অ্যাপশহর

Rahul Gandhi : হাফ টি-শার্টে কী করে! রহস্য ফাঁস রাহুলের

প্রবল শীতেও হাফ টি-শার্টে​ দেখা গিয়েছিল তাঁকে, কেন পরেননি কোন শীতের পোশাক? কী জানালেন রাহুল?

হাইলাইটস

  • 10 ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও হাফ টি-শার্টে তিনি!
  • ভারত জোড়ো যাত্রা'য় গায়ে কোনো শীতের পোশাক ছিল না।
  • কী উত্তর দিলেন রাহুল গান্ধী?
EiSamay.Com Rahul Gandhi.
হাফ টি-শার্টে কী করে! রহস্য ফাঁস রাহুলের
চণ্ডীগড়: দিল্লির তাপমাত্রা যখন ১০ ডিগ্রির নীচে, তখনও একটা টি-শার্ট পরে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় হেঁটেছেন তিনি। গায়ে কোনও গরম জামা নেই। যাত্রা যত হরিয়ানার দিকে এগিয়েছে, ঠান্ডা তত বেড়েছে, কিন্তু রাহুল গান্ধীর পোশাক বদলায়নি। তাঁর কি ঠান্ডা লাগে না? এই প্রশ্নের মুখে একাধিকবার পড়তে হয়েছে রাহুলকে। সোমবার হরিয়ানার আম্বালায় 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র ফাঁকে এক পথসভা করতে গিয়ে এই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন রাহুল। বললেন, 'লোকে আমাকে প্রশ্ন করে, কেন শুধু সাদা টি-শার্ট পরে আছি, আমার কি ঠান্ডা লাগে না? আসুন তা হলে কারণটা বলি। কেরালায় যখন যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখন বেশ গরম, রীতিমতো ঘাম হচ্ছে...কিন্তু যখন মধ্যপ্রদেশে পৌঁছলাম, বেশ ঠান্ডা। একদিন তিনটে গরিব বাচ্চা মেয়ে যাত্রার ফাঁকে আমার কাছে এলো। তাদের পরনের পোশাক ছেঁড়া। আমি যখন ওদের হাত ধরলাম, ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছে ওরা। সেই দিন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যতদিন না ঠান্ডায় কাঁপুনি হচ্ছে, ততদিন শুধু টি-শার্টই পরে থাকব। যেদিন শরীর ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপবে, সেদিন সোয়েটার পরার কথা ভাবব। আমি ওই বাচ্চা মেয়েগুলোকে বার্তা দিতে চাই, ওদের ঠান্ডা লাগলে রাহুল গান্ধীরও ঠান্ডা লাগে।'
Shatrughan Sinha : 'ভারত জোড়ো যাত্রা যুগান্তকারী’, কংগ্রেসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূলের শত্রুঘ্ন
গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশ পেরিয়ে আসার সময়ে পোশাক নিয়ে এমনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাহুলকে। ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ তখন বলেছিলেন, 'আমার টি-শার্ট পরে থাকাটা প্রশ্ন নয়, আসল প্রশ্ন হলো-দেশের গরিব চাষি-শ্রমিক, তাঁদের সন্তানরা কেন ছেঁড়া পোশাকে, সোয়েটার ছাড়া থাকবে?' সোমবার আম্বালায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধতেও ছাড়েননি রাহুল। তাঁর দাবি, কৃষকদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমা সংস্থার থেকে কোনও সাহায্যই তাঁরা পান না। মিডিয়া রিপোর্ট তুলে ধরে রাহুলের দাবি, হিমাচলপ্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরে পুরো আপেলের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন শিল্পপতিই! মোদীর 'শিল্পপতি বান্ধব' ভাবমূর্তিকে ফের একবার কাঠগড়ায় তুলেছেন সনিয়া-পুত্র।

Bharat Jodo Yatra: নদিয়া থেকে ভারত জোড়ো যাত্রার মঙ্গল ঘট চুরি
তাঁর বক্তব্য, 'নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৭০০-রও বেশি কৃষক মারা গেলে। তাঁদের আত্মত্যাগকে স্বীকার করে শহিদের মর্যাদা দেওয়া তো দূরস্থান, সরকার তাঁদের মৃত্যুকেই স্বীকার করেনি!' মঙ্গলবার রাহুলের যাত্রা হরিয়ানা থেকে পাঞ্জাবে প্রবেশ করেছে। ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে গিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শেষ করে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'
লেখকের সম্পর্কে জানুন
শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়
মেদিনীপুর অটোনমাস কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করার সময় থেকেই শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় চেয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমে কাজ করতে। আর সেই ইচ্ছে বাস্তবে রূপায়িত হয় এই সময় ডিজিটালের হাত ধরে। প্রথমে একজন ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ হলেও এই সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যেই প্রথম খবরের দুনিয়ার খুঁটিনাটি নানা দিকের সঙ্গে শর্মিষ্ঠার প্রথম আলাপ ঘটে। জেলা থেকে দুনিয়া নানা অজানা , অচেনা জিনিস প্রতি মুহূর্তে শিখে চলেছেন শর্মিষ্ঠা।খবরের প্রতি ভালোবাসা ছাড়াও শর্মিষ্ঠার পছন্দের তালিকায় রয়েছে আবৃত্তি, আঁকা, কবিতা লেখা, এছাড়াও অবসরে গান শুনে না বই পড়ে সময় কাটানো। একাগ্রতা, অধ্যবসায়, ধৈর্য্য এই ৩ মন্ত্রে বিশ্বাস করেন শর্মিষ্ঠা। যা জানা হয়ে ওঠেনি, বহু কিছু যা শেখ ওঠেনি সর্বদা তা শেখার বা জানার প্রতি আগ্রহী হয়ে এগিয়ে যেতে চান।... আরও পড়ুন

পরের খবর