পণ নেই কেন? গণধর্ষণের পর যুবতী শরীরে আঁকা হল উল্কি

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন দেড় বছর হয়ে গেল। কিন্তু, জামাইয়ের হাতে যৌতুকের টাকা দিয়ে উঠতে পারেননি। যার জন্য উঠতে বসতে শ্বশুরবাড়ির অনেক গঞ্জনাই রোজ হজম করতে হয়েছে মেয়েকে। শুধু গঞ্জনাই নয়, সঙ্গে নিত্য জুটেছে শারীরিক লাঞ্ছনা। কখনও শাশুড়ি, কখনও স্বামী আবার কখনও দেওররা। কিন্তু, সব অত্যাচার মুখ বুজে মেনে নেওয়ার ফল যে এমন ভয়ংকর হতে পারে, দুঃস্বপ্নেও হয়তো ভাবেননি সেই মেয়ে! ভাবেননি তাঁর গরিব বাবাও। বা মেয়ে ভাবলেও, বিয়ের পর বাবার ঘাড়ে চেপে বসতে চাননি বলেই হয়তো নীরবে সয়ে, শেষ পরিণতির অপেক্ষা করেছেন। বা এমনও হতে পারে, বাবা ভেবেছিলেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। মেয়ের সংসার ভাঙুক, কোনও বাবা কি তা চাইতে পারেন! শ্বশুরবাড়িতে সেই অসীম ধৈর্যশক্তির পরীক্ষা দিতে গিয়ে, শেষমেশ ধর্ষিত হলেন রাজস্থানের সেই বধূ!



বছর তিরিশের সেই যুবতীকে স্বামী ছাড়াও ধর্ষণ করে নিজেরই দুই দেওর। স্বামীর মদতেই ঘটে গোটা ঘটনাটা। ফলে, বাধা দিয়েও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। শুধু গণধর্ষণই নয়, ওই যুবতীর কপালে ও দুই হাতে ট্যাটু করে লিখে দেওয়া হয়, 'আমার বাবা চোর!' তাঁকে, তাঁর বাবাকে চরম অপমানের পর, বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই বধূ। যদিও, একজনও কেউ ধরা পড়েনি। FIR দায়েরের পর, তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত বছর জানুয়ারিতে আলোয়ার জেলার রেনি গ্রামের জগন্নাথের সঙ্গে এই যুবতীর বিয়ে হয়। দেখাশোনা করেই বিয়ে। যৌতুক বাবদ তখন ৫১ হাজার টাকা দাবি করে জগন্নাথের পরিবার। কথা দিয়েও মেয়ের বাবা সেই টাকা শোধ করতে পারেননি। ফলে, কথায় কথায় স্বামী ও শাশুড়ির কাছে মার খেয়েছেন সেই বধূ।

পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই বধূ জানিয়েছেন, এই যৌতুকের টাকা দিতে না-পারার কারণেই তাঁকে স্বামী ও দুই দেওর মিলে রেপ করে, তার পর কপালে ও হাতে ট্যাটু করে। অভিযোগ থেকেই জানা যায়, ড্রিংকের সঙ্গে মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে গোটা ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। চেতনা ফেরার পরেই মহিলা থানায় গিয়ে স্বামী ও দেওরদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।