সিধু মুসেওয়াল খুন (Punjabi singer Sidhu Moose Wala) এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির চরম মূল্য দিতে হল আপকে (Aam Aadmi Party)। পঞ্জাবে লোকসভা উপনির্বাচনে (Punjab Lok Sabha Bypoll) ‘মান’ গেল মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের ( Chief Minister Bhagwant Mann)। মুখ্যমন্ত্রীর ফেলে আসা লোকসভা আসনে পরাজিত হলেন আপ প্রার্থী। শিরোমণি অকালি দল (অমৃতসর) [Shiromani Akali Dal (Amritsar) ] প্রার্থী সিমরণজিৎ সিং মান (Simranjit Singh Mann) ৭ হাজার ভোটে হারালেন আপ প্রার্থী গুরমেল সিং-কে।
উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে আপ দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও কংগ্রেস, বিজেপি কার্যত সাফ। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেসের দলবীর সিং গোল্ডি। বিজেপির কেওয়াল ধিঁলোন রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। অকালি দল দাঁড় করিয়েছিল কমলদীপ কাউরকে। শেষের তিন জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হলে, সবচেয়ে বেশি চর্চা শুরু হয়েছে জেতা আসনে আপ প্রার্থীর পরাজয়কে ঘিরে।
আপ (Aam Aadmi Party) পরাজিত হল কেন?
বিপুল জনসমর্থন নিয়ে পঞ্জাবের সিংহাসন দখলের পরও, আপের কেন এই পরাজয় তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ। পরাজয়ের পিছনে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও কংগ্রেস নেতা তথা জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনকে তুলে ধরা হচ্ছে। সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনে সিমরনজিৎ মানের সমর্থনে প্রচার করেছিলেন মুসেওয়ালা। কিন্তু নির্বাচনের পরই মুসেওয়াল সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা তুলে নেয় ভগবন্ত মান সরকার। আর তারপরেই খুন হন মুসেওয়ালা। আর এটাকেই হাতিয়ার করে লোকসভা উপনির্বাচনে প্রচার চালান শিরোমণি অকালি দল(অমৃতসর) প্রার্থী। ভোটাররা দু’হাত ভরে সিমরনজিৎ-কে ভোট দেওয়ায় আপের যাত্রাভঙ্গ হল বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
অন্য একটি অংশের মতে, পঞ্জাবে সরকার গঠনের কয়েক দিনের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীকে। সেটাও ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কে এই সমরনজিৎ সিং মান?
শিরোমনি অকালি দল(অমৃতসর) সিমরনজিৎ সিং মান ছিলেন আইপিএস অফিসার। শিরোমনি অকালি দলের টিকিটে ১৯৮৯ সালে তারন তারন এবং ১৯৯৯ সালে সাংরুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এর আগে মোট ছয়বার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এটি তাঁর সপ্তম লোকসভা নির্বাচন। ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে অমরগড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আপ প্রার্থী যশবন্ত সিং গজ্জানমাজরার কাছে ৬ হাজার ০৪৩ ভোটে হেরে যান।
কয়েক বছর আগে শিরোমনি অকালি দল ভেঙে সিমরনজিৎ মান শিরোমনি অকালি দল(অমৃতসর)গঠন করেন। আপ তার প্রার্থীকে জেতাতে কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু ভোটাররা আপের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায়, জেতা আসন খোয়াতে হল। দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে সাফাই দিয়েছে আপ।