অ্যাপশহর

National Sports Day: 'হকির জাদুকর' মেজর ধ্যানচাঁদকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয় ক্রীড়া দিবস উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সহবাগ-সহ দেশের বহু তারকা ক্রীড়াবিদরা। এই দিনটিতেই ক্রীড়াজতের কৃতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অর্জুন পুরস্কার ও রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার, দ্রোণাচার্য পুরস্কার। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে দেশের উজ্জ্ব প্রতিভাদের হাতে ক্রীড়াজগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার তুলে দেন খোদ রাষ্ট্রপতি।

EiSamay.Com 29 Aug 2020, 1:30 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবছরের মতো এবছরও হকির জাদুকর মেজর ধ্যানচাঁদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করল দেশবাসী। আজ জাতীয় ক্রাড়া দিবস। তাঁকে সম্মানজ্ঞাপন ও তাঁর স্মৃতিচারণের জন্যই আজকের দিনটা জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসাবে পালিত হয়। ২০১২ সাল থেকে এই দিনটাকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বের হকি খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা হকি খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হয় ধ্যানচাঁদকে। বিশ্ব হকিতেও তাঁর অবদান অতুলনীয়।
EiSamay.Com national sports day
জাতীয় ক্রীড়া দিবস


শনিবার সকালে, ধ্যানচাঁদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, জাতীয় ক্রীড়া দিবসে, মেজর ধ্যানচাঁদকে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি, হকি স্টিকের ম্যাজিক কখনও ভোলার নয়। আমাদের প্রতিভাশালী খেলোয়াড়দের সাফল্যের জন্য তাঁদের পরিবার, কোচ এবং গোটা দলকে প্রসংশা করারও দিন আজ।'



এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ধ্যানচাঁদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।



জাতীয় ক্রীড়া দিবস উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সহবাগ-সহ দেশের বহু তারকা ক্রীড়াবিদরা।






এই দিনটিতেই ক্রীড়াজতের কৃতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অর্জুন পুরস্কার ও রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার, দ্রোণাচার্য পুরস্কার। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে দেশের উজ্জ্ব প্রতিভাদের হাতে ক্রীড়াজগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার তুলে দেন খোদ রাষ্ট্রপতি। তবে সারা বিশ্ব যখন করোনা ত্রাসে ত্রস্ত, তখন এই বিশেষ অনুষেঠানের জৌলুস কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর এই দিনটিতে রাষ্ট্রপতিভবনে খেলোয়াড়দের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিতেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু এবার সেই পুরস্কার অনুষ্ঠান ভবনে বাদ দিয়ে ভার্চুয়ালি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারতের ক্রীড়াজগতে মেজর ধ্যানচাঁদের অবদান অতুলনীয়। ১৯০৫ সালে ২৯ অগস্ট উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ধ্যানাঁদ। বাবা ছিলেন সোমেশ্বর সিং। সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন তিনি। মায়ের নাম সারদা সিং। সোমেশ্বর সিং সেনাদলে নিয়মিত হকি খেলতেন। চাকরি সূত্রে উত্তরপ্রদেশ থেকে মধ্যপ্রদেশের জাঁসিতে চলে আে পুরো পরিবার। ধ্যানচাঁদের দুই ভাই- রূপ সিং ও মূল সিং। বড়দাদা রূপ সিং ছিলেন সেইসময় বিখ্যাত হকি খেলোয়াড়। দাদার মতো বড় খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তবে হকি-ই তাঁর প্রথম পছন্দ নয়। হকির পাশাপাশি কুস্তিতেও ঝোঁক ছিল তাঁর।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। সেখানে নিয়মিত খেলতে খেলতে হকির প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। দিনে সেনাবাহিনীর কাজ সেরে রাতের বেলায় হকি প্র্যাকটিস করতেন। প্রসঙ্গত, সেই সময় বৈদ্যুতিক আলো ছিল না। ফলে পূর্ণিমা কবে আসবে, সেই নিয়ে অপেক্ষা করতে হত। চাঁদের আলোয় হকি অনুশীলন পর্ব চালু রাখতেন বেশিক্ষণ। মজার ব্যাপার হল, চাঁদের জ্যোত্‍স্নায় হকি অনুশীলন করতেন বলে তাঁকে ধ্যানচাঁদ বলে ডাকা হত। তারপর থেকেই তাঁর নাম ধ্যানচাঁদ-ই হয়ে যায়। খেলার প্রতি ভালোবাসা থাকায়, মেজর পদে থাকাকালীন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি।

তাঁর অসাধারণ প্রতিভার বলে ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ সালে অলিম্পিকে ভারত হকি জেতে। ১৯২৬ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত পুরো কেরিয়ারে মোট ৪০০টি গোল করেছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে তিনি পদ্মভূষণ পুরস্কার পান। ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার তাঁরই নামে নামাঙ্কিত। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই দেওয়া হয় মেজর ধ্যানচাঁদ পুরস্কার।

শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পডেছিল। জার্মান, আমেরিকা, অস্ট্রিয়া তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক সম্মান দিয়েছিল।


এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল