অ্যাপশহর

গ্রামে নেই টয়লেট! বিয়েতে নারাজ যুবতীর ভিডিয়োয় তোলপাড় নেটপাড়া

নো টয়লেট নো ব্রাইড। এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী ২২ বছরের রীনা। শুধু মনে বিশ্বাসী ই নয়, কার্যক্ষেত্রেও তাই করে দেখাল সে। আপাতত পুলিশের তত্ত্বাবধানে তাঁর বিয়ে আটকানো গিয়েছে। কিন্তু তাঁর ভাইরাল ভিডিয়ো নেটপাড়ায় ঝড় তুলেছে।

EiSamay.Com 17 Jun 2020, 5:46 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অক্ষয় কুমার ও ভূমি পে়ডনেকর অভিনীত টয়লেক এর প্রেম কথা সিনেমার কথা মনে পড়ে! সেই সিনেমার তিন বছর কেটে গেলেও দেশের চিত্রটা বদলায়নি একেবারেই। তার প্রমাণ পাওয়া গেল রাজস্থানের চুরলা জেলার মুন্ডেশ্বর এলাকায়।
EiSamay.Com no toilet no bride
প্রতীকী ছবি


গল্পটা সেই একই। ২২ বছরের গির রীনা সিং গুরজার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবাদী ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিয়ো বর্তমানে ভাইরাল। ভিডিয়োতে তিনি জানিয়েছেন, বিশ শতকেও শ্বশুরবাড়িতে কোনও টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন ওই যুবতী।

ভাইরাল ভিডিয়োতে ওই প্রতিবাদী যুবতী জানিয়েছেন, 'গ্রামের মধ্যেই কোনও বাথরুম বা ওয়াশরুম নেই। যেখানে মেয়েদের একটি অধিকারের মধ্যে পড়ে যে বাড়ির লাগোয়া টয়লেট ব্যবহার করার। খোলা জায়গাতেই গ্রামের মেয়েরা প্রাত্যহিক কাজকর্ম সারেন। চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত এই গ্রামে বিয়ে করতে রাজি নই।'

বিজ্ঞানে স্নাতক, ঢোলপুরের পুলিশ সাব ইন্সপেক্টরের এই মেয়ে এখন গ্রামের মেয়েদের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই তাঁর বাড়িতে দেখা করেন হারসাউলা থানার পুলিশ। সেখানে রীনার পরিবারের কাছে অনুরোধ করেন যে, ওই গ্রামে তাঁর মত ছাড়া যেন বিয়ে না দেন।

আসলে রীনার গোটা পরিবার থাকেন জয়পুরে। তাঁর কথায়, 'আমার মা আমাকে চুরলা গ্রামে নিয়ে আসেন। ২০ মে এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। বিয়ে হয়নি এখনও পর্যন্ত, শুধু আংটি অদল-বদল হয়েছে। বিয়ে হওয়ার কথা আছে আগামী ১ জুলাই। তাঁর অভিযোগ,আমি কী চাই, তা জানার আগ্রহ পর্যন্ত দেখায়নি আমার পরিবার।'

ভিডিয়োতে আরও জানিয়েছেন, 'আমি এখনও পর্যন্ত জানি না যে আমার হবু স্বামী কী করেন। আমি এখনই বিয়ে করতে চাই না এবং আমার বোন ও আমি দুজনেই চাকরি না করা পর্যন্ত বিয়ের পিঁড়িতে বসব না বলে মনস্থির করেছি। যে জায়গায় বিয়ে করতে চলেছি, সেখানে মেয়েদের কোনও অধিকারই নেই।'

ভিডিয়ো যুবতী জানিয়েছেন, 'সেখানে সকলে মুক্ত জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করেন। মেয়েদের শিক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। ' শুধু তাই নয়, পরিবারের ভয়ে তিনি এই ভিডিয়োটি তোলেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। গ্রামের দুরবস্থা নিয়ে কথা তুললে গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা, এমনটাই দাবি করেছে সে।

ভাইরাল ভিডিয়োটি সামনে আসতেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় হারসাউলা পুলিশ থানার সাব ইন্সপেক্টর সত্য় নারায়ণ। তিনি গ্রামে যান ও গোটা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। আমরা লিখিতভাবে পরিবারের কাছ থেকে একটি মুচেলকা নিয়ে নিয়েছি যে, ওই যুবতীকে জোর করে ওই গ্রামে বিয়ে দেওয়া যাবে না। আপাতত ১ জুলাই বিয়ে বাতিল।

খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন এখানে,

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল