এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার ভাঙচুর হয়েছে সিএমআরআই হাসপাতালে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ সম্প্রতি জমা হতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে। রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের ডেকেছেন এই অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি যে অভিযোগ ওঠে, তা হল বিল নিয়ে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এই অভিযোগের সত্যতা কতটা, তা হয়তো তর্কাতীত নয়। সব বেসরকারি হাসপাতালই বিলের কোপে রোগীর পরিবারের গলা কাটে, এমন ধারণাও হয়তো ভিত্তিহীন। কিন্তু দিনের শেষে ধারণার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তথ্যের। চিকিত্সা সংক্রান্ত সরঞ্জামের ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এ দেশে চিকিত্সার সরঞ্জাম বাবদ রোগীর পরিবারের থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা বেশি নেয় হাসপাতালগুলি। লাভের পরিমাণ হিসেব করলে চোখ কপালে উঠবে।
জানা গিয়েছে, ইঞ্জেকশনের একটি সিরিঞ্জ তৈরি করতে খরচ হয় মাত্র ২ টাকার মতো। অথচ, ভারতে তা কিনতে হয় তার অন্তত ১০ গুণ দামে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার থেকে বেশিও দিতে হয়। যদি এই সংখ্যা দেখে মনে হয় মাত্র ৮-১০ টাকা লাভ, তা হলে আরও একটি তথ্য দেওয়া যাক। দেশে গড়ে প্রতি বছর একশো কোটি সিরিঞ্জ বিক্রি হয়। এ বার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির লাভের পরিমাণ হিসেব করলে স্পষ্ট, অঙ্কটা ৮-১০ টাকায় আটকে নেই।
জনপ্রিয় হিপ ইমপ্ল্যান্টের আমদানি খরচ ৮,৯০৬ টাকা। অথচ রোগীদের থেকে নেওয়া হয় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। লাভের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার গুণ। সরকার কার্ডিয়্যাক স্টেন্টের দাম বেঁধে দেওয়ার পরে বিভিন্ন ডিসট্রিবিউটরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তরফে। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
সরকার স্টেন্ট নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ ৭০০ গুণ চড়া দামে তা রোগীদের দেওযার অভিযোগ উঠেছে। ভারতে বছরে গড়ে ৬ লক্ষ স্টেন্ট বিক্রি হয়। কিন্তু সিরিঞ্জ বা চোখের লেন্সের বিক্রি তার কয়েকগুণ বেশি। এবং এ সব ক্ষেত্রে গড়ে ৪০০ শতাংশ লাভ রেখে বিক্রি করা হয়। ধরা যাক হাঁটুর রিপ্লেসমেন্টের কথা। গড়ে ভারতে একটি হাঁটুর রিপ্লেসমেন্ট নেওয়া হয় প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। অথচ, বিদেশ থেকে সেই সব রিপ্লেসমেন্ট আনা হয় মাত্র ৯,২৬৪ টাকায়।
সমাজকর্মী অভয় শুক্লা কাজ করছেন স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। তিনি বলেছেন, এটা তো রোজকার আর্থিক কেলেঙ্কারি। বাজার অর্থেই গ্রাহক কেন্দ্রীক। কিন্তু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ডাক্তাররাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁরাই বলে দেন, কোন রোগীর কী লাগবে। সেই চিকিত্সক যদি আদর্শবাদী হন, তা হলে রোগী বেঁচে গেল। কিন্তু অন্যথা হলে পকেট কাটা যাবেই।
#An injection or a syringe costs around Rs 2 to make, but the common Indian patient buys it at five times the sum. The single-digit "profit" on an injection may seem trivial till one notes that three billion injections are sold across India annually, revealing that patients as a group are overcharged by billions of rupees every year.
এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি যে অভিযোগ ওঠে, তা হল বিল নিয়ে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এই অভিযোগের সত্যতা কতটা, তা হয়তো তর্কাতীত নয়। সব বেসরকারি হাসপাতালই বিলের কোপে রোগীর পরিবারের গলা কাটে, এমন ধারণাও হয়তো ভিত্তিহীন। কিন্তু দিনের শেষে ধারণার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তথ্যের। চিকিত্সা সংক্রান্ত সরঞ্জামের ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এ দেশে চিকিত্সার সরঞ্জাম বাবদ রোগীর পরিবারের থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা বেশি নেয় হাসপাতালগুলি। লাভের পরিমাণ হিসেব করলে চোখ কপালে উঠবে।
জানা গিয়েছে, ইঞ্জেকশনের একটি সিরিঞ্জ তৈরি করতে খরচ হয় মাত্র ২ টাকার মতো। অথচ, ভারতে তা কিনতে হয় তার অন্তত ১০ গুণ দামে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার থেকে বেশিও দিতে হয়। যদি এই সংখ্যা দেখে মনে হয় মাত্র ৮-১০ টাকা লাভ, তা হলে আরও একটি তথ্য দেওয়া যাক। দেশে গড়ে প্রতি বছর একশো কোটি সিরিঞ্জ বিক্রি হয়। এ বার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির লাভের পরিমাণ হিসেব করলে স্পষ্ট, অঙ্কটা ৮-১০ টাকায় আটকে নেই।
জনপ্রিয় হিপ ইমপ্ল্যান্টের আমদানি খরচ ৮,৯০৬ টাকা। অথচ রোগীদের থেকে নেওয়া হয় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। লাভের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার গুণ। সরকার কার্ডিয়্যাক স্টেন্টের দাম বেঁধে দেওয়ার পরে বিভিন্ন ডিসট্রিবিউটরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তরফে। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
সরকার স্টেন্ট নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ ৭০০ গুণ চড়া দামে তা রোগীদের দেওযার অভিযোগ উঠেছে। ভারতে বছরে গড়ে ৬ লক্ষ স্টেন্ট বিক্রি হয়। কিন্তু সিরিঞ্জ বা চোখের লেন্সের বিক্রি তার কয়েকগুণ বেশি। এবং এ সব ক্ষেত্রে গড়ে ৪০০ শতাংশ লাভ রেখে বিক্রি করা হয়। ধরা যাক হাঁটুর রিপ্লেসমেন্টের কথা। গড়ে ভারতে একটি হাঁটুর রিপ্লেসমেন্ট নেওয়া হয় প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। অথচ, বিদেশ থেকে সেই সব রিপ্লেসমেন্ট আনা হয় মাত্র ৯,২৬৪ টাকায়।
সমাজকর্মী অভয় শুক্লা কাজ করছেন স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। তিনি বলেছেন, এটা তো রোজকার আর্থিক কেলেঙ্কারি। বাজার অর্থেই গ্রাহক কেন্দ্রীক। কিন্তু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ডাক্তাররাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁরাই বলে দেন, কোন রোগীর কী লাগবে। সেই চিকিত্সক যদি আদর্শবাদী হন, তা হলে রোগী বেঁচে গেল। কিন্তু অন্যথা হলে পকেট কাটা যাবেই।
#An injection or a syringe costs around Rs 2 to make, but the common Indian patient buys it at five times the sum. The single-digit "profit" on an injection may seem trivial till one notes that three billion injections are sold across India annually, revealing that patients as a group are overcharged by billions of rupees every year.