অ্যাপশহর

তেজপুর শহরের রাস্তায় রাজকীয় মেজাজে রয়াল বেঙ্গল! অতর্কিত হামলায় জখম ২

শার্দূল গর্জনে ঘাড় পিছনে ঘোরাতেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম! পেল্লাই সাইজের রয়াল বেঙ্গল টাইগার তখন ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। প্রাণ হাতে মুহূর্তে ছুট দুই বন্ধুর। পিছনে সেই বাঘও। যদিও, প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন অসমের তেজপুরের ওই দুই যুবক। ভাইরাল সে ছবি।

EiSamay.Com 25 Nov 2020, 1:07 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বনের বাঘ বেরিয়ে এল রাস্তায়! তেজপুর শহরে রাজকীয় মেজাজে 'রয়াল বেঙ্গল টাইগার'-এর চলন দেখে অনেকেরই ভরমি খাওয়ার উপক্রম হয়। হবে নাই বা কেন। এ তো শহরের স্বাভাবিক চিত্র নয়। পকেটের স্মার্টফোনটি বের করে কেউ কেউ লেন্সবন্দি করারও চেষ্টা করেন। বাঘ কী আর শান্তশিষ্ট লেজ বিশিষ্ট! অত লোকজন দেখে শার্দূল গর্জনে তাড়াও করে। বাঘের হামলায় দুই যুবক অল্পবিস্তর জখমও হয়েছেন। তবে, এ পর্যন্তই। কারও প্রাণসংশয় হয়নি। কিন্তু, তেজপুরের সেই তেজি বাঘ এখনও বনদফতরের খাঁচাবন্দি না-হওয়ায়, অসমের এই শহরে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাঘ ধরতে বনকর্মীরা ঘুরছেন। সর্বত্র নজরও রেখেছেন। কিন্তু, রয়াল বেঙ্গল টাইগারটি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ছবি ভাইরালও হয়েছে।
EiSamay.Com Assam tiger attack
অসমের তেজপুরে লোকালয়ে বাঘ


অসমের তেজপুর শহরের উপকণ্ঠে বাঘের দেখা মেলার পর থেকেই চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খবর পাওয়া মাত্র বনদফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। টোপ দিয়ে বাঘের খাঁচাও পাতা হয়েছে। তবে, সে খাঁচায় এখনও ধরা দেয়নি বাঘটি। বন দফতরের আধিকারিকদের ধারণা, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান নয়তো নামেরি জাতীয় উদ্যান ও বন সংরক্ষণস্থান থেকে বাঘটি লোকালয়ে চলে এসেছে।

কাজিরাঙার ফিল্ড ডিরেক্টর পি শিবকুমারের কথায়, 'রয়াল বেঙ্গল টাইগারটি কাজিরাঙা থেকে বেরিয়ে এসেছে কি না, আমাদের পক্ষে তা বলা সম্ভব নয়।' তাঁর ধারণা, নামেরি লাগোয়া নদীপথেই বাঘটি তেজপুরের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তেজপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার। পশু চিকিত্‍‌সকদের একটি টিমও পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: লোকালয়ে বাঘ, আতঙ্কে ঘরবন্দি ঝড়খালির মানুষ

ফরেস্ট অফিসার জানান, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেইমতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তেমন হলে, ঘুমপাড়ানি গুলি করে বাঘটিকে লোকালয় থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ টিম উপস্থিত রয়েছে। শিবকুমার জানান, বাঘটি কোনও বাড়িতে বা ঘেরা জায়গায় ঢুকে পড়লে, সে ক্ষেত্রে ঘুমপাড়ানি গুলি করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু, খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়ালে সে ক্ষেত্রে চাপ রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাঘের হানাদারিতে আতঙ্কে শিকেয় ঝড়খালির জীবন

গত বছর অসমে ব্যাপক বন্যার কারণে কাজিরাঙা উদ্যান থেকে লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়েছিল নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে। কাজিরঙা অভয়ারণ্যও বানভাসি পড়ে পড়েছিল। একাধিক গন্ডার-সহ গোটা তিরিশেক বন্যপ্রাণী ডুবে মারা যায়। তাই প্রাণ বাঁচাতে জীবজন্তুরা মাঝে মাঝেই সেসময় লোকালয়ে চলে আসে। জঙ্গলের পাশে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বিশাল গন্ডার দৌড়ে যাচ্ছে, এমন দৃশ্য সেসময় বিরল ছিল না। বড় বাঘও জলে ডোবা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় সড়ক ধরে একটু দূরে কার্বি আংলং পাহাড়ের দিকে যেতে দেখা যায়।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল