এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়মবিধি রয়েছে বটে, তবে সবই সরকারি বইপত্রে। বাস্তব যে বহু ক্ষেত্রেই কয়েক আলোকবর্ষ দূরের তা স্পষ্ট পুদুচেরির ঘটনায়। করোনায় আক্রান্তের দেহকে স্রেফ একটি সাদা কাপড়ে মুড়ে গর্তের মধ্যে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী তা ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে সমাহিত করার কথা। ঘটনাটির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চরমে ওঠে বিতর্ক। চাপে পড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
প্রাথমিক ভাবে খবর, চেন্নাইয়ের এক বাসিন্দার দেহ ওটি। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি গত বুধবার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পুদুচেরি এসেছিলেন। পর দিন বুকে ব্যথার কারণে তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলে চিকিৎসকরা ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন। সেখানকারই এক চিকিৎসক জানান, ওই ব্যক্তি করোনায় সংক্রামিত। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে কোনও মতে দেহটি নামিয়ে গর্তের মধ্যে কার্যত ছুড়ে ফেলছেন চার সরকারি কর্মী। তাঁদের পরনে পিপিই রয়েছে ঠিকই, কিন্তু দু’জনের মাথা অনাবৃত। এ দিকে দেহটি ছুড়ে ফেলার সময় জড়ানো কাপড়ের একাংশও খুলে যায়। সব মিলিয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা আকাশছোঁয়া। এতেই শেষ নয়। কাজ শেষের পর চার জনের এক জন এক সরকারি আধিকারিকে ফোন করে খবরটি জানালে তাঁর কাছ থেকে সম্মতিসূচক ‘থাম্বস আপ’ সঙ্কেতও আসে।
যে ভাবে দেহটিকে সমাহিত করা হয় তাতে শুধু করোনা প্রোটোকল ভাঙা নয়, মৃতের সম্মানহানিরও অভিযোগ উঠেছে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন’ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এ ভাবে মৃতের অপমান ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ নম্বর ধারা অনুযায়ী অপরাধ। সুপারভাইজার-সহ ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে মৃতের সম্মানহানির জন্য জরিমানা করা উচিত।’ পুদুচেরির কালেক্টর টি অরুণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে মেমো পাঠিয়েছি। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’ লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদী জানান, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের শো-কজ নোটিস ধরানো হয়েছে। পুদুচেরির হেলথ ডিরেক্টর এস মোহন কুমারের অবশ্য ব্যাখ্যা, ‘নিয়ম অনুযায়ী রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরাই ওই দেহ সমাহিত করছিলেন। হঠাৎই হাত ফসকে যায় সেটি।’--- সংবাদসংস্থা
প্রাথমিক ভাবে খবর, চেন্নাইয়ের এক বাসিন্দার দেহ ওটি। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি গত বুধবার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পুদুচেরি এসেছিলেন। পর দিন বুকে ব্যথার কারণে তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলে চিকিৎসকরা ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন। সেখানকারই এক চিকিৎসক জানান, ওই ব্যক্তি করোনায় সংক্রামিত। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে কোনও মতে দেহটি নামিয়ে গর্তের মধ্যে কার্যত ছুড়ে ফেলছেন চার সরকারি কর্মী। তাঁদের পরনে পিপিই রয়েছে ঠিকই, কিন্তু দু’জনের মাথা অনাবৃত। এ দিকে দেহটি ছুড়ে ফেলার সময় জড়ানো কাপড়ের একাংশও খুলে যায়। সব মিলিয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা আকাশছোঁয়া। এতেই শেষ নয়। কাজ শেষের পর চার জনের এক জন এক সরকারি আধিকারিকে ফোন করে খবরটি জানালে তাঁর কাছ থেকে সম্মতিসূচক ‘থাম্বস আপ’ সঙ্কেতও আসে।
যে ভাবে দেহটিকে সমাহিত করা হয় তাতে শুধু করোনা প্রোটোকল ভাঙা নয়, মৃতের সম্মানহানিরও অভিযোগ উঠেছে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন’ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এ ভাবে মৃতের অপমান ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ নম্বর ধারা অনুযায়ী অপরাধ। সুপারভাইজার-সহ ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে মৃতের সম্মানহানির জন্য জরিমানা করা উচিত।’ পুদুচেরির কালেক্টর টি অরুণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে মেমো পাঠিয়েছি। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’ লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদী জানান, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের শো-কজ নোটিস ধরানো হয়েছে। পুদুচেরির হেলথ ডিরেক্টর এস মোহন কুমারের অবশ্য ব্যাখ্যা, ‘নিয়ম অনুযায়ী রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরাই ওই দেহ সমাহিত করছিলেন। হঠাৎই হাত ফসকে যায় সেটি।’--- সংবাদসংস্থা