অ্যাপশহর

কর্তারপুরের স্বপ্নভঙ্গ ১৯৫০ শিখ তীর্থযাত্রীর

গুরু নানকের ৫৫০ বছর জন্মবর্ষ পূর্তিতে মহারাষ্ট্রের প্রায় দু’হাজার শিখ পরিবারের কর্তারপুর করিডর হয়ে পাকিস্তানের দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যাওয়া হচ্ছে না। কারণ, তাঁরা নিজেদের কষ্টের রোজগারের টাকা জমা রেখেছিলেন পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে (পিএমসি)।

EiSamay.Com 12 Nov 2019, 11:13 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গুরু নানকের ৫৫০ বছর জন্মবর্ষ পূর্তিতে মহারাষ্ট্রের প্রায় দু’হাজার শিখ পরিবারের কর্তারপুর করিডর হয়ে পাকিস্তানের দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যাওয়া হচ্ছে না। কারণ, তাঁরা নিজেদের কষ্টের রোজগারের টাকা জমা রেখেছিলেন পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে (পিএমসি)।
EiSamay.Com PMC scam: 1950 Sikh devotee could not visit Kartarpur
স্বপ্নভঙ্গ।


পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের (পিএমসি) দুর্নীতির জেরে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)। গত সপ্তাহে অ্যাকাউন্ট থেকে বছরে টাকা তোলার ঊর্ধসীমা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটি। ব্যাঙ্কটির এটিএম খোলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাতে কর্তারপুর যাওয়ার খরচ জোগাড় হবে না, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা থাকা সত্বেও।

কুর্লার গুরুদ্বার কমিটি নির্মাণ সেবক জাঠা-র সদস্য হরদেব সিং সাইনির দাবি, ‘আমরা ইচ্ছুক তীর্থযাত্রীদের প্রয়োজনীয় নথি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে জমা দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু, মাঝপথে পিএমসি ব্যাঙ্কের ঝামেলায় অধিকাংশ ব্যক্তিই নিজেদের নাম তুলে নেয়। প্রায় ২,০০০ তীর্থযাত্রীর মধ্যে মাত্র ৫০ জন শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছেন। বাকিরা পিএমসি ব্যাঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির কারণে টাকার অভাবে যাত্রা বাতিল করেছেন।’

এঁদেরই একজন---রবীন্দ্র কউর সাইনির পিএমসি ব্যাঙ্কে তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘আমরা গত কয়েক বছর ধরে অধীর আগ্রহে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু, পিএমসি ব্যাঙ্কের সমস্যার কারণে সেই সুযোগ কাজে এল না। পিএমসি ব্যাঙ্কে আমার তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু, দরবার সাহিবে যাওয়ার মতো টাকা হাতে নেই।’

আর এক সদস্য প্রীতপাল সিং শেঠ বলেন, ‘অধিকাংশেরই পিএমসি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকায় অন্যকে টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারেননি। নিজেদের সারা জীবনের অর্থ জমা করেও এই পবিত্র তীর্থস্থানে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলাম। পিএমসি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ৮০ শতাংশই শিখ। এ ধরনের ঘটনায় অতীতে একে অন্যের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেও এ বার প্রায় সবারই কাছে টাকা না থাকায় কেউই তা করতে পারেনি।’

পরের খবর