অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি
পেগ্যাসাসে সরকারের নাভিঃশ্বাস তুলে দিয়েছে বিরোধী শিবির৷ তার সঙ্গে রয়েছে করোনা অতিমারির আতঙ্ক, যেখানে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেও দেশবাসী জানতে পারল না কত দিনের মধ্যে তারা ভ্যাকসিন পেতে পারে৷ সবার উপরে মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি, মহার্ঘ জ্বালানি, বেকারত্ব ও তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনীতি৷ এক ঝাঁক সমস্যা থেকে দূরে সরে গিয়ে দলের সাংসদদের নতুন টাস্ক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ কী ভাবে উদ্যাপন করা যায়, তার প্রাথমিক রূপরেখা স্থির করতে! মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, নয়াদিল্লিতে বৈঠকের পরে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল৷ তাঁর দলের সাংসদদের ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেঘওয়াল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০৪৭ সালে দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষ উদ্যাপন কী ভাবে করা হবে, সেই বিষয়ে দেশের জনসাধারণের থেকে পরামর্শ নিতে হবে এবং তার ভিত্তিতে আগামী ২৫ বছরের রূপরেখা তৈরি করতে হবে, যেখানে সবার সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরাই হবে আমাদের লক্ষ্য৷'
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে BJP-এর অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে, ২১-এর মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে যখন ২৪-এ ক্ষমতা ধরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তখন কী ভাবে প্রধানমন্ত্রী দলের সাংসদদের ২০৪৭-এ স্বাধীনতার শতবর্ষকে লক্ষ্য রেখে এগোনোর নির্দেশ দিচ্ছেন? সরকারি ভাবে কেউ এই বিষয়ে মুখ না খুললেও যেভাবে নিজেদের মধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন BJP সাংসদদের একটা বড় অংশ, তাতে কী ভাবে তাঁরা জনসাধারণের কাছে গিয়ে ৪৭-র ভাবনা জানতে চাইবেন সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক BJP সাংসদের কথায়, 'দেশের এখন যা অবস্থা, তাতে ২৫ বছর পরে স্বাধীনতার শতবর্ষ কী ভাবে উদ্যাপিত হবে, তা নিয়ে কত জন দেশবাসী চিন্তিত তা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন৷ অতিমারীর মাঝে দৈনন্দিন সমস্যা সামাল দেওয়াই তো এখন বড় চ্যালেঞ্জ৷'
BJP সূত্রের খবর, এ সবের বাইরে মঙ্গলবার সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তোপ দেগেছেন কংগ্রেস ও বিরোধী শিবিরকে৷ তবে তাঁর তোপের সিংহভাগই ছিল কংগ্রেসকে নিশানা করে৷ সূত্রের খবর, তিনি বলেছেন, 'সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে বারবার বাধাদান করার জন্য কংগ্রেসের স্বরূপ দেশবাসীর সামনে প্রকাশ করুন, সংবাদ মাধ্যমে কংগ্রেসের আসল চেহারা তুলে ধরুন।' গত সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা সর্বদল বৈঠকে কংগ্রেস সহ অন্য বেশ কয়েকটি দলের অনুপস্থিতিকেও এদিন তীব্র ভাবে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷
পেগ্যাসাসে সরকারের নাভিঃশ্বাস তুলে দিয়েছে বিরোধী শিবির৷ তার সঙ্গে রয়েছে করোনা অতিমারির আতঙ্ক, যেখানে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেও দেশবাসী জানতে পারল না কত দিনের মধ্যে তারা ভ্যাকসিন পেতে পারে৷ সবার উপরে মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি, মহার্ঘ জ্বালানি, বেকারত্ব ও তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনীতি৷ এক ঝাঁক সমস্যা থেকে দূরে সরে গিয়ে দলের সাংসদদের নতুন টাস্ক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ কী ভাবে উদ্যাপন করা যায়, তার প্রাথমিক রূপরেখা স্থির করতে! মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, নয়াদিল্লিতে বৈঠকের পরে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল৷
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে BJP-এর অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে, ২১-এর মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে যখন ২৪-এ ক্ষমতা ধরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তখন কী ভাবে প্রধানমন্ত্রী দলের সাংসদদের ২০৪৭-এ স্বাধীনতার শতবর্ষকে লক্ষ্য রেখে এগোনোর নির্দেশ দিচ্ছেন? সরকারি ভাবে কেউ এই বিষয়ে মুখ না খুললেও যেভাবে নিজেদের মধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন BJP সাংসদদের একটা বড় অংশ, তাতে কী ভাবে তাঁরা জনসাধারণের কাছে গিয়ে ৪৭-র ভাবনা জানতে চাইবেন সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক BJP সাংসদের কথায়, 'দেশের এখন যা অবস্থা, তাতে ২৫ বছর পরে স্বাধীনতার শতবর্ষ কী ভাবে উদ্যাপিত হবে, তা নিয়ে কত জন দেশবাসী চিন্তিত তা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন৷ অতিমারীর মাঝে দৈনন্দিন সমস্যা সামাল দেওয়াই তো এখন বড় চ্যালেঞ্জ৷'
BJP সূত্রের খবর, এ সবের বাইরে মঙ্গলবার সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তোপ দেগেছেন কংগ্রেস ও বিরোধী শিবিরকে৷ তবে তাঁর তোপের সিংহভাগই ছিল কংগ্রেসকে নিশানা করে৷ সূত্রের খবর, তিনি বলেছেন, 'সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে বারবার বাধাদান করার জন্য কংগ্রেসের স্বরূপ দেশবাসীর সামনে প্রকাশ করুন, সংবাদ মাধ্যমে কংগ্রেসের আসল চেহারা তুলে ধরুন।' গত সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা সর্বদল বৈঠকে কংগ্রেস সহ অন্য বেশ কয়েকটি দলের অনুপস্থিতিকেও এদিন তীব্র ভাবে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷