আগে ট্রায়াল কোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বোম্বে হাইকার্ট বহাল রাখলে, সুপ্রিম শরাণাপন্ন হয় দোষীরা। নিম্ন আদালতের রায় পর্যালোচনা করে, সুপ্রিম বেঞ্চ যাবজ্জীবনে সায় দেয়।

রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, দোষীদের উদ্দেশ্য ছিল কঠোর পরিশ্রম না-করে, মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করে, বড়লোক হওয়া। সেই লক্ষ্যেই ডাক্তারের নিষ্পাপ পুত্রকে অপহরণ করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারে এই অপরাধ বিরল থেকে বিরলতম ঘটনার মধ্যে পড়ে না। তাই সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আমৃত্যু দু-জনকে জেলেই কাটাতে হবে। ২৫ বছর কারাভোগ করার আগে কোনও ভাবেই সাজা লাঘব করা যাবে না।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় অরবিন্দ ও রাজেশ ছিল বি কমের পড়ুয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি ডাক্তার মুকেশ ছন্দকের নার্সিংহোমে তারা দু-জনেই কাজ করত। এই ডাক্তারের আট বছরের শিশুপুত্রকে তারা অপহরণ করে, পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে। ফোনকল রেকর্ডস ও সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ২ খুনিকে ধরে ফেলে পুলিশ। ওই চিকিত্‍‌সকের কাছ থেকে তারা চেয়েছিল ১০ কোটি টাকা।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল