#PulseofIndiaWithTimes: অসহিষ্ণুতা বাড়লেও সম্প্রীতি রক্ষায় ভরসা মোদীই!

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নজর গুজরাটে হলেও লক্ষ্য লোকসভা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই প্রস্তুত হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক শিবির। আর সাধারণের নাড়ি-নক্ষত্র বিচার করে প্রস্তুত দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিও। এবং অবশ্যই Times Internet Limited। যে কারণেই দেশের বৃহত্তম জনমত সমীক্ষা #PulseofIndiaWithTimes-র মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে মোদী বনাম রাহুল-এর সমীক্ষায় মত নেওয়া হয়েছে গোটা দেশের। ইংলিশ, হিন্দি, বাংলা, মারাঠী-সহ ৯টি ভাষার এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ‘এই সময় ডিজিটাল’এর পাঠকরাও।

একইভাবে তিন তালাক, রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ প্রসঙ্গেও ‘এই সময়’এর পাঠকদের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ‘এই সময়’এর পাঠকদের মধ্যে ৫৬% মনে করে, উক্ত ইস্যুগুলিতে ‘মোদী সরকারের অবস্থান দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে আরও পোক্ত করেছে’। ৩৭% জন একই ইস্যুতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। যদিও ৪৫%-এর মতে, NDA সরকারের শাসনকালে দেশে সহিষ্ণুতা আগের থেকে কমে গিয়েছে। এবং ৮১% জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের সময় ধর্মের সাহায্য না নিয়ে উন্নয়নকে তুলে ধরা উচিত বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসকদলের। উল্লেখযোগ্য ভাবে ৬০%-এর মতে, গুজরাট নির্বাচনের প্রচারে রাহুল গান্ধীর সোমনাথ মন্দিরে পুজো কংগ্রেসের ‘সংখ্যালঘু তোষণ’ তকমা ঘোচাবে না।

সুপ্রিম কোর্টে রাম মন্দির ইস্যু নিয়ে মামলা চলছে। আগামী বছরের শুরুতেই যার শুনানি রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কালে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের মন্তব্যের জেরে ওয়াকিবহল মহলে মনে করা হচ্ছিল, লোকসভা নির্বাচনে রাম মন্দির ইস্যু ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে #PulseofIndiaWithTimes সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ‘এই সময়’এর ৪৩% পাঠক। যদিও ৪৪%-এর মতে, রাম মন্দির ইস্যু ২০১৯ লোকসভা বড় ভূমিকা পালন করবে না।

সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও #PulseofIndiaWithTimes সমীক্ষায় নরেন্দ্র মোদীর পক্ষেই ভোট বেশি পড়েছে। ৯টি ভাষায় সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫০ লাখের বেশি মানুষের অধিকাংশই বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ​ আগামীকাল সাধারণ নির্বাচন হলে জাতীয় স্তরে ৫৮% নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই পুনরায় সরকার দেখতে চায়। ৭৪% অর্থনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতিতে ভরসা রেখেছে।

১২ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার জন্য টাইমস গ্রুপ-এর এই সমীক্ষা চালানো হয়। মোট ৯টি ভাষায় এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।