এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের ৬ বছরের সরকারকে একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ঠিক কী কারণে গত কয়েক মাসে ভারতের বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসন বৃদ্ধ পেল, তা ভিডিয়োটির মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছেন রাগা। রাহুলের আক্রমণের মুখে উঠে এসেছে মোদীর সরকারের বিদেশ নীতি, অর্থনীতি ও প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের কথা। তাঁর মতে, গত ৬ বছরে এই সবকিছু অবনমনের ফলই চিনের আগ্রাসন।
শুক্রবার ট্যুইটে রাহুল লিখেছেন, '২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক সাংঘাতিক ভুল ও হঠকারিতার কারণে ভারত মৌলিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভূরাজনৈতিক বিশ্বে ফাঁকা শব্দের কোনও মূল্য নেই।'
ভিডিয়োয় রাহুলের প্রশ্ন, 'ভারতের অবস্থা কী এমন হল যে চিন এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠল?' পরে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, 'একটি দেশ সুরক্ষিত থাকে তার বিদেশনীতি, অর্থনীতি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ও মানুষের প্রতি অনুভূতির দ্বারা। গত ৬ বছরে এই প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত বাধার সম্মুখীন হয়েছে।'
প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে রাগা বলেন, মোদী সরকারের আমলে ভারতের প্রতি ক্ষোভ বেড়েছে নেপাল, ভুটান এমনকী শ্রীলঙ্কারও, একসময়ে যারা ভারতের বন্ধু ছিল। আর অর্থনীতির বিষয়ে রাগার দাবি, 'আমাদের অর্থনীতি এমনই যে আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে পাল্লা দিতে পারি। গত ৫০ বছরে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দেখেছি আমরা। গত ৪০ বছরের হিসেবে সবার উপরে বেকারত্ব। অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। আমরা বারবার বলে এসেছি যে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকারের সাহায্য প্রয়োজন। আমরা বলেছি, ছোট ব্যবসাগুলির সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে।'
নমোর পর এবার লাদাখে রাজনাথ, বন্দুক হাতে করলেন নিশানাও!
রাহুলের মতে, এই তিনটি কারণে চিনের মনে হয়েছে, বর্তমানে ভারতের ধসে পড়া অর্থনীতি। ব্যর্থ বিদেশনীতি। আর প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কও মধুর নয়। এটাই সেরা সময় এ দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন দেখানোর।
এ দিকে, শুক্রবার লাদাখ সফরে গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। সদ্য শেষ হয়েছে ভারত-চিন সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক। গলওয়ান-সহ প্যাংগং লেকের ফিংগার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত এলাকায় চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হয়েছে ভারত। বৈঠকে এপ্রিলের আগের স্থিতাবস্থা ফেরানোর কড়া দাবি করেছে ভারতীয় সেনা। তবে সব প্রস্তাবে রাজি নয় চিন (China)। এমন অনড় মনোভাবে ফের চাপা উত্তেজনা সীমান্ত এলাকায়। এমন সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখে পৌঁছনো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
শুক্রবার ট্যুইটে রাহুল লিখেছেন, '২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক সাংঘাতিক ভুল ও হঠকারিতার কারণে ভারত মৌলিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভূরাজনৈতিক বিশ্বে ফাঁকা শব্দের কোনও মূল্য নেই।'
ভিডিয়োয় রাহুলের প্রশ্ন, 'ভারতের অবস্থা কী এমন হল যে চিন এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠল?' পরে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, 'একটি দেশ সুরক্ষিত থাকে তার বিদেশনীতি, অর্থনীতি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ও মানুষের প্রতি অনুভূতির দ্বারা। গত ৬ বছরে এই প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত বাধার সম্মুখীন হয়েছে।'
প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে রাগা বলেন, মোদী সরকারের আমলে ভারতের প্রতি ক্ষোভ বেড়েছে নেপাল, ভুটান এমনকী শ্রীলঙ্কারও, একসময়ে যারা ভারতের বন্ধু ছিল। আর অর্থনীতির বিষয়ে রাগার দাবি, 'আমাদের অর্থনীতি এমনই যে আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে পাল্লা দিতে পারি। গত ৫০ বছরে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দেখেছি আমরা। গত ৪০ বছরের হিসেবে সবার উপরে বেকারত্ব। অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। আমরা বারবার বলে এসেছি যে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকারের সাহায্য প্রয়োজন। আমরা বলেছি, ছোট ব্যবসাগুলির সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে।'
নমোর পর এবার লাদাখে রাজনাথ, বন্দুক হাতে করলেন নিশানাও!
রাহুলের মতে, এই তিনটি কারণে চিনের মনে হয়েছে, বর্তমানে ভারতের ধসে পড়া অর্থনীতি। ব্যর্থ বিদেশনীতি। আর প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কও মধুর নয়। এটাই সেরা সময় এ দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন দেখানোর।
এ দিকে, শুক্রবার লাদাখ সফরে গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। সদ্য শেষ হয়েছে ভারত-চিন সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক। গলওয়ান-সহ প্যাংগং লেকের ফিংগার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত এলাকায় চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হয়েছে ভারত। বৈঠকে এপ্রিলের আগের স্থিতাবস্থা ফেরানোর কড়া দাবি করেছে ভারতীয় সেনা। তবে সব প্রস্তাবে রাজি নয় চিন (China)। এমন অনড় মনোভাবে ফের চাপা উত্তেজনা সীমান্ত এলাকায়। এমন সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখে পৌঁছনো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।